[otw_shortcode_info_box border_type=”bordered” border_color_class=”otw-red-border” border_style=”bordered” shadow=”shadow-inner” rounded_corners=”rounded-10″]দ্বিপদ নাম/Scientific Name: Caprimulgus macrurus সমনাম: নেই বাংলা নাম: ল্যাঞ্জা রাতচরা, লম্বা লেজ রাতচরা, ইংরেজি নাম/Common Name: Large-tailed Nightjer. জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস জগৎ/রাজ্য/Kingdom: Animalia বিভাগ/Phylum: Chordata শ্রেণী/Class: Aves পরিবার/Family: Caprimulgidae গণ/Genus: Caprimulgus, Linnaeus, 1758; প্রজাতি/Species: Caprimulgus macrurus (Horsefield, 1821)[/otw_shortcode_info_box]
ভূমিকা: বাংলাদেশের পাখির তালিকায় Caprimulgus গণে বাংলাদেশে রয়েছে এর ৪টি প্রজাতি এবং পৃথিবীতেও রয়েছে ৫৭টি প্রজাতি। বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রজাতি চারটি হচ্ছে ১. মেঠো রাতচরা, ২. দেশি রাতচরা, ৩. মেটে রাতচরা ও ৪. ল্যাঞ্জা রাতচরা। আমাদের আলোচ্য প্রজাতিটির নাম হচ্ছে ল্যাঞ্জা রাতচরা।
বর্ণনা: ল্যাঞ্জা রাতচরা প্রশস্ত লেজের নিশাচর পাখি। এদের দৈর্ঘ্য ৩৩ সেমি, ডানা ২২ সেমি, ঠোঁট ২.২ সেমি, পা ২ সেমি ও লেজ ১৬ সেমি। মার্চ-মে এদের প্রজনন মৌসুম। তখন এরা মাটির উপরে বা ঝরাপাতার উপর দু’টি ডিম পাড়ে। দু’জনে মিলে পালা করে ডিমে তা দেয়। ষোলো অথবা বিশ দিন পর ছানা বের হয়। ছানাগুলোর শরীরে সোনালি আভাযুক্ত ধূসর ও হলুদাভ পালক গজায়। সারা দেশেই কম-বেশি দিনে কানাদের দেখা যায়।
স্বভাব: ল্যাঞ্জা রাতচরা বনের শুকনো লতাপাতা, ডালপালা আর মাটির সঙ্গে অনায়াসে মিশে যায়। এদের শরীরের রং আর ওই বিবর্ণ লতাপাতার রং বড় আশ্চর্যজনকভাবে মিলে যায়। স্বাভাবিক চোখে কখনোই এ পার্থক্য ধরা পড়ে না। এরা বাংলাদেশের একমাত্র পাখি যারা ডিম ও ছানা সরিয়ে নিতে পারে। এরা নিশাচর। সন্ধ্যায় ও ভোরে এরা বেশ তৎপর এবং জোরে জোরে একটানা ডাকে। এদের মূল খাদ্য উড়ন্ত পোকামাকড়। উড়তে উড়তেই মুখ হা করে পোড়ামাকড় ধরে থাকে।
বিস্তৃতি: ল্যাঞ্জা রাতচরা বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি। সব বিভাগের বন ও বাগানে পাওয়া যায়।
অবস্থা: ২০০৯ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষে এটিকে বাংলাদেশে ও বিশ্বে বিপদমুক্ত বলে বর্ণনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের ১৯৭৪ ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতি সংরক্ষিত।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।