সিকিম লালফুলী ছিটকি দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার উদ্ভিদ

উদ্ভিদ

সিকিম লালফুলী ছিটকি

বৈজ্ঞানিক নাম: Phyllanthus sikkimensis. সমনাম: Phyllanthus hamiltonianus Muell.-Arg. (1865), Eriococcus haimiltonianus (Muell.-Arg.) Hurusawa & Ya (1966). ইংরেজি নাম: Sikkim Leaf-Flower. স্থানীয় নাম: সিকিম লালফুলী ছিটকি, ট্রংসা (ভুটান) 
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস 
জগৎ/রাজ্য: Plantae অবিন্যাসিত: Angiosperms অবিন্যাসিত: Eudicots অবিন্যাসিত: Rosids বর্গ: Malpighiales পরিবার: Phyllanthaceae গোত্র: Phyllantheae উপগোত্র: Flueggeinae গণ: Phyllanthus প্রজাতি: Phyllanthus sikkimensis.

বর্ণনা: ছোট গুল্ম আকৃতির, প্রায় ১মিটার উঁচু, ক্ষুদ্র শাখা সরু, গোলাকার, রোমশ বিহীন বা সামান্য রোমশ। পত্র একান্তর, উপপত্র তুরপুন আকার, বৃন্ত ১-২ মিমি, পাতলা ঝিল্লিযুক্ত, পত্রফলক তির্যক ডিম্বাকার, ২-৫ x ১-৩ সেমি, অখন্ড, সূক্ষাগ্র, নিচের পৃষ্ঠ উজ্জ্বল, উভয় পৃষ্ঠ অণুরোমশ।

পুংপুষ্প: ছোট, কাক্ষিক, গুচ্ছবদ্ধ, বৃন্ত ১.৫ সেমি লম্বা, বৃত্যংশ ৪টি, প্রান্ত-আচ্ছাদী, অখন্ড, সূক্ষ খন্ডিত, চাকতি প্রসারিত, ৪ খন্ডিত, পুংকেশর যুক্ত, পরাগধানী, বহির্মুখী, ২ কোষী।

স্ত্রীপুষ্প: ছোট শাখার প্রান্তে রেসিম মঞ্জরীতে বিন্যস্ত, কখনও কাক্ষিক, বৃন্ত ১.৫-২.৫ সেমি লম্বা, কৈশিক, বৃত্যংশ ৬টি রোমশ, দপ্তর, চাকতি পেয়ালাকৃতি, গর্ভাশয় ৪ কোষী, প্রতিকোষে ডিম্বক ২টি, গর্ভদন্ড ৪টি, ঋজু। ফল ক্যাপসিউল, ব্যাস ২-৩ মিমি, গোলাকার, বৃন্ত ফলে ৩ সেমি পর্যন্ত প্রসারিত। বীজ ত্রিকোণাকার, মসৃণ।

চাষাবাদ ও বংশ বিস্তার:  সিকিম লালফুলী ছিটকি মূলত অরণ্য অঞ্চলের জন্মে। বীজে বংশ বিস্তার করে। ফুল ও ফল ধারণ ফেব্রুয়ারি-অক্টোবর।

বিস্তৃতি: ভুটান, ভারত, মালয় পেনিনসুলা, নেপাল ও থাইল্যান্ড। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও রাঙ্গামাটি জেলায় জন্মে (Khan and Khan, 1998)।

অন্যান্য তথ্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৭ম খণ্ডে  (আগস্ট ২০১০)  সিকিম লালফুলী ছিটকি প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের শীঘ্র কোনো সংকটের কারণ দেখা যায় না এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে সিকিম লালফুলী ছিটকি সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির বর্তমান অবস্থা জানা প্রয়োজন এবং যথাস্থানে প্রাকৃতিক পরিবেশে সংরক্ষণ প্রয়োজন ।   

আরো পড়ুন:  বনরিটা বা ধানরিটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভেষজ গুল্ম

তথ্যসূত্র:

১. রহমান, এম অলিউর (আগস্ট ২০১০)। অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৭ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৪৮০। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!