অন্তমূল গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও উপ-গ্রীষ্মমন্ডলীয় এশিয়ার লম্বা প্যাচানো গুল্ম

[otw_shortcode_info_box border_type=”bordered” border_color_class=”otw-red-border” border_style=”bordered” shadow=”shadow-inner” rounded_corners=”rounded-10″]বৈজ্ঞানিক নাম: Tylophora indica (Burm. f.) Merr., Philipp. J. Sci. 19: 373 (1921). সমনাম: Cynanchum indicum Burm. f. (1768), Asclepias asthmatica L. f. (1781), Tylophora asthmatica (L. f.) Wight & Arn. (1834). সাধারণ নাম: Indian Ipecac, Indian Ipecacuanha. স্থানীয় নাম: অন্তমূল, অনন্তমূল। জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস জগৎ/রাজ্য: Plantae বিভাগ: Angiosperms অবিন্যাসিত: Edicots অবিন্যাসিত: Asterids বর্গ: Gentianales পরিবার: Apocynaceae গণ: Tylophora প্রজাতি: Tylophora indica (Burm. f.).[/otw_shortcode_info_box]

ঔষধি উদ্ভিদ অনন্তমূলের সাথে বিভ্রান্ত হবেন না

পরিচিতি : অন্তমূল এপোসিনাসি পরিবারের টিলোফোরা গণের লম্বা প্যাচানো গুল্ম। এদের কাণ্ড ও শাখা সরু, রোমশ বা মসৃণ। এদের পত্র সবৃন্তক, পত্রবৃন্ত ০.৫-২.০ সেমি লম্বা, রোমশ, পত্রফলক বৈচিত্র্যপূর্ণ, ডিম্বাকার থেকে ডিম্বাকার-আয়তাকার, ৩.০-১১.৫ x ১.২-৭.০ সেমি, সূক্ষ্মাগ্র থেকে স্থূলাগ্র-তীক্ষ্মাগ্র, নিম্নাংশ স্থূলাগ্র বা অতি অগভীরভাবে হৃৎপিন্ডাকার, কিছুমাত্রায় মাংসল কিন্তু শুষ্ক অবস্থায় পাতলা, উপরের পৃষ্ঠ মসৃণ বা হালকা রোমশ, মধ্যশিরা, শিরা ও প্রান্ত হালকা রোমশ বা মসৃণ, পার্শ্ব শিরা ৫-৬ জোড়া।

সাইম ছত্রমঞ্জরী সদৃশ, হালকা রোমশ বা মসৃণ, পর্বে একল, পুষ্পদন্ড ০.৫-৩.০ সেমি লম্বা, মাঝে মধ্যে দৃইটি খর্ব, গৌণ পুষ্পদন্ড (প্রায় ২ সেমি লম্বা) শাখা বিভক্ত হয়ে দুইটি উপরিপন্ন ছত্রমঞ্জরী তৈরী করে, পুষ্পমঞ্জরী দৈর্ঘ্যে পুষ্পদন্ডের সমান বা ঈষৎ দীর্ঘতর। মঞ্জরীপত্র অতি ক্ষুদ্র, রোমশ। বৃতি খন্ড বল্লমাকার, সূক্ষ্মাগ্র, ২-৩ মিমি লম্বা, মসৃণ। দলমণ্ডল খন্ড ডিম্বাকার, শীর্ষ গোলাকার, ৫ x ৩ মিমি, ৭-৮টি, বাদামি ডোরা বিশিষ্ট সবুজাভ-হলুদ। কিরীটীয় শল্ক ঋজু, গাইনোষ্টেজিয়ামকে কখনও অতিক্রম করে না। পলিনিয়া কডিকুলার, অর্ধ-ঋজু, প্রতি পরাগধানী থলিতে একল, কপাস্কেল অতি ক্ষুদ্র। ফলিক্যাল বল্লমাকার, উভয় প্রান্ত ক্রম সরু, সূক্ষ্মাগ্র, প্রায় ৮-১০ সেমি লম্বা। বীজ ডিম্বাকার। ফুল ও ফল ধারণ ঘটে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে।  

এই প্রজাতিটি বাংলাদেশে দুইটি ভ্যারাইটি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে (Rahman and Wilcock, 1995) এগুলি হলো var. glabra (Wight & Arn.) Huber এর কাণ্ড ও পুষ্পবিন্যাস মসৃণ এবং var. intermedia Rahman & Wilcock এর কাণ্ড ও পুষ্পবিন্যাস রোমশ।

আরো পড়ুন:  আপাং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের ঔষধি উপগুল্ম

অন্তমূলের ক্রোমোসোম সংখ্যা: ২n = ২২ (Jash and Sharma, 1972)

আবাসস্থল: বনাঞ্চলের প্রান্ত এবং গ্রামের উন্মুক্ত এবং অর্ধউন্মুক্ত ঝোপ-জঙ্গল।

বিস্তৃতি: গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও উপ-গ্রীষ্মমন্ডলীয় এশিয়া। বাংলাদেশে উদ্ভিদটি দেশের বিভিন্ন অংশে জন্মে।

অর্থনৈতিক ব্যবহার ও গুরুত্ব: উদ্ভিদটিতে বমন উদ্রেককারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে-(Yusuf et al., 1994)। ভারতে উদ্ভিদটির পাতা হাঁপানির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

অন্যান্য তথ্য: বীজ এবং কাণ্ডের কাটিং দ্বারা বংশ বিস্তার হয়। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ষষ্ঠ খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) অন্তমূলকে বাংলাদেশে প্রজাতিটির আপাত বড় কোন সংকট নেই এবং বর্তমান অবস্থায় আশংকামুক্ত (lc) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশে এটিকে সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি এবং বর্তমানে সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।

তথ্যসূত্র:

১. এম আতিকুর রহমান, (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ০৬ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২৮০। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!