পাহাড়ি ছাতিম দক্ষিণ এশিয়ার সুদৃশ্য সুগন্ধি সপুষ্পক নরম কাষ্ঠল বৃক্ষ

এপোসিনাসি পরিবারের উদ্ভিদের প্রজাতি

পাহাড়ি ছাতিম

বৈজ্ঞানিক নাম: Alstonia neriifolia D. Don, Prodr. Fl. Nepal: 131 (1825). সমনাম: Blaberopus nerifolius A. DC. (1844). ইংরেজি নাম: Devil’s Tree. স্থানীয় নাম: পাহাড়ি ছাতিম।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae বিভাগ: Angiosperms অবিন্যাসিত:Eudicots অবিন্যাসিত: Asterids বর্গ: Gentianales পরিবার: Apocynaceae গণ: Alstonia প্রজাতি: Alstonia neriifolia

ভূমিকা: পাহাড়ি ছাতিম (বৈজ্ঞানিক নাম: Alstonia neriifolia) হচ্ছে এপোসিনাসি পরিবারের এলস্টোনিয়া গণের  একটি সপুষ্পক বৃক্ষ। এদের ফুল সুগন্ধ ছড়ায়, ফলে বড় আকারের বাগানে সুগন্ধের জন্য রোপণযোগ্য।

বিবরণ: পাহাড়ি ছাতিম ছোটট বৃক্ষ। পত্র এক আবর্তে অল্প সংখ্যক, অঙ্কীয় পৃষ্ঠ রোমশ, পত্রফলক ১০-২০ X ১.৫-৩.০ সেমি, সরু। সাইম উপ-ক্ষুদ্রছত্রমঞ্জরী। পুষ্প ক্ষুদ্র। বৃতি খন্ড ত্রিকোণাকার, ডিম্বাকার, সূক্ষ্মাগ্র। দলমণ্ডল নল অনূর্ধ্ব ২.৫ সেমি লম্বা, খন্ডসমূহ আয়তাকার, স্থূলাগ্র। ফলিক্যাল দীর্ঘ, অনূর্ধ্ব ১৮ সেমি লম্বা। ফুল ও ফল ধারণ ও নথিভূক্ত নয়।

ক্রোমোসোম সংখ্যা: জানা নেই।

চাষাবাদ ও আবাসস্থল: চিরহরিৎ বনাঞ্চল। বংশ বিস্তার হয় বীজ দ্বারা।

বিস্তৃতি: ভুটান, ভারতের উষ্ণমণ্ডলীয় হিমালয় এবং নেপাল। বাংলাদেশে ইহা মাঝে মাঝে চট্টগ্রাম জেলার বন অঞ্চলে দেখা যায়।

পাহাড়ি ছাতিম গাছের অর্থনৈতিক ব্যবহার ও গুরুত্ব

কাঠ পেকিং বাক্স, আসবাবপত্র, কফিন, ব্ল্যাক বোর্ড, কাগজ ও কাগজের মণ্ড তৈরীর জন্য ব্যবহার করা হয়। বাকলের দ্রবণীয় আরক চর্মরোগ, যকৃতের সমস্যা, বহু দিন স্থায়ী জ্বর, অজীর্ণ রোগ, শরীরের শক্তিহীনতা, উদরাময়, আমাশয়, বহু দিন স্থায়ী আলসার, হাঁপানী, বায়ুনালীর ক্ষুদ্রাংশের প্রদাহ, হৃদরোগ উপশমে প্রয়োগ করা হয় ।

অন্যান্য তথ্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৬ঠ খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) পাহাড়ি ছাতিম প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, প্রজাতিটির সংকটের কারণ হচ্ছে আবাসস্থল ধ্বংস। বাংলাদেশে এই প্রজাতিটি তথ্য সংগৃহীত হয়নি (NE), তবে মনে হয় বিরল। বাংলাদেশে পাহাড়ি ছাতিম সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির এক্স-সিটু পদ্ধতিতে সংরক্ষণের উপদেশ দেয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:  ঝোপ অলকনন্দা গ্রীষ্মমণ্ডলের শোভাবর্ধনকারী গাছ

তথ্যসূত্র:

১. এম আতিকুর রহমান, (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৬ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১৮৭। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!