মাও সেতুঙের শেষ জীবনের উদ্ধৃতি দর্শন *** মার্কসবাদ হাজার হাজার সত্যের সমষ্টি, কিন্তু এগুলো সবই কেন্দ্রিভুত হয় একটিমাত্র বাক্যে—“বিদ্রোহ করা ন্যায়সঙ্গত”। হাজার হাজার বছর ধরে, এটা বলে আসা হচ্ছিল যে দাবিয়ে রাখাটা ন্যায়সঙ্গত, শোষণ করাটা ন্যায়সঙ্গত এবং বিদ্রোহ করাটা অন্যায়। এই পুরোনো সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র মার্কসবাদের উদ্ভবের পরই উল্টে গেল। এটা একটা
দর্শন
ফয়েরবাখ সম্বন্ধে থিসিসসমূহ — কার্ল মার্কস
ফয়েরবাখ সম্বন্ধে থিসিসসমূহ[১] ১ ফয়েরবাখের বস্তুবাদ সমেত পূর্ববর্তী সমস্ত বস্তুবাদের প্রধান দোষ এই যে, তাতে বস্তুকে [Gegenstand]. বাস্তবতাকে, সংবেদ্যতাকে কেবল বিষয় [Objekt] রূপে বা ধ্যান রূপে ধরা হয়েছে, মানবিক সংবেদনগত ক্রিয়া হিসেবে, ব্যবহারিক কর্ম হিসেবে দেখা হয় নি, আত্মগতভাবে [subjectively] দেখা হয় নি। ফলে বস্তুবাদের বিপরীতে সক্রিয় দিকটি বিকশিত হয়েছে ভাববাদ দিয়ে,
শ্রেণি উদ্ভবের কারণ ও বিলুপ্তি প্রসঙ্গে মার্কসবাদ
সামাজিক শ্রেণির রূপ ও প্রকৃতি বিশ্লেষণ
শ্রেণি বা সামাজিক শ্রেণি, ইংরেজিতে Social Class, হলো একই প্রণালীতে জীবনযাত্রা নির্বাহ করে সমাজের এরূপ এক একটি অংশ। সমাজ বিকাশের নিয়মগুলি বোঝা ও ব্যাখা করবার জন্য সমাজের বড় বড় দলের লোকগুলোকে বলা হয় সামাজিক শ্রেণি। এটি দেখা দিয়েছে সামাজিক শ্রম বিভাগ আর সেইসংগে উৎপাদনের উপায়ের উপর ব্যক্তিগত মালিকানা উদ্ভবের ফলে।
সমাজ জীবনে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের মূলনীতিগুলোর প্রয়োগই ঐতিহাসিক বস্তুবাদ
মার্কসীয় তত্ত্বের মূলনীতি (ইংরেজি: Basic Principles of Marxism) হিসেবে সাধারণত ৬টি নীতি বিশেষভাবে বিবেচিত হয়। এগুলো যথাক্রমে হলো ১. দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ, ২. ঐতিহাসিক বস্তুবাদ, ৩. শ্রেণিসংগ্রাম, ৪. উদ্বৃত্ত মূল্যের তত্ত্ব, ৫. বিপ্লব বিষয়ক তত্ত্ব এবং ৬. রাষ্ট্রতত্ত্ব। এই নীতিগুলোর মধ্যে এখানে ঐতিহাসিক বস্তুবাদ নিয়ে আলোচনা করা হলো। ঐতিহাসিক বস্তুবাদ (ইংরেজি Historical
শ্রেণিসংগ্রাম প্রসঙ্গে মার্কসবাদ
উৎপাদন ব্যবস্থার সমরূপের দ্বারা সৃষ্ট, শ্রম-অবস্থানের বিভিন্ন স্তরে অবস্থানরত জনগোষ্ঠী হলো শ্রেণি। সমঅবস্থান ও সমস্বার্থের চেতনা হলো শ্রেণিচেতনা। বর্তমান সমাজ শ্রেণিতে বিভক্ত। সাধারণ শ্রেণি স্বার্থের জন্য সংগ্রামেই দীর্ঘকাল ধরে নির্ধারিত হচ্ছে মানব সমাজের ঐতিহাসিক বিকাশ। সেই কারণে মার্কসবাদী তত্ত্ব শ্রেণিসংগ্রামকেই মনে করে ইতিহাসের চালিকা শক্তি এবং খুবই মনোযোগ প্রদান করে
মার্কসবাদের তিনটি উৎস
মার্কসবাদ বলতে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের মতবাদকে বোঝায় না। এর মধ্যে দর্শন, রাজনীতি, অর্থনীতি, ইতিহাস, সমাজ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় এবং এসব বিষয় সম্পর্কিত বিভিন্ন মতবাদের সমাবেশ ঘটেছে। মানুষ, তার সমাজ এবং তার আশপাশের প্রকৃতিকে কেন্দ্র করেই মার্কসবাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় ও মতবাদের উদ্ভব ঘটেছে। এসব বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে দর্শন, রাজনীতি ও
মার্কসের দৃষ্টিতে মানুষ
মানুষই হলো মার্কস এঙ্গেলসের জীবনবীক্ষার কেন্দ্রীয় বিষয়। বর্তমানকে বদলাবার প্রয়োজন তারা অনুভব করেছিলেন এই মানব প্রজাতির জন্যই। প্রাণী হিসেবে ‘মনুষ্য’ নাম প্রযুক্ত হলেও সামাজিক প্রাণী হিসেবে বা নৃতাত্ত্বিক অবস্থা থেকে বর্তমান মনুষ্য হিসেবে ‘মানুষ’ শব্দটি একই সাধারণ অর্থ প্রকাশ করে না। মার্কস প্রাকৃতিক ও মানবিক এই দুই অর্থে মানুষকে দেখেছেন। অর্থাৎ
মুক্তি প্রসঙ্গে মার্কসবাদ
মুক্তি বা স্বাধীনতা (ইংরেজি Freedom বা Liberty) হচ্ছে একটি সমাজে মানুষের সম্ভাবনার পূর্ণ উন্নতির সংস্থান করে মানুষের নিজ কর্মসমূহ নির্ধারণ করার সামর্থ্য ও অধিকার। মুক্তি ব্যক্তিগতভাবে একজনও উপভোগ করতে পারেন কিন্তু তা সমাজের ভেতরেই করতে হয়। ব্যক্তিগত গুণগুলো সমাজের ভেতরেই বিভিন্ন দিকে কর্ষণ করা যায়, তাই শুধু সমাজের ভেতরেই ব্যক্তিগত
মার্কসবাদী দর্শনের একটি সাধারণ রূপরেখা
মার্কসবাদী দর্শন (ইংরেজি Marxist Philosophy বা Marxist theory) মানুষের বিচ্ছিন্নতা, তার নিজেকে হারিয়ে ফেলা আর নিছক জিনিসে রূপান্তরিত করবার বিরুদ্ধে এক প্রতিরোধ। এই দর্শন পশ্চিমা শিল্পায়নের বিকাশের অস্থিমজ্জায় মিশে থাকা মানুষের বিমানবিকীকরণ আর তাকে যন্ত্রে পরিণত করবার বিরুদ্ধে এক আন্দোলন। মার্কসবাদী দর্শন প্রতিরোধের দর্শন, এই প্রতিরোধের সাথে জড়িয়ে আছে মানুষ,