গঙ্গা নদী বাংলাদেশ ভারতের অন্যতম আন্তঃসীমান্ত নদী

গঙ্গা বা পদ্মা নামের বহুল পরিচিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ নদী বাংলাদেশের অন্যতম আন্তঃসীমান্ত নদী হিসেবে পরিচিত। নদীটি ভারত ও বাংলাদেশের প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ নদী হিসেবে খ্যাত। মুখ্যত এই নদীর অববাহিকাতেই এ অঞ্চলের আদি সভ্যতা বিকাশ লাভ করেছিল। নদীটির মোট দৈর্ঘ্য ২৫২৫ কিলোমিটার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা পাউবো কর্তৃক গঙ্গা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ২৭।[১]

প্রবাহ: গঙ্গা সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে প্রায় ৭০১০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত হিমালয় পর্বতের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। প্রবাহপথে এ নদী ভারতের হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও বিহার পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এসে দ্বিধারায় বিভক্ত হয়েছে। এর একটি শাখা গঙ্গা নামেই হুগলী হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে এবং অপর শাখাটি পদ্মা নামে রাজমহল হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাধীন শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়ন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এ নদী বাংলাদেশ ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর প্রায় ১১০ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবাহকালে নদীটি রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দের কাছে যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে এবং পদ্মা নামে চাঁদপুর পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে মেঘনার জলধারায় সমর্পিত হয়েছে। গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদের সমন্বয়ে প্রায় ১০০,০০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই বঙ্গ বদ্বীপ সৃষ্টি হয়েছে। এই সুবৃহৎ বদ্বীপের অধিকাংশ অঞ্চলই বাংলাদেশের সীমানাভুক্ত। 

তথ্যসূত্র:  

১. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি, কথাপ্রকাশ, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, পৃষ্ঠা 103-106, ISBN 984-70120-0436-4.

আরো পড়ুন:  উত্তরবঙ্গের নদী হচ্ছে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের নদনদীর বিশাল সমাহার

Leave a Comment

error: Content is protected !!