বাংলা লোকসংগীতের ধারা উপধারা চারটি অঞ্চলের অর্ধশত ধরনের লোকসংগীত

দশটি লোকসংগীত

আমাদের দেশীয় লোকসংগীতের মধ্যে বাংলা লোকসংগীতের যতগুলো ধারা ও উপধারা (ইংরেজি: Bangla folk music genre) আছে সেগুলোকে মূলত চারটি অঞ্চলভেদে ভাগ করা যায়। যেমন-পূর্বাঞ্চল বা পূর্ববঙ্গ, উত্তরাঞ্চল বা উত্তরবঙ্গ, পশ্চিমাঞ্চল বা পশ্চিমবঙ্গ এবং দক্ষিণাঞ্চল বা দক্ষিণ বঙ্গের লোকসংগীত। এই চারটি ধারার প্রত্যেকটি আবার বিভিন্ন উপধারায় বিভক্ত। আরো পড়ুন

কবিগান হচ্ছে অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যে কবিয়ালদের গাওয়া গান

কবি গান

অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগ হতে আরম্ভ করে, ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত কবিয়াল নামক এক ধরনের গীত ব্যবসায়ী যে, সংগীত দ্বারা বাংলার জনসাধারণের সকল কৌতুহল আকর্ষণ করেছিল তাই কবিয়ালের গান বা কবিগান (ইংরেজি: Kobigaan) বলে পরিচিত।[১] কবিয়ালদের লোকসংগীতের এই ধারা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত অগ্রসর হয়ে এসেছে। আরো পড়ুন

আলকাপ গান হচ্ছে উত্তরবঙ্গের বাংলা ভাষার জনপ্রিয় বাংলা লোকসংগীত

আলকাপ গান

আলকাপ গান (ইংরেজি: Alkap song) গঙ্গা-ভাগীরথী-মহানন্দা অববাহিকা অঞ্চলের জনপ্রিয় বাংলা লোকসংগীত। প্রধানত মুর্শিদাবাদ জেলায় এবং নদীয়া, বর্ধমান, বীরভূম ও মালদহ জেলার কোনো কোনো অংশে এক শ্রেণীর পালাগান প্রচলিত আছে, তাকে আলকাপ গান বলে। গম্ভীরা ও বোলান থেকে বেরিয়ে এসে, আলকাপ নাম নিয়ে একটি আলাদা ধারা সৃষ্টি হয়েছে। আরো পড়ুন

বাংলার মানুষের জীবন ও কর্মের সাথে সম্পৃক্ত বাংলা ভাষার জনপ্রিয় পনেরটি সারি গান

বাংলাভাষী অঞ্চলে সারা পৃথিবীর ন্যায় লোকসংগীত খুব জনপ্রিয় এবং এসব সংগীতের ভেতর সারি গান একটি। নদনদী, হাওড়-বাওড় জলাভূমি সমভূমি বেষ্টিত মহান কৃষক ও শ্রমিকগণ কাজের মাধ্যমে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। তাদের কাছে বাংলা লোকসংগীতের একটি জনপ্রিয় ধারা হচ্ছে সারি গান (ইংরেজি: Sari gaan)। আরো পড়ুন

সারিবদ্ধভাবে কাজ করতে করতে যে লোকসংগীত গাওয়া হয় তাই সারি গান

সারিবদ্ধভাবে বা একত্রে কাজ করতে করতে কায়িক শ্রমকে মধুর করার জন্য কিংবা কাজের মধ্যে প্রাণ বা উন্মাদনা সঞ্চার করার জন্য যে লোকসংগীত গাওয়া হয় তাকে সারি গান (ইংরেজি: Sari gaan বা Shari gaan) বলা যায়। সুরের বৈচিত্র্য খুব বেশি লক্ষিত হয় না এখানে। এ গানগুলি অত্যন্ত আবেগধর্মী সমবেত সংগীত। সমবেতভাবে গাওয়া হয় বলে এগানের মূল আশ্রয় তাল বা রিদিম। আরো পড়ুন

সহেলা গীত বাংলার লোকসংগীত ও লোকনৃত্যের ধারায় একটি স্বতন্ত্র শাখা

সহেলা গীত

বাংলাদেশের লোকসংগীত ও লোকনৃত্যের ধারায় সহেলা গীত (ইংরেজি: Sahela geet) ও মেয়েলী গীত একটি স্বতন্ত্র শাখা। পারিবারিক, সামাজিক বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে বা আচার ব্রতে মেয়েরা যে গান পরিবেশন করে থাকে তাই সহেলা গীত নামে পরিচিত। ড. মুহম্মদ এনামুল হক একে বলেছেন ‘সহেলা গীত’। এ নামকরনের ব্যাপারে তার যুক্তি হলো, মেয়েরাই এ গানের গায়িকা এবং শ্রোতা । আরো পড়ুন

পশ্চিমবঙ্গের বাংলা লোকসংগীত হচ্ছে প্রধান তিনটি ধারার প্রায় কুড়ি ধরনের লোকসংগীত

পশ্চিমবঙ্গের লোকসংগীত

পশ্চিমবাংলা বা পশ্চিমবঙ্গের লোকসংগীত (ইংরেজি: Folk music of West Bengal) হচ্ছে প্রধান তিনটি ধারার প্রায় কুড়ির অধিক ধরনের লোকসংগীত। ভাটিয়ালি, বাউল ও ঝুমুর গানের বিভিন্ন উপধারা নিয়ে গড়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের লোকসংগীত। সাধারণত লোকসংস্কৃতির একটা প্রধান অংশ হচ্ছে লোকসংগীত। আরো পড়ুন

উত্তর বাংলার ভাওয়াইয়া রীতির উপশ্রেণী চটকা গান হচ্ছে এক প্রকার রঙ্গগীতি

চটকা গান

উত্তর বাংলার ভাওয়াইয়া রীতির উপশ্রেণী চটকা গান (ইংরেজি: Chatka song) হচ্ছে এক প্রকার রঙ্গগীতি। এ গান চটুল এবং দ্রুত তালের, অর্থাৎ এই গান তাল-প্রধান। গ্রাম্য ‘চট’ (অর্থ তাড়াতাড়ি) শব্দটির স্ত্রীলিঙ্গান্তর করে ‘চটকা’ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। এই ধরনের গানে যথেষ্ট হাস্যরসের উপাদান থাকে। আরো পড়ুন

গম্ভীরা হচ্ছে উত্তরবঙ্গের একটি জনপ্রিয় বিশেষ ধরনের লোকসংগীত

গম্ভীরা গান

উত্তরবঙ্গের লোকসংগীতের রত্নসমূহের মধ্যে মালদহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী অঞ্চলে এক বিশেষ ধরনের গান গম্ভীরা বা গম্ভীরা গান (ইংরেজি: Gombhira) নামে পরিচিত। এই গান বিশ শতকের শুরুর দিকে কেবল ধর্মীয় ভাবাপন্ন ছিলো, তবে ১৯২০-এর পরে এতে রাজনৈতিক ও সামাজিক উপাদান যুক্ত হয়েছে। এমনকি পরিবেশনাতেও নতুন রূপ এসেছে। আরো পড়ুন

ভাওয়াইয়া গান হচ্ছে উত্তরবঙ্গের অরণ্য ও প্রকৃতিবাহিত জনমানুষের লোকসংগীত

বাংলা গান

উত্তরবঙ্গের অরণ্য প্রকৃতির গাম্ভীর্যপূর্ণ মৌনতা, নদনদীর ক্ষিপ্র গতি, সেখানকার মানুষের মন দ্বারা বাহিত হয়ে সুর তাল ছন্দ নিয়ে রূপ পেয়েছে ভাওয়াইয়া লোকগান (ইংরেজি: Bhawaiya song)। লেখক তপন রায় উল্লেখ করেছেন যে, ‘উত্তরাঞ্চল বা উত্তরবঙ্গের ধারাগুলোর প্রধান ধারাটি ভাওয়াইয়া’।[১] ভাওয়াইয়া কথাটির উৎপত্তি সম্পর্কে অনেক মতভেদ রয়েছে। ভাব (মনের অনুভূতি) ভাও+ইয়া; অর্থাৎ যে সমস্ত গানের মধ্য দিয়ে গহিন মনের অনুভূতি প্রকাশ করা হয় তাই ভাওয়াইয়া। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!