আয়াপান ভেষজ গুণসম্পূর্ণ বর্ষজীবী বিরুৎ

আয়াপান বহুবর্ষজীবী ও মসৃণ বিরুৎ। এটি ৬০ সেমি লম্বা বা ততোধিক দৈর্ঘ্যের হয়। পাতা অবৃন্তক, বল্লমাকার। পুষ্পবিন্যাস শিরমঞ্জরী, পুষ্পদন্ডবিশিষ্ট, শিথিল সমভূমঞ্জরী, ব্যাস ৮ মিমি, সমপরিণত, চাকতি-আকৃতি, মঞ্জরী পত্রাবরণ, অর্ধ-গোলাকার।আরো পড়ুন

বন মটমটিয়া দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ বিরুৎ

এই প্রজাতি সরল, সোজা ও সুপ্রসারী বীরুৎ। তবে এর আকার দেখতে ছোট গুল্মের মতো। এটি ২.১ মিটারের বেশি লম্বা হয় না। এদের শাখা সরেখ ও হালকা রোমশ। পত্র বৃন্তে লাগানো থাকে। পাতার বৃন্ত ২.৫ সেমি লম্বা হয়। পত্রফলক অনূর্ধ্ব ১২.০ X ৬.৫ সেমি, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডিম্বাকার প্রান্তীয় গুলি স্পষ্টতঃ বল্লমাকার, স্পষ্টভাবে ৩-শিরাবিন্যাসিত, শীর্ষ দীর্ঘাগ্র বা সূক্ষ্মাগ্র, নিম্নাংশ কীলকাকার-কর্তিতা, স্বল্প সংখ্যক স্থূল দন্ত বিশিষ্ট দম্ভর, স্বল্প সংখ্যক প্রান্তীয় গুলি অর্ধ-অখন্ড, উভয় পৃষ্ঠ রোমশ।আরো পড়ুন

হাড়বাড়িয়া ইকো পর্যটন কেন্দ্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি

সুন্দরবন সামান্য জায়গা না বা এক নজরে বিস্তৃত বনাঞ্চল দেখা হয়। খন্ড খন্ডভাবে দেখতে হয়। এই ভ্রমণ একক ব্যাপারও না। যৌথভাবে ঘুরতে হয়।  সুন্দরবন ভ্রমণের একটি অংশ হাড়বাড়িয়া। এখানে যাওয়ার জন্য একটাই পথ; সেটা হলো জলপথ। লঞ্চ বা জাহাজ এবং নৌকা। এখানে দু’ধরনের নৌকা পাওয়া যায়। কাঠের সনাতন নৌকা আর মেশিন চালিত নৌকা। এছাড়া স্প্রিড বোডও আছে। সঙ্গে গাইড নিয়ে নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী ভ্রমণ করার ব্যবস্থা আছে।

দইগোটা বা লটকন গাছের উপকারিতা

দইগোটা

চিরসবুজ ঝোপঝাড়যুক্ত ক্ষুপ জাতীয় বৃক্ষ। এটি অযত্নে বেড়ে ওঠে তেমনটা নয়। বাংলা, পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের অন্যান্য প্রদেশে বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য যত্নসহকারে লাগানো হয়ে থাকে। এছাড়া দক্ষিণ ভারতের মহীশূর ও অন্যত্র রঙের জন্য ব্যবসায়িক ভিত্তিতে চাষ করা হয়।আরো পড়ুন

কুম্ভি গাছ-এর নানাবিধ ভেষজ গুণাগুণের বিবরণ

কুম্ভি গাছ (Careya arborea ) বাংলাদেশ, ভারতসহ এশিয়ার দেশগুলোতে এটি ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ভেষজ গুণ ছাড়াও এটি অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়। কাঠও নান কাজে ব্যবহৃত হয়। সর্দি, কাশি ছাড়াও বাহ্যিক রোগ সারাতে এটি ব্যবহৃত হয়।আরো পড়ুন

কুম্ভি এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ বৃক্ষ

বৃহদাকৃতি গাছ, ৫০ থেকে ৬০ ফুট পর্যন্তও উঁচু হতে দেখা যায়। কাণ্ড বেশ মোটা হয়, ছাল পুরু ও ধূসর রঙের, ভেতরের দিকটা লালচে। কাঠের উপরিভাগ সাদাটে, অন্তঃকাষ্ঠ হালকা লাল। পাতা আকারে বড়, লম্বায় ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি এবং চওড়ায় ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি, লম্বাকৃতি, বোঁটার দিক সরু, অগ্রভাগ ক্রমশঃ মোটা হতে হতে অল্প সরু, কিনারা কাটা কাটা।আরো পড়ুন

কাকজংঘা গাছের নানাবিধ ভেষজ গুণাগুণের বিবরণ

কাকজংঘা সমগ্র গাছ ক্ষয়নাশক এবং যক্ষ্মায় প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে। পাতা ও ছোট ছোট ডাল জীবাণুনাশক ও ক্ষতে পুলটিস হিসাবে ব্যবহৃত হয়। গাছটির কাণ্ড ও কন্দ সংকোচক এবং পিচ্ছিল, স্নেহন ও সংগ্রাহক। গাছের আকৃতি ছোট। জলাসন্ন ভূমিতে অথাৎ নদী, ঝিল, পুকুর এবং জঙ্গলের ধারে, পতিত জমিতে গাছগুলি অযত্নে জন্মে থাকে।আরো পড়ুন

কুন্দরো গাছের ছয়টি ভেষজ গুণাগুণের বিবরণ

এর আঠা (Resin) বলকর, বায়ুনাশক ও কফনিঃসারক। মুখের নানা প্রকার রোগ, জীর্ণ ফুসফুস নলিকা প্রদাহ, অর্শ, অতিসার, বাত, ক্ষয়জ গ্রন্থি, ব্রণ প্রভৃতিতে ব্যবহার্য। মোম ও কোকম বাটারের সঙ্গে মিশিয়ে যে মলম প্রস্তুত হয়, তা দুষ্টব্রণে হিতকর। এটি পুলটিস ও মলম প্রস্তুতের কাজে লাগে। এছাড়া এই আঠা বার্ণিশের জন্য ব্যবহৃত হয়।আরো পড়ুন

সাদা শিমুল গাছের নানাবিধ ভেষজ গুণাগুণ

সাদা শিমুল (Ceiba pentandra) ভারতের উষ্ণ-প্রধান অঞ্চলে বেশি জন্মে। বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে জন্মে। বীজ অথবা কাটিং থেকে গাছ তৈরী হয় । ঔষধার্থে ব্যবহার্য অংশ— পাতা, ছাল, ফুল, ফল, শিকড় বা কচি গাছের ও আঠা।আরো পড়ুন

কুসুম এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ বৃক্ষ

কুসুম বড় ধরনের ঝাকড়া গাছ। গাছ বেশ মোটা হয়, ছালের বাইরের বর্ণ ধূসর বাদামী, ভেতরের দিকটা রক্তাভ। কাঠ খুবই শক্ত। ঘরবাড়ির সাজ-সরঞ্জাম, আসবাবপত্র তৈরীর কাজে লাগে। পাতার ডাঁটা প্রায় ফুটখানিক লম্বা। ঐ ডাঁটার দুধারে ২- ৪ জোড়া পাতা বা পত্রিকা থাকে, সেগুলি ৮/১০ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হলেও নিচের দিকের পাতা আকারে ছোট। বসন্তের প্রারম্ভে গাছে নতুন পাতা গজায়।আরো পড়ুন

error: Content is protected !!