আলোছায়া দোলা উতলা ফাগুনে বনবীণা বাজে হচ্ছে অজয় ভট্টাচার্যের লেখা একটি আধুনিক বাংলা গান। গানটির আকার ছোট। গানটি কেবল নয় লাইনের। গানটি সুর করেছিলেন হিমাংশু দত্ত এবং গেয়েছিলেন শচীন দেববর্মণ। গানটি অজয় ভট্টাচার্যের একটি রাগপ্রধান গান।
গানটি নারায়ণ চৌধুরী সংকলিত ও সম্পাদিত রেণুকা ভট্টাচার্য প্রকাশিত এম সি সরকার এন্ড সন্স প্রাইভেট লিমিটেড পরিবেশিত অজয়-গীতি সংগ্রহ কলকাতা প্রথম প্রকাশ আগস্ট ১৯৭৫ গ্রন্থের ১৪৯ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত রয়েছে।
গানের কথা
আলোছায়া দোলা উতলা ফাগুনে বনবীণা বাজে,
পথচারী কলি চলে যে কাকলি জাগে মধু লাজে।
মৃদু ফুলবাসে
সমীর নিশাসে
অজানা আবেশ ধীরে ভেসে আসে আজি হিয়া মাঝে।।
দোলে লতা বেণী সাজে বনপরী,
বাঁধে ফুল রাখি বুঝি মোরে স্মরি।
চারু দিঠি তার ডাকে অনিবার—
এ শুভ লগনে আজি কে কেমনে রহি আন কাজে? ।।
একজন বিখ্যাত বাঙালি আধুনিক রোমান্টিক গানের গীতিকার ও কবি অজয় ভট্টাচার্য (জুলাই, ১৯০৬ – ২৪শে ডিসেম্বর, ১৯৪৩) বাঙালি মধ্যবিত্তের প্রেম, আশা আর মনোবেদনার কানাগলিতে বিশ শতকের প্রথমার্ধে বিচরণ করেছেন। হিমাংশু দত্ত সুরসাগরের সুরে তাঁর লেখা গান চল্লিশ দশকের কলকাতার সংগীতপ্রেমীদের মধ্যে বিপুল সাড়া জাগায়। বাংলা সবাক চলচ্চিত্রের শুরু থেকেই তাঁর লেখা গান রাইচাঁদ বড়াল, পঙ্কজ মল্লিক, শচীন দেববর্মণ ও অনুপম ঘটকের সুরে সারা দেশে বারে বারে উচ্চকিত হয়ে ওঠে। বাংলা গানে, কাজী নজরুল ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরে অজয় ভট্টাচার্য্য সব থেকে বেশি গানের কলি লিখেছেন।