আমি এত যে তোমায় ভালবেসেছি, তবু, মনে হয় এ যেন গো কিছু নয় হচ্ছে শ্যামল গুপ্তের লেখা একটি আধুনিক বাংলা গান। গানটি ১৭ লাইনের মাঝারি আকারের আধুনিক বাংলা প্রেমের গান। গানটির প্রথম সুরকার ও শিল্পী ছিলেন মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়। পরবর্তীতে এই গানটি গেয়েছিলেন শ্রীকান্ত আচার্য। এছাড়াও দুই বাংলার অনেক শিল্পীই গানটি বহুবার গেয়েছেন।
গানটি কবি শ্যামল গুপ্তের একটি গীতিকবিতা। কবিতাটি সুরকার মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের দারুণ দক্ষতায় হয়ে উঠেছে এক অনবদ্য প্রেমের গান। আধুনিক বাংলা প্রেমের গানের মূল বৈশিষ্ট্যের অনেকগুলোকেই ধরতে পেরেছে। প্রেম, বিরহ, বেদনা, অভিমান, সমর্পণ এবং স্মৃতি মিলিয়ে এটি রোমান্টিকতার এক চূড়ান্ত রূপ। এছাড়াও গানটিতে আছে দৈহিক সৌন্দর্যের বিবরণ এবং মাধবীর সুরভি ছড়ানো রাতের গানে বিরহে কাতর এক পাখির কথা। বাংলা গানে এটি এক অনবদ্য সৃষ্টি।
গানটি বহু গ্রন্থে এবং পত্রপত্রিকায় সংকলিত হয়েছে। গানটি শিশির চক্রবর্তী সংকলিত পত্রভারতী কলকাতা প্রকাশিত দ্বিতীয় মুদ্রণ ডিসেম্বর ২০১৮পাঁচদশকের আধুনিক বাংলা গানের গীতবিতান এ শুধু গানের দিন গ্রন্থের ২২৫ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত রয়েছে। এছাড়াও গানটি সুধীর চক্রবর্তী সংকলিত ও সম্পাদিত প্যাপিরাস কলকাতা প্রকাশিত প্রথম প্রকাশ ১ বৈশাখ ১৩৯৪ আধুনিক বাংলা গান গ্রন্থে প্রকাশিত রয়েছে। রোদ্দুরে ডট কম গানটি প্রকাশ করতে পেরে আনন্দিত।
গানের কথা
আমি, এত যে তোমায় ভালোবেসেছি।
তবু, মনে হয় এ যেন গো কিছু নয়
কেন, আরো ভালোবেসে যেতে পারে না হৃদয়।।
তোমার কাজল চোখে যে- গভীর ছায়া কেপে উঠে ওই
তোমার অধরে ওগো যে- হাসির মধু মায়া ফোটে ওই
তারা এই অভিমান বোঝে না আমরা বলে,
তুমি তো আমায় ভালোবেসেছ
শুধু, আমার গোপন ব্যাথা কেঁদে কেঁদে কয়
তুমি তো জান না ওগো তোমার প্রাণের ওই
সুরের কাছে —
আমার গানের বানী আহত পাখির মত
লুটাইয়া আছে।
তবু এ মাধবী রাতে আমায় যে- মালা তুমি পরালে
যে- মাধুরী দিয়ে মোর শূন্য জীবন তুমি ভরালে
তারা এ- দিনতাটুকু দেখে না আমার
বলে, তুমি তো আমায় ভালোবেসেছো
শুধু আমার গোপন ব্যাথা কেঁদে কেঁদে কয়।।
শ্যামল গুপ্তের লেখা দারুণ এই গীতিকবিতাটি ইউটিউবে শুনুন
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।