আমি স্বপ্নে তোমায় দেখেছি মোর নিশীথ বাসর শয্যায়, মন বলে ভালবেসেছি,

আমি স্বপ্নে তোমায় দেখেছি মোর নিশীথ বাসর শয্যায়, মন বলে ভালবেসেছি হচ্ছে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা একটি আধুনিক বাংলা গান। গানটি মাঝারি আকারের ১৫ লাইনের একটি বাংলা প্রেমের গান। গানটি সুর করেছিলেন রবীন চট্টোপাধ্যায় এবং গানটি প্রথম রেকর্ডিংয়ে ১৯৬১ সালে গেয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। গানটি ১৯৬১ সালে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনেবিপাশা চলচ্চিত্রে উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেনের অভিনয়ে প্রথম দর্শকদের সামনে উপস্থিত হয়।

গানটি গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের একটি মাঝারি মানের গীতিকবিতা। গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের এই গানটিতে আধুনিক বাংলা প্রেমের গানের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো ফুটে উঠেছে। প্রেম, আকাঙ্খা, প্রকৃতি, তিথি, সুরেলা আবেশ, বিহ্বলতা, সমর্পণ, স্বপ্ন এবং স্মৃতি মিলিয়ে গানটি রোমান্টিকতার এক চূড়ান্ত রূপ।

গানটিতে দুজন ভালোবাসার মানুষের পরস্পরকে পাওয়ার অনুভূতিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গানটি দীর্ঘ মিলনের আকাঙ্ক্ষাকে কাব্যিকভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। আকাঙ্ক্ষার মানুষটির প্রতীক্ষায় স্বপ্ন দেখার কথা আছে, যদিও না জানাতে পারার বেদনা খুবই দৃষ্টিগ্রাহ্য। কাব্যিক রূপ গানটির একটি প্রধান দিন দিক। গানটিতে যেসব শব্দ চয়ন করা হয়েছে, সেগুলো সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে স্বাভাবিক ছিল।

গানটি শিশির চক্রবর্তী সংকলিত পত্রভারতী কলকাতা প্রকাশিত দ্বিতীয় মুদ্রণ ডিসেম্বর ২০১৮পাঁচদশকের আধুনিক বাংলা গানের গীতবিতান এ শুধু গানের দিন গ্রন্থের ৩৫৬-৩৫৭ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত রয়েছে। রোদ্দুরে ডট কম গানটির একটি বিশ্লেষণ প্রকাশ করতে পেরে আনন্দিত।

গানের কথা

আমি স্বপ্নে তোমায় দেখেছি
মোর নিশীথ বাসর শয্যায়,
মন বলে ভালবেসেছি,
আঁখি বলিতে পারেনি লজ্জায়।।

জানিনা এ কোন লীলাতে
মন চায় যে মাধুরী বিলাতে,
তবু পারেনি তোমারে ভোলাতে
মধুর বধুর সজ্জায়।।

সুন্দর এই মায়া তিথিতে
মন তুমি ছাড়া কিছু জানে না,
যেন এ আবেশ কোনদিন ভাঙ্গে না।
জানিনা তো এই ফাগুনে
আমি জ্বলে মরি কীসের আগুনে
এ কোন খুশীর বিজুরি
শিহরে তনুর মজ্জায়।।

আমি স্বপ্নে তোমায় দেখেছি গানটির চিত্রায়ন ইউটিউব থেকে দেখুন

সরোজিনী ঘোষের কণ্ঠে আমি স্বপ্নে দেখেছি

Leave a Comment

error: Content is protected !!