
গৌরাঙ্গ বলিতে হবে পুলক শরীর। হরি হরি বলিতে নয়নে ব’বে নীর হচ্ছে কবি নরোত্তম দাস রচিত একটি বৈষ্ণব পদাবলি। এই বৈষ্ণব পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে কবি রচনা করেন। বিভিন্ন ব্যক্তির সংকলনে এটির বিভিন্ন ভাষ্য দেখা যায়। রোদ্দুরে ডট কম মূলত এখানে গাওয়া ভজনটির একটি রূপকে উপস্থাপন করছে, এবং নিম্নে গানটির একটি সংক্ষিপ্ত রূপ দিচ্ছে।
এটি মূলত একটি ভজন বা ভজনসংগীত যা বাংলা লোকসংগীত হিসেবে মানুষের কাছে গণ্য।
গৌরাঙ্গ বলিতে হবে ভজনটির কথা
গৌরাঙ্গ বলিতে হবে পুলক শরীর।
হরি হরি বলিতে নয়নে ব’বে নীর।।
কবে নয়ন জলে বুক ভাসিবে
হকৃষ্ণ হকৃষ্ণ বলে।
আর কবে নিতাই চাঁদের করুণা হইবে।
সংসার বাসনা আমার কবে তুচ্ছ হবে।।
বিষয় ছাড়িয়া কবে শুদ্ধ হবে মন।
কবে হাম হেরইব মধুর বৃন্দাবন।।
কবে বা হবে এ জীবনে আমার কবে বৃন্দাবনে প্রবেশিব
হকৃষ্ণ হকৃষ্ণ বলে।।
রূপ রঘুনাথ পদে হইবে আকুতি।
কবে হাম বুঝব সে যুগল পীরিতি।।
রূপ রঘুনাথ পদে রহু মোরে আশ।
প্রার্থনা করয়ে সদা নরোত্তম দাস।।
আমি আর কিছু চাই না,
ওহে নিতাই গৌরহরি আর কিছু চাই না
এজন্মে নয় জন্মে জন্মে আর কিছু চাই না।
সে অবধি কারো গৃহে আর কিছু চাই না।।
এজন্মে নয় জন্মে জন্মে আর কিছু চাই না।।
গানটি নিচে ক্লিক করে ইউটিউব থেকে শুনুন
অন্য আরেকটি লিখিত রূপ
গৌরাঙ্গ বলিতে হবে পুলক শরীর।
হরি হরি বলিতে নয়নে ব’বে নীর।।
আর কবে নিতাইচাঁদের করুণা হইবে
সংসার বাসনা মোর কবে তুচ্ছ হবে।।
বিষয় ছাড়িয়া কবে শুদ্ধ হবে মন।
কবে হাম হেরিব শ্রীবৃন্দাবন।।
রূপ রঘুনাথ পদে হইবে আকুতি।
কবে হাম বুঝব সে যুগল পীরিতি।।
রূপ রঘুনাথ পদে রহু মোর আশ।
প্রার্থনা করয়ে সদা নরোত্তম দাস।।