হবিগঞ্জের জালালী কইতর,
সুনামগঞ্জের কুরা,
সুরমা নদীর গাংচিল,
আমি শূন্যে দিলাম উড়া।
শূন্যে দিলাম উড়ারে ভাই যাইতে চান্দের চর
ডানা ভাইঙ্গা পড়লাম আমি কৈলকাত্তার উপর
তোমরা আমায় চিনছনি।।
হাওরের পানি নাইরে হেথায়, নাইরে তাজা মাছ
বিলের বুকে ডানা মেলা নাইরে, হিজল গাছ
বন্ধু নাইরে তাজা মাছ
তবু নিদহারা নগরের পথে রাইতে দুপুরে
মরমিয়া ভাটিয়ালি আমার গলায় ঝুরে
তোমরা আমায় চিনছনি।।
এই সুরে আছেরে বন্ধু অশ্বত্থ বটের ছায়া
এই সুরে বিছাইয়া দেয়রে শীতল পাটির মায়া
বন্ধু অশ্বত্থ বটের ছায়া।
এই না সুরের পালের দোলায়, খুশির হাওয়া বয়
এই সুরের দৌলতে আমি জগত করলাম জয়
তোমরা আমায় চিনছনি।।
সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমার চুনারুঘাট উপজেলার মিরাসি গ্রামে জন্ম নেয়া হেমাঙ্গ বিশ্বাস বাংলা গণসংগীতের জননন্দিত মহাযোদ্ধা। তিনি একজন বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী, কবি, লেখক এবং সুরকার। মূলত লোকসঙ্গীতকে ভিত্তি করে গণসঙ্গীত সৃষ্টির ক্ষেত্রে তাঁর অবদান বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয়। “হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান” এবং “শঙ্খচিলের গান” তাঁর গানের দুটি সঙ্কলন।