মধুর আমার মায়ের হাসি চাঁদের মুখে ঝরে, মাকে মনে পড়ে আমার মাকে মনে পড়ে হচ্ছে প্রণব রায়ের লেখা একটি আধুনিক বাংলা গান। গানটি ১১ লাইনের মাঝারি আকারের আধুনিক বাংলা প্রেমের গান। গানটির প্রথম রেকর্ডিং-এ সুরকার এবং শিল্পী ছিলেন সুধীরলাল চক্রবর্তী। পরবর্তীতে অনুপ ঘোষাল সহ আরো বেশ কিছু শিল্পী গানটি রিমেক করেন। গানটি মায়ের প্রশস্তিমূলক হওয়ায় বাঙালি গানটিকে আপন করে নিয়েছে। গানটি হয়ে উঠেছে এক অনবদ্য গান।
গানটি সুধীর চক্রবর্তী সংকলিত ও সম্পাদিত প্যাপিরাস কলকাতা প্রকাশিত প্রথম প্রকাশ ১ বৈশাখ ১৩৯৪ আধুনিক বাংলা গান গ্রন্থে প্রকাশিত রয়েছে।
মধুর আমার মায়ের হাসি চাঁদের মুখে ঝরে,
মাকে মনে পড়ে, আমার মাকে মনে পড়ে ।।
তার মায়ায় ভরা সজল বীথি সেকি কভু হারায়?
সে যে জড়িয়ে আছে ছড়িয়ে আছে সন্ধ্যা রাতের তারায়,
সেই যে আমার মা !
বিশ্ব ভূবন মাঝে তাহার নেইকো তুলনা।।
তার ললাটের সিঁদুর নিয়ে ভোরের রবি উঠে,
আলতা পড়া পায়ের ছোয়ায় রক্ত কমল ফোটে ।
প্রদীপ হয়ে মোর শিয়রে কে জেগে রয় দুখের ঘরে
সেই যে আমার মা ।।
বিশ্ব ভূবন মাঝে তাহার নেই কো তুলনা।।
কবি প্রণব রায়ের জন্ম বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারে। পিতার নাম দেবকুমার রায়চৌধুরী। ছোটবেলা থেকেই প্রণবের কবিতার প্রতি ভালবাসা জন্মেছিল। “বিশ্ববন্ধু” পত্রিকায় “কমরেড” নামে একটি কবিতা লিখে কারাবরণ করেন। জেল থেকে বেরিয়ে শুরু করেন রহস্য-পত্রিকা “রোমাঞ্চ”। ছোট গল্প, কবিতা লিখেছেন “বসুমতী”, “গল্পলহরী”, “পুষ্পপাত্র”, “শিশির” প্রভৃতি পত্রিকায়। ১৯৩৪ সালে কাজী নজরুল ইসলামের সংস্পর্শে এসে তাঁর গীতিকার জীবনের শুরু। তিনি বহু “প্রথম”-এর অধিকারী! কমলা ঝরিয়ার প্রথম রেকর্ডের জন্য প্রথম গান “ও বিদেশী বন্ধু” তাঁর লেখা। ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়-এর রেকর্ডের প্রথম গান, জগন্ময় মিত্রর গাওয়া প্রথম বাংলা ব্যালাড “চিঠি” প্রণব রায়েরই লেখা।