মুক্তির মন্দির সোপান তলে কত প্রাণ হলো বলিদান, লেখা আছে অশ্রুজলে হচ্ছে মোহিনী চৌধুরীর লেখা একটি জনপ্রিয় গণসংগীত। এই গণসংগীতে মূলত ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জীবনের ত্যাগ ও মহত্ত্বকে তুলে ধরা হয়েছে। অন্যান্য গণসংগীতের মতো এটিও দুঃখভরা মন নিয়ে গাওয়া হয় এবং মুক্তির জন্য জনগণকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হয়।
মোহিনী চৌধুরী লিখিত এই গানটি তাঁকে খ্যাতি ও সুনাম এনে দেয়। এই গানটির সুরকার ছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র দে। পরে এই গানটি বিভিন্ন জনের কন্ঠে পুনঃপুনঃ নির্মিত হয়েছে। এই গানটি বাংলা আধুনিক গানে এক নতুন সংযোজন। সুধীর চক্রবর্তী তার সম্পাদনায় প্রকাশিত আধুনিক বাংলা গান গ্রন্থে গানটিকে সংকলিত করেছিলেন।
গানের কথা
মুক্তির মন্দির সোপান তলে
কত প্রাণ হলো বলিদান,
লেখা আছে অশ্রুজলে।
কত বিপ্লবি বন্ধুর রক্তে রাঙা,
বন্দীশালার ওই শিকল ভাঙা
তাঁরা কি ফিরিবে আর সুপ্রভাতে,
যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে।
যারা স্বর্গগত তারা এখনো জানে,
স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি
আজ স্বদেশ ব্রতে মহা দীক্ষা লভি’
সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণ চুমি।
যারা জীর্ণ জাতির বুকে জাগালো আশা
মৌন মলিন মুখে জাগালো ভাষা
আজ রক্তকমলে গাঁথা মাল্যখানি,
বিজয়লক্ষী দেবে তাঁদেরি গলে।।
বাংলা গানটি ইউটিউবে নাচের সাথে শুনুন নিচের লিংক থেকে
অনুপ সাদির ভিডিওগ্রাফিতে মোহিনী চৌধুরীর লেখা অমর গান মুক্তির মন্দির সোপান তলে।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।