ও আলাের পথযাত্রী, এ যে রাত্রি, এখানে থেম না
এ বালুরচরে আশার তরণী তােমার যেন বেঁধাে না,
আমি শ্রান্ত যে, তবু হাল ধরাে,
আমি রিক্ত যে, সেই সান্ত্বনা
তব ছিন্ন পালে জয় পতাকা তুলে তূর্য তােরণ দাও হানা
ও আলাের পথযাত্রী, এ যে রাত্রি, এখানে থেম না
আহা বুক ভেঙে ভেঙে, পথে থেমে, শােণিত কণা।
কত যুগ ধরে ধরে, করেছে তারা সূর্য রচনা।।
আর কত দূর, ওই মােহনা,
এ যে কুয়াশা, এ যে ছলনা
এই বঞ্চনাকে পার হলেই পাবে, জনসমুদ্রের ঠিকানা।।
আহ্বান, শােন আহ্বান
আসে মাঠ ঘাট বন পেরিয়ে
দুস্তর, বাঁধা প্রস্তর, ঠেলে বন্যার মত পেরিয়ে।
যুগ সঞ্চিত সুপ্তি দিয়েছে সাড়া, হিমগিরি শুনলাে কি সূর্যের ঈশারা?
যাত্রা শুরু উচ্ছল রোলে দুর্বার বেগে তটিনী
উত্তাল তালে উদ্দাম নাচে মুক্ত শত নটিনী।
এই শুধু সুপ্ত যে নবপ্রাণে জেগেছে রণ সাজে সেজেছে
অধিকার অর্জনে আহ্বান, শােন আহ্বান।।
সলিল চৌধুরী (হিন্দি: सलिल चौधरी, মালয়ালম: സലില് ചൗധരി) (নভেম্বর ১৯, ১৯২৫ – সেপ্টেম্বর ৬, ১৯৯৫) একজন ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার এবং গল্পকার। তিনি মূলত বাংলা, হিন্দি, এবং মালয়ালাম চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। আধুনিক বাংলা গানের সুরস্রষ্টা হিসেবে এবং গণসংগীতের প্রণেতা হিসেবে তিনি একজন স্মরণীয় বাঙালি। তাঁর দুটি প্রকাশিত গ্রন্থ হচ্ছে ‘প্রান্তরের গান’ এবং ‘সলিল চৌধুরীর গান’। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ উল্লেখযোগ্য সংগীতশিল্পীগণ তাঁর রচিত গান গেয়েছেন।