বিশ শতকের মহান গণসংগীত শিল্পী পরেশ ধর (৯ আগস্ট, ১৯১৮ – ৬ এপ্রিল, ২০০২) বাংলা ভাষার বিশ শতকের কবি, বিপ্লবী গণসংগীত গীতিকার, গীতিনাট্যকার, লেখক, বংশীবাদক, যাত্রাপালা রচয়িতা, রাজনীতিক এবং একজন মাওবাদী চিন্তক। তিনি পশ্চিমবঙ্গ গণ-সংস্কৃতি পরিষদ ও বিপ্লবী লেখক শিল্পী বুদ্ধিজীবী সংঘের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং এম.সি.সি.-র রাজনীতির নিকটবর্তী চিন্তার মানুষ ছিলেন। নকশালবাড়ী আন্দোলন তাঁকে নাড়া দিয়েছিল। তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক চেতনা, স্পষ্ট রূপ নিয়েছিল সত্তরের দশকে। পরেশ ধর যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিপ্লবী সংগীত ও গণসংগীত লিখেছিলেন সেসবের ভেতর থেকে পাঠকদের জন্য এখানে প্রায় তেরটি গান দেয়া হলো।
তুমি পায়ে যখন আলতা পর
তুমি পায়ে যখন আলতা পর’,
তার চেয়ে ভালো লাগে,
মিছিলেতে যবে তোমার পায়ে দেখি বাঁধ ভাঙার
কত ছন্দ জাগে॥
তুমি চোখে যখন সুরমা আঁক’,
তার চেয়ে ভালো লাগে,
যত নিগ্রহ নিপীড়নের বিরুদ্ধে
তোমার রক্ত-চোখে
যখন বহ্নি জাগে।।
তুমি মাথায় যখন খোঁপা বাঁধ’
তার চেয়ে ভালো লাগে,
জনতা শোনে তোমার বজ্রবাণী,
তোমার এলো চুলে যখন বন্যা জাগে।।
- তুমি পায়ে যখন আলতা পর
- শান্ত নদীটি, পটে আঁকা ছবিটি
- ফুলের মত ফুটল ভোর
- প্রাণে প্রাণ মিল করে দাও
- মােদের গানের অঙ্গনে যদি মানুষ না পায় ঠাই
- এই কারখানা কলে ভাই খাটি দলে দলে
- ও ভাইরে বন্ধু, বলতে কি পারাে
- এমন একটা আসছে-রে দিন
- এমন রাত্রি নেই যা প্রভাত হয় না
- এটা যে নাই রাজার দেশ
- ক্ষুদিরাম, ও ক্ষুদিরাম
- মুরগী ক্যারক্যারায়
- একবার বিদায় দাও
শান্ত নদীটি, পটে আঁকা ছবিটি
শান্ত নদীটি, পটে আঁকা ছবিটি,
একটু হাওয়া নাই, জল যে আয়না তাই,
ঝিম ধরেছে, ঝিম ধরেছে গাছের পাতায় ।
পাল গুটিয়ে থমকে গেছে ছোট্ট তরীটি।।
উড়ছিল ঘুড়ি গাছটি ডিঙিয়ে,
বন্ধ বাতাসে পড়ল ঝিমিয়ে,
ক্লান্ত সুরে ডাকছে দূরে ঘুঘু পাখিটি।।
দুষ্টু ছেলেটা গরমে ঘামে,
নদীর ঘাটে জলেতে নামে।জমছে কালো মেঘ, অন্ধকার ঘনায়,
তাই দেখে মাঝি আকাশে তাকায়।
ক্রুদ্ধ ঝড়ে উঠবে নড়ে স্তব্ধ প্রকৃতি।।
ফুলের মত ফুটল ভোর
ফুলের মত ফুটল ভোর,
ভাঙল মাঝির ঘুমের ঘোর,
যাত্রা শুরু হবে এবার হ’ল যে সময়,
ঝিকিমিকি জল নদী টলমল জোয়ার বয় রে বয়।।
ঐ হাঁকছে মাঝি চোখে যাদের ঘুম,
ঐ চতুর্দিকে প্রতিধ্বনির ধুম।
আয়, ফেলে দে মনের যত পিছু টানার সতর্ক সংশয়।
ঝিকিমিকি জল নদী টলমল জোয়ার বয় রে বয়।।
দৈত্য-তুফান এসে যদি ঢেউয়ের পাহাড় গড়ে
লক্ষ দাঁড়ের আঘাতে সেই পাহাড় ভেঙে পড়ে।
ঐ হাঁকছে সুদূর ডাকছে নীল গগন,
ঐ হাতছানি দেয় শান্তির স্বপন,
আয়, পালে তোর বাতাস যদি খেলে তবে আবার কিসের ভয়।
ঝিকিমিকি জল নদী টলমল জোয়ার বয় রে বয়।।
প্রাণে প্রাণ মিল করে দাও
প্রাণে প্রাণ মিল করে দাও
তুফানের ঘূর্ণি ঘোরাও
জীবনের ঝরাপাতা উড়িয়ে দিয়ে
পুড়িয়ে দিয়ে বিশ্ব কাঁপাও।।
মোরা যে পথের ধুলি মাথায় তুলি দারুণ রোষে
বুকে আজ আগুন-রাঙা পাহাড়-ভাঙা বজ্রকোষে
শোষকের স্বার্থ নীড়ে উচ্চশিরে পড়বে খসে
আজি তার রত্নপ্রসাদ ধুলায় নামাও।।
আমাদের রক্তকণা সাপের ফনা ঝরাও যদি
তোমাকেই ধরবে ঘিরে বক্ষ চিরে ফেলবে রুধির
মোরা যে ক্ষিপ্ত নখর দৃপ্ত কেশর সিংহ ক্রোধী
গ্রাসিব তোমায় আজি কোথাও পালাও।।
আমাদের একটি জীবন যেথায় নিধন করবি তোরা
যেখানে লক্ষ হয়ে জন্ম নিয়ে জাগবো মোরা
ফোটাবো আশার চমক গানের গমক পাগল ঝোরা
আজি সেই নূতন দিনের গান শুনে যাও।।
ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়ার-এর গাওয়া এই গানটি নামাতে বা শুনতে এখানে ক্লিক করুন।
মােদের গানের অঙ্গনে যদি মানুষ না পায় ঠাই
মোদের গানের অঙ্গনে যদি মানুষ না পায় ঠাই,
গানের আসর ভেঙে দাও তবে, আমরা সেথায় নাই।
মরা-মাটি যদি গানের ধারায় না পায় সবুজ প্রাণ,
মোদের গানের সুরে যদি পাখি না গায় নতুন গান,
কাব যদি বলে, ‘আগামী দিনের ভরসা খুঁজে না পাই।
গানের আসর ভেঙে দাও তবে, আমরা সেথায় নাই।।
কিষানের হালে, নাবিকের পালে, মরু ও সাগর ঘিরে
মোদের গানের রাগিণী যদি না ঝড়ে ও সমীরে ফিরে,
জনতার প্রাণে যদি নাহি আনে সৃষ্টির প্রেরণা-ই।
গানের আসর ভেঙে দাও তবে, আমরা সেথায় নাই।।
নিখিলের প্রাণে শান্তি-মন্ত্র এ-গান যদি না তোলে,
বিপ্লবী যদি এ-গানে কভু না প্রাণের মমতা ভোলে,
মুক্তিসেনানী যদি নাহি বলে, ‘সবার মুক্তি চাই’-
গানের আসর ভেঙে দাও তবে, আমরা সেথায় নাই।।
এই কারখানা কলে ভাই খাটি দলে দলে
এই কারখানা কলে
ভাই খাটি দলে দলে
তাই যত মেশিন চলে
এই মোদের তাকত শুষে
(হেঁই হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো)
সেই ভোরে বাঁশি বাজে
এই আমরা আসি কাজে
আর ঘরে ফিরি সাঁঝে
ভাই পেটে খিদে পুষে
(হেঁই হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো
হেঁই হেঁইয়ো, হেঁই হেঁইয়ো, হেঁই হেঁইয়ো, হেঁই হেঁইয়ো)
এই মেশিনের সাথে মোদের
বুকের দরদ বাঁধা
(হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো)
ওদের গতির তালে তালে
গানের কলি সাধা
(হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো)
গহিন প্রাণের ব্যাথায় যেন
বলে ওরা হেঁকে
মুক্ত মোদের কর অনাচারের
কবল থেকে
একসাথে ওঠো গুঁজে
(হেঁই হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো)
এই কারখানা কলে
ভাই খাটি দলে দলে
তাই যত মেশিন চলে
এই মোদের তাকত শুষে
(হেঁই হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো
হেঁই হেঁইয়ো, হেঁই হেঁইয়ো, হেঁই হেঁইয়ো, হেঁই হেঁইয়ো)
মুনাফা কলঙ্ক মাখা
কালো বিষের বান
(হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো)
মেশিন আর মজুরীর মাঝে
হানল ব্যবধান
(হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো)
এসো মোরা নয়া সুরে
গাহি দেহি তালি
স্মরণ করি নয়া যুগের
সুমধুর মিতালি
এই মেশিনে মানুষে
(হেঁই হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো)
এই কারখানা কলে
ভাই খাটি দলে দলে
তাই যত মেশিন চলে
এই মোদের তাকত শুষে
(হেঁই হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো)
সেই ভোরে বাঁশি বাজে
এই আমরা আসি কাজে
আর ঘরে ফিরি সাঁঝে
ভাই পেটে খিদে পুষে
(হেঁই হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো
হেঁই হেঁইয়ো, হেঁই হেঁইয়ো, হেঁই হেঁইয়ো, হেঁই হেঁইয়ো)
ও ভাইরে বন্ধু, বলতে কি পারাে
ও ভাইরে বন্ধু, বলতে কি পারাে
আমার বুকের খুনে কেন হাত রাঙ্গালে
বল কোন অপরাধে কার লাভের আশে
প্রতিবেশীর চির চেনা ঘর জ্বালালে
তােমায় আমায় চেনে দেশের প্রতি ধূলিকণা
যুগে যুগে পাশাপাশি রয়েছি দুজনা
সকাল সাঁঝে সবুজ মাঠে খেটেছি এক সাথে
একযােগে বাধা ছিলাম কলে কারখানাতে।
একি ছিলোরে কপালে
পূজাপার্বণ মহরম আর ঈদেরও উৎসবে
মেতেছি দুজনে মােরা প্রীতির কলরবে
কৃষ্ণলীলা গাজীর গানে কণ্ঠ মিলায়েছি
পীর পুরােহিতের কাছে বিপদে গিয়েছি
আজি কলঙ্ক মাখালে
কতবার যে মােদের বুকের আগুন রয়ে রয়ে
বিদেশী রাজপ্রাসাদ চুড়ায় ফেটেছে বাজ হয়ে
তুমি আমি শত্রু নই তাই তোমার আমার মাঝে
বিভেদ হেনে নিরাপদে নিজেরা বিরাজে
তাহা কেমনে ভুলিলে
সাগর পারে শ্বেত বর্ণ কালনাগের বাসা
এদেশে এখনও আছে সে যে সর্বনাশা
সেথা আবার ঢুকেছে ভাই স্বদেশী সাপেরা
এসো তুমি আমি মিলে ভাঙ্গি তাদের ডেরা
মােরা মরবাে তা না হলে।
এমন একটা আসছে-রে দিন
এমন একটা অসছে-রে দিন
কেউ রবে না ক্ষুদ্র
শশকেরা সিংহ হবে
বদ্ধ ডোবা সমুদ্র।
ধূলিকণা সাপের ফণা
তৃণ তরবারি
জোনাকিরা সূর্য হয়ে
আকাশ দেবে পাড়ি।
শান্তু কোমল ছিল যারা
হবে তারা রুদ্র।
খঞ্জ ছুটে যাবে তখন
অন্ধ পাবে দৃষ্টি
শুরু হবে চতুর্দিকে
নব জীবন সৃষ্টি।
উপল হবে বিরাট পাহাড়
মেঘে মাথা রবে
মৃদু বাতাস দেখবে হঠাৎ
প্রবল ঝঞ্ঝা হবে।
উচ্চ মানুষ হবে তারা
ছিল যারা শূদ্র।
এমন রাত্রি নেই যা প্রভাত হয় না
এমন রাত্রি নেই, যার প্রভাত হয় না
এমন ঝড় নেই, যা শান্ত হয় না।
মেঘ তো এমন নেই যা চিরকাল
আকাশ ভরে
বরষা যে চিরকাল নাহি তো ঝরে।
জোয়ার ভাটা নদীতে বন্ধ হয় না।
দেশ তো এমন নেই যে চিরকাল-
স্তব্ধ থাকে
নিজেরে যে চিরকাল আনত রাখে
বিস্ফোরণের শুভক্ষণ লুপ্ত হয় না।
গানটি ইউটিউবে শুনুন
এটা যে নাই রাজার দেশ
এটা যে নাই রাজার দেশ
আমরা হেথায় হাওয়া খেয়ে সুখে আচি বেশ
ভাত নাই কাপড় নাই চাকরি মােদের নাই
মাথা গোঁজার ঠাই নাই ফুটপাথে ঘুমাই
কয়লা নাই বিদ্যুত নাই বন্ধ হল কল
দেশটা জুড়ে এমন কি ভাই নাই খাবার জল
জনগণের দুর্দশা যে কবে হবে শেষ
ট্রামে বাসে জায়গা নাই অফিস যাওয়া দায়
হাসপাতালে সিট নাই রােগীর প্রাণ যায়
শুকনো মাঠে শস্য নাই গােলায় নাই ধান
গাছে গাছে ফুল নাই নাই পাখির গান
অভাবের এই ফিরিস্তিটা কোথায় করি শেষ
শ্রদ্ধা নাই ভক্তি নাই নাইরে হৃদয়।
স্বার্থত্যাগের কথা নাই একী দুঃসময়
অফিসে আর আদালতে নাই রে সততা
নিরাপত্তা নাই জীবনে সর্বত্র ব্যর্থতা
লড়াই ছাড়া এই জীবনে ঘুচবে না তো ক্লেশ
ক্ষুদিরাম, ও ক্ষুদিরাম
ক্ষুদিরাম, ও ক্ষুদিরাম
তুমি বলে গিয়েছিলে ফিরে আসবে
লাখাে লাখাে হয়ে তুমি আমাদের শত্রু নাশবে
তুমি আসবে তাই জাগি নিশি-ভােরে
মুক্তিমশাল রাখি বুকে ধরে
তুমি এসে ডাক যদি দেশমাতা আবার যে হাসবে
আমরা রয়েছি বন্দী এখনাে
আমাদের হাহাকার শোন শোন
তুমি যদি ভাঙ যদি বেড়ী চোখে চোখে স্বপ্ন যে ভাসবে
মুরগী ক্যারক্যারায়
মুরগী ক্যারক্যারায়
মুরগী ক্যারক্যারায় মুরগী ক্যারক্যারায় আণ্ডা পাড়ে না
মিথ্যে বুলি কপচায় তবু ঠমক ছাড়ে না
বলেছিলে তুমি যদি দেশের গদী পাও
দুধে ভাতে খাবাে দুঃখ হবে যে উধাও
(কিন্তু কি হল?)
একবেলা খাই আরেক বেলা অন্ন জোটে না
বলেছিলে জমির মালিক চাষীরা হবে
নিজের জমি নিজের ফসল নিজেরই রবে
(কিন্তু হয়েছে উল্টো!)
এই জমি থেকে চাষী উচ্ছেদ বন্ধ হচ্ছে না
মজুর হবে কলের মালিক তাও বলেছিলে
শােষণ বন্ধ হবে তুমি শাসন হাতে নিলে
(কিন্তু কি দেখছি— }
ধনী ছাড়া কলের মালিক হতে পারে না
বলেছিলে বেকারেরা চাকরি যে পাবে
রোয়াকবাজী বন্ধ করে অফিসে যাবে
(কিন্তু••••••)
দিনে দিনে বাড়ছে বেকার চাকরি পাচ্ছে না
সমাজতন্ত্র আসবে দেশে বলেছিলে কত
এখন দেখছি মালিক তােষণ তােমার মহান ব্রত
কালােবাজার ছাড়া কোন জিনিস মেলে না
(কিন্তু এরকম বেশীদিন চলবে না… )
এই চাষী মজুর একজোটে ভাই রুখে দাঁড়াবে
আর সিংহাসনের থেকে তােমায় টেনে নামাবে
মনে রেখাে তুমি কিন্তু পার তাে পাবে না
একবার বিদায় দাও
একবার বিদায় দাও মা ঘুরে আসি
আমি হাসি হাসি পর ফাসি দেখবে ভারতবাসী
আবার অনেক বছর পরে
জন্ম নেব ঘরে ঘরে, মাগো
তখন চিনতে যদি না পারে মা দেখবে গলার ফাঁসী
এখন আমি মােটে একজন
লক্ষ হয়ে আসবে তখন, মাগো
তখন রোদনভরা চোখে তােমার ফুটবে সুখের হাসি
ওই দেশের মজুর কিষাণ যারা
ক্ষুদিরাম যে হবে তারা, মাগাে
তখন মুক্ত হবে ভারতভূমি সকল শৃঙ্খল নাশি
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।
আমি ১৯৮৪ থেকে ১৯৯০ সালে উনার কাছে বাঁশি ও গান শিখেছি। গণসংগীতে উনার লেখা ও সুরে “যেখানে যৌবন” এই গানটি গেয়ে পুরষ্কার পাই, আমি পরেশ দাদু সম্বোধন করতাম, উনার লেখা কিছু চিঠি আমার সম্পদ হয়ে রয়েছে। উনার মহান আত্মার শান্তি কামনা করি।