আমরা তো ভুলি নাই শহীদ একথা ভুলবো না
তোমার কলিজার খুনে রাঙাইলো কে আন্ধার জেলখানা
যখন গহীন রাতে আন্ধার পথে চমকায় বিজলী
(তোমার) বুকের খুনের দাগে দাগে আমরা পথ চলি;
সেই কাল সাপেরই কুটিল গুহায় আমরা যে দেই হানা
তোমার বহুল বুকে ছোবল দিল যে নাগিনীর ফণা
বলো কি করে ভুলি সে কথা
খুন করে গোপনে তোমার জ্বালাইল চিতা,
সেই চিতার আগুন জ্বলে দ্বিগুণ
জ্বলে দিকে দিকে রে বন্ধু
জ্বলে বুকে বুকে রে বন্ধু
জ্বলে চোখে চোখে-
জ্বলে অগ্নিকোণে রক্তমেঘে কালবৈশাখীর ডানা।।
তুমি ছিলায় গরিব কিষাণ এই মাটির সন্তান
হাতে নিলায় তাই তো বন্ধু দুঃখীর এই লাল নিশান
রে সাথী সর্বহারার নিশান
সেই লাল নিশানের মান রাখিতে দিলায় বন্ধু জান
বন্ধু, লুটাইলায় পরাণ
তোমার রক্তে রাঙা নিশান দিল পথের নিশানা।।
রচনাকাল: ১৯৫০
সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমার চুনারুঘাট উপজেলার মিরাসি গ্রামে জন্ম নেয়া হেমাঙ্গ বিশ্বাস বাংলা গণসংগীতের জননন্দিত মহাযোদ্ধা। তিনি একজন বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী, কবি, লেখক এবং সুরকার। মূলত লোকসঙ্গীতকে ভিত্তি করে গণসঙ্গীত সৃষ্টির ক্ষেত্রে তাঁর অবদান বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয়। “হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান” এবং “শঙ্খচিলের গান” তাঁর গানের দুটি সঙ্কলন।