ভার্জিলের মহাকাব্য ‘ঈনিদ’-এর নায়িকা তরুণী বিধবা ডিডোর পীড়িত হৃদয়

ডিডো এবং ঈনিয়াস

নায়ক ঈনিয়াসের বিস্তর প্রশংসা। তা তিনি যোগ্য লোক ঠিকই জয়ধ্বনির। ট্রয়ের রাজবংশের শেষ প্রদীপ তিনি। যথার্থ বীর। বীরদের কারো থাকে দৈহিক শক্তি-সাহস, কারো থাকে বুদ্ধি-বিবেচনা। ঈনিয়াস শক্তি-সাহসে খাটো নন, বুদ্ধি-বিবেচনাতেও অনেক বড়ো। সর্বোপরি তার ছিল আনুগত্য—পরিবারের প্রতি ও জাতির প্রতি। নবজাতির স্রষ্টা তিনি, রোম সাম্রাজ্যের স্থপতি। আরো পড়ুন

রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একাকিনী লড়েছেন সফোক্লিসের নায়িকা এন্টিগনি

সফোক্লিসের (৪৯৬-৪০৬ খৃঃ পূঃ) নায়িকা এন্টিগনির হাতে কোনো পতাকা ছিল না। না, নাট্যকার সফোক্লিস বিদ্রোহে বিশ্বাস করতেন না। বিধান সে যারই হোক না কেন— বিধির কিংবা রাষ্ট্রের—তাকে মেনে না নিয়ে উপায় কি? মানতে হবে, মানতে গেলে দুঃখ পাবে, তবু মানা ছাড়া গত্যন্তর নেই। এই ছিল তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি। আরো পড়ুন

হোমারের হেলেন অন্য সবার কাছে শুধুই অগ্নিশিখা, ধ্বংসের দূত, প্রেয়সী; কিন্তু মাতাও

হোমারের হেলেন

মহাকাব্য ইলিয়াড’এ হেলেনের যে-অবস্থান সেটা ধ্বংসাত্মক। কিন্তু হোমারের (আনু ৯০৫ খৃঃ পূঃ) হেলেন ধ্বংসকামী অন্যসব মেয়েদের মতো নয়, স্বতন্ত্র । গ্রীক উপকথায় পুরুষের চোখে-দেখা ভয়ঙ্কর নারীমূর্তি বেশ কিছু আছে। যেমন মেডুসা। তিন বোন তারা। তাদের চোখের দিকে যদি কোনো পুরুষ তাকায় তবে সঙ্গে সঙ্গে সেই মানুষটি পরিণত হবে পাথরের স্তূপে, যদি মেডুসারা তেমন ইচ্ছা করে। আরো পড়ুন

ধ্রুপদী নায়িকাদের কয়েকজন গ্রন্থের ভারতীয় সংস্করণের ভূমিকা, অবতরণিকা ও সূচিপত্র

ধ্রুপদী নায়িকাদের কয়েকজন

সাহিত্য নায়কপ্রধান। সেটাই স্বাভাবিক। কেননা সাহিত্য পুরুষের সৃষ্টি, প্রধানত। তাছাড়া সত্য তো এটাও যে, ঐতিহাসিক যে-কালে সাহিত্য রচিত হয়েছে সে-কালে সমাজে আধিপত্য পুরুষেরই। এ-বইতে আমাদের কাহিনী শুরু হোমারের হেলেনকে দিয়ে, শেষে আছে রবীন্দ্রনাথের নায়িকারা, এই যে প্রায় আড়াই হাজার বছরের সময় কাল, এই সবটা জুড়েই পুরুষ তার প্রাধান্য অক্ষুন্ন রেখেছে, নারী যতই অভিযোগ করুক না কেন। আরো পড়ুন

বিদেশিরা বাঁচাতে আসে না, মারতেই আসে; বাঁচতে হবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েই

কেউ বাঁচাবে না

না, কেউ বাঁচাবে না, যদি বাঙালি নিজে না বাঁচায় নিজেকে। ঋণদাতাদের উদ্দেশ্য চিরকালের জন্য ঋণী করে রাখা। এ এক নতুন চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, আপাত-স্বাধীনকে বাস্তবে পরাধীন করে রাখার। এনজিওদের আসল রাষ্ট্রের পুঁজিবাদী চরিত্র সম্পর্কে জনগণের রাজনৈতিক চেতনা যাতে বিকশিত হতে না পারে তার ব্যবস্থা করা। বিদেশিরা বাঁচাতে আসে না, মারতেই আসে। বাঁচতে হবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েই। যে দিন থেকে বাঙালি তার পরিচয় সম্পর্কে আত্মসচেতন হয়েছে সেদিন থেকেই এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে : কে তাকে বাঁচাবে? আরো পড়ুন

দেশপ্রেম নিহত হয়নি, আহত হয়েছে

দেশপ্রেম

দেশ বলতে কেবল ভূমি বোঝায় না, ভূমি তো বোঝাবেই, কিন্তু দেশ ভূমির চেয়েও বড়, অনেক অনেক বড়। কেননা, দেশে মানুষ আছে, মানুষ থাকে এবং সে জন্যই দেশ অমন তাৎপর্যপূর্ণ। দেশপ্রেম বলতে আসলে দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসাই বোঝায়। আমাদের এই দেশপ্রেম বারবার পরীক্ষা ও নির্যাতনের মুখে পড়েছে। একাত্তরের কথা আমরা ঘুরে ঘুরে বলি। কেননা, চরম একটা পরীক্ষা তখনই হয়েছে। আরো পড়ুন

বাঙালি কী করে বাঙালি হবে

বাঙালি কী

আমরা আগে বাঙালি, না আগে মুসলমান সে নিয়ে এক সময় একটা বিতর্ক ছিল; বিজ্ঞজনেরা বলতেন যে বিতর্কটি নিতান্তই অহেতুক, কেননা একই সঙ্গে বাঙালি ও মুসলমান হতে কোনো অসুবিধা নেই। বাঙালিত্ব ও মুসলমানত্বের ভেতর বিরোধ যে নেই সেটা সত্য; কিন্তু তবু বিরোধ তো একটা তৈরি করা হয়েছিল এবং সেই বিরোধটা যখন তুঙ্গে উঠলো তখন অখণ্ড বাংলাকে দ্বিখন্ডিত করা ছাড়া উপায় রইলো না। তাতে বাঙালির যে কতো বড় সর্বনাশ ঘটেছে সেটার পরিমাপ করা অসম্ভব। আরো পড়ুন

সমাজতন্ত্রের বিকল্প হচ্ছে সমাজতন্ত্রই, অন্য কিছু বিকল্প হিসেবে প্রযোজ্য নয়

সমাজতন্ত্রের বিকল্প

প্রশ্ন থাকে যে, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনটা ঘটল কেন? হিটলার পারেননি, হেরে গেছেন; পুঁজিবাদীদের অবরোধ কাজে দেয়নি; দুর্ভিক্ষ, গৃহযুদ্ধ, অন্তর্ঘাত, হত্যা-প্রচেষ্টা, অনেক কিছুই চলেছে। মেনশেভিকরা বিপ্লবকে মেনে নেয়নি। সোস্যালিস্ট রেভলিউশনারিরাও বিরোধিতা করেছেন। বিপ্লবের কয়েক মাস পরই লেনিনের মাথায় পিস্তল ধরে গুলি করেছিল যে তরুণী সে ছিল ওই দলেরই সদস্য। ট্রাস্টি ছিলেন মেনশেভিকদের দলে; বিপ্লবে লেনিনের নেতৃত্বকে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন, কিন্তু স্তালিনের সময় চক্রান্তই শুরু করেছিলেন। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!