ফুলারের চিকিলা বাংলাদেশের সিসিলিয়ান পর্বের উভচর প্রাণী

উভচরের প্রজাতি

ফুলারের চিকিলা

বাংলা নাম: ফুলারের চিকিলা, ইংরেজি নাম/Common Name: Fuller’s caecilian, বৈজ্ঞানিক নাম/Scientific Name: Chikila fulleri,
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Animalia, বিভাগ/Phylum: Chordata, শ্রেণী/Class: Amphibia, বর্গ/Order: Gymnophiona, পরিবার/Family: Chikilidae, গণ/Genus: Chikila,Kamei et al. (2012), প্রজাতি/Species Name: Chikila fulleri, (Alcock, 1904)

বর্ণনা: বাংলাদেশের উভচর ও সরীসৃপের তালিকায় ফুলারের চিকিলা একটি প্রাণীর প্রজাতি। এই প্রজাতির প্রাণীরা সিসিলিয়ান পর্বের উভচর প্রাণী। সিসিলিয়ান পর্বের উভচর প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এদের পা বা অন্য কোনো প্রত্যঙ্গ নেই। লেজহীন, প্রত্যঙ্গহীন উভচর এ প্রাণী আফ্রিকার আদি উভচর অন্য এক বাসিন্দার দোসর। এর দৈর্ঘ্য ১১ ইঞ্চি, ব্যাস প্রায় ১ দশমিক ৮ ইঞ্চি, ছোট ছোট দাঁতযুক্ত মুখের দৈর্ঘ্য আধা ইঞ্চির কাছাকাছি। লেজ নেই, পশ্চাদ্ভাগ কেঁচো বা দুমুখো সাপের মতো।

স্বভাব ও আবাসস্থল: চিকিলা বাস করে মাটির নিচে। মা চিকিলা মাটির নিচে বাসা বাঁধে ও ডিম দেয়। ডিমগুলো জড়িয়ে কুণ্ডলী পাকিয়ে থাকে। দুই-তিন মাসের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোয়। অন্যান্য উভচরের মতো এদের কোনো শুককীট পর্যায় নেই। সরাসরি বেরিয়ে আসে আকারে ছোট কিন্তু দেখতে পূর্ণবয়স্ক চিকিলার মতোই।

বিস্তার: ভারতের আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে মাটি খুঁড়ে চিকিলার সন্ধান পাওয়া যায়। বিজ্ঞানী রেজা খান মনে করেন, লাউয়াছড়া অঞ্চলে পাওয়া চিকিলা ফুলেরি বাংলাদেশে এই প্রজাতির প্রাণীর অস্তিত্ব প্রমাণ করে। ২০১২ সালের অক্টোবরের দুই তারিখের প্রথম আলো প্রকাশ করে বাংলাদেশে চিকিলার প্রাপ্তির কথা। রেজা খান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের লাউয়াছড়া প্রাণবৈচিত্র্যের এক সোনার খনিবিশেষ। এতে এ প্রমাণও মিলল যে, ১৪ কোটি বছর আগের প্রাগৈতিহাসিক যুগে আফ্রিকা মহাদেশের সঙ্গে এ ভূখণ্ড যুক্ত ছিল।’

Leave a Comment

error: Content is protected !!