বর্ণনা: এদের দেহ সুন্দর ও লম্বা। উপরের দিকের চেয়ে পেটের অংশ অধিক উত্তল। পেট ধারারো নিচের চোয়াল উর্ধ্বচোয়াল অপেক্ষা কিছুটা দীর্ঘতর। চোয়ালের দাঁত ক্ষুদ্রাকৃতির বা অনুপস্থিত। চোখ বড় ও মাথার সামনে অবস্থিত। শেষের দুটি পায়ু পাখনা দন্ড পৃথক পাখনা দন্ড (finlet) গঠন করে । এদের আঁইশ ক্ষণস্থায়ী। দেহ বাদামী রঙের ও আলোতে রূপালী প্রতিফলন দেয়। দেহে একটি অস্পষ্ট পার্শ্ব ডোরা দাগ বিদ্যমান। পুচ্ছপাখনা কিনারা কালো হয়।
বসবাস: সুবর্ণা কাচকি মাছ নদী এবং হ্রদে পানির উপরে ঝাঁক বেঁধে চলাচল করে। সাধারণত কিছু অমেরুদন্ডী প্রাণী এরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। এরা সাধারণত নদী ও হ্রদে বাস করে। নদীর মোহনাতে এদের পাওয়া যায়। বাংলাদেশে কাপ্তাই হ্রদে এই মাছ সর্বাধিক পরিমাণে পাওয়া যায়।
বিস্তৃতি: ভারত (পশ্চিম বঙ্গ, উড়িষ্যা), বাংলাদেশ এবং ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে এই মাছের বিস্তার।
চাষাবাদ: সুবর্ণা কাচকি বাংলাদেশের নদীতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই ক্ষুদ্র মাছটিতে আছে প্রোটিন ও খনিজ লবন। রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের বাজারজাত করার জন্য এই মাছ চাষ করা হয়। এই মাছ নিজেরাই বংশবৃদ্ধি করে সংখ্যায় বাড়তে পারে।
বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ: IUCN Bangladesh (2000) এর লাল তালিকা এই মাছটি আশংকানজক প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত নয়।
মন্তব্য: এই মাছ সাধারণভাবে প্রায় ৪ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়। এদের উচ্চ স্থিতিস্থাপকতা গুণ থাকে এবং সংখ্যায় দ্বিগুণ হতে ১৫ মাসের ও কম সময় লাগে।
তথ্যসূত্র:
১. ওহাব, মোঃ আব্দুল (অক্টোবর ২০০৯)। “স্বাদুপানির মাছ”। আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; আবু তৈয়ব, আবু আহমদ; হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ এবং অন্যান্য। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ ২৩ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃ: ১৯। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।