বৈজ্ঞানিক নাম: Saguinus fuscicollis mura,
সমনাম: নেই
বাংলা নাম: মুরার স্যডলব্যাক বানর,
ইংরেজি নাম: Mura’s Saddleback Tamarin.
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Animalia
বিভাগ: Chordata
শ্রেণী: Mammalia
পরিবার: Callitrichidae
গণ: Saguinus, Hoffmannsegg, 1807;
প্রজাতি: Saguinus fuscicollis
উপ প্রজাতি: Saguinus fuscicollis mura,
বর্ণনা: মুরার স্যডলব্যাক বানর দেখতে খুবই ছোট। এরা লম্বায় ৯.৪ ইঞ্চি, তবে লেজের দৈর্ঘ্য শরীরের চেয়ে বেশি। লেজ প্রায় ১২.৬ ইঞ্চি লম্বা হয়। এদের ওজন ২১৫ গ্রামের বেশি হয় না। বানরটি গায়ের রঙ বিভিন্ন বর্ণের। এদের দেহ কমলা, সাদা, লাল এবং মুখমণ্ডল কালো ও ধুসর বর্ণের। দূর থেকে এদের পাখি ভাবলে বেশি ভুল করা হবে না।
স্বভাব: মুরার স্যডলব্যাক বানর মানুষের কাছাকাছি আসতে পছন্দ করে। আকার ও গায়ের রঙের ব্যবহারের জন্য এরা প্রাণীবিজ্ঞানীদের নজর কেড়েছে।
বিস্তৃতি: মুরার স্যডলব্যাক বানর শুধু ব্রাজিলের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত আমাজোনাস প্রদেশে বাস করে। এটি ব্রাজিলের বৃষ্টিবনাঞ্চল। বিশেষ করে আমাজোনাসের পুরুস ও মাদেইরা নদীর তীরবর্তী বেসিনে বাসকারী আদিবাসী মুরা আমেরিন্ডিয়ানসদের এলাকাগুলোর পাশে এ বানর বেশি পাওয়া যায়। তাই তাদের নামানুসারেই এ-বানরের নাম মুরার স্যাডলব্যাক টামারিন বা সাগুইনাস ফুসিকোলিস মুরা। বানরটি ২০০৭ সালে ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটি কর্তৃক আবিষ্কৃত হয়।
অবস্থা: আইইউসিএন মুরার বানরকে Vulnerable বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।