বাংলাদেশের সরীসৃপ হচ্ছে কচ্ছপ ও সাপ, গিরগিটি, টিকটিকি, তক্ষক, অঞ্জন, আচিল ও গুই সাপ এবং কুমির ও ঘড়িয়াল ইত্যাদি প্রজাতির বিস্তারিত আলোচনা। সরীসৃপ বা Reptilia (L. reptum = creep) শ্রেণীর মধ্যে টিকটিকি, সাপ, কচ্ছপ, কাছিম, কুমির, এলিগেটর, tuataras অন্তর্ভুক্ত। সরীসৃপ প্রাণীদের বেশি বৈচিত্র্যতার কারণে বুকে ভর করে চলা প্রাণী এদের কোনাে সংক্ষিপ্ত গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত করা কঠিন (Goin and Goin, 1971)। এরা উভচর প্রাণী থেকে আবির্ভূত হয়েছে এবং পরিশেষে পাখী ও স্তন্যপায়ী প্রাণীতে রূপান্তরিত হয়েছে।
সরীসৃপ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত প্রাণীদের শুষ্ক ও cornified ত্বকের মাধ্যমে উভয়ে প্রাণীদের থেকে এবং পালকের মাধ্যমে পাখী থেকে এবং চুল বা পশম অনুপস্থিত থাকার কারণে স্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে আলাদা করা যায়। এরা সাধারণত শীতল রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী এবং দেহের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সক্ষম নয়। এদের দেহের তাপমাত্রা সাধারণত বাহিরের তাপমাত্রা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এদের মেটাবলিক হার কম সেজন্য পাখী ও স্তন্যপায়ী প্রাণীদের তুলনায় দেহে কম তাপমাত্রা থাকে।
এদের দেহে শুষ্ক আঁইশ বা কাঁটাযুক্ত ত্বক ছাড়াও কঙ্কালতন্ত্র সম্পূর্ণ অস্থিযুক্ত; করােটিতে একটি অক্সিপিটাল কম্পাইল থাকে; অপরদিকে ক্রোকোডাইল এর হৃৎপিন্ড চার প্রকোষ্টবিশিষ্ট; করােটিক্লায়ু ১২ জোড়া এবং ফুসফুসের মাধ্যমে রেচন কার্য হয়। সাপ এবং কিছু টিকটিকি ব্যতীত এদের দুই জোড়া উপাঙ্গ থাকে। প্রতিটির পিছনের পায়ে ৫টি আঙ্গুলে কাঁটাযুক্ত নখর থাকে। সামুদ্রিক কচ্ছপের ক্ষেত্রে উপাঙ্গ পেডেল এর মতাে এবং কিছু এর ক্ষেত্রে লুপ্ত। সাধারণত সঙ্গমের মাধ্যমে আন্তঃনিষেক সম্পন্ন হয়।

মেরুদন্ডী প্রাণীদের মধ্যে সরীসৃপ শ্রেণীর প্রাণীরা স্থলজ পরিবেশে শুষ্ক জায়গায় অভিযােজিত হয়েছে। এদের শুষ্ক কাঁটাযুক্ত ত্বক এবং আঁইশ আর্দ্রতা পরিহারে সক্ষম এবং অমসৃণ জায়গায় বাস করতে সহায়তা করে। বেশিরভাগ সরীসৃপ ট্রপিক্যাল এবং সাবট্রপিক্যাল এলাকায় বাস করে; এদের সংখ্যা মেরু অঞ্চলে ও উঁচু ভূমিতে কম। এদের বিস্তৃতির ব্যাপকতা অনেক বেশি । Pythons এবং Boas ট্রপিক অঞ্চলে বাস করে। কুমির জলাভূমির (swamps) বা নদী, মােহনা এবং উপকূলীয় এলাকায় বাস করে। সবচেয়ে বড় কচ্ছপ সমুদ্রে বাস করে এবং দ্বৈত আকৃতির কাছিম দ্বীপ শুষ্ক (arid) পরিবেশে বাস করে, বেশিরভাগ টিকটিকি এবং সাপ স্থলজ, কিছু সংখ্যক শিলাস্তূপ এবং গাছে বাস করে; কিছু ট্রপিক্যাল সাপ গাছে বাস করে। টিকটিকি এবং ছােট তমাক শিলাস্তুপের ফাঁকে, গাছে বা দালানে বাস করে। বেশির ভাগ কচ্ছপ কাছাকাছি বাস করে তবে বক্স কচ্ছপ বনাঞ্চলের খােলাস্থানে বাস করে। স্থলজ কাছিম (tortoises) শুষ্ক পরিবেশে বাস করে।
বেশিরভাগ সরীসৃপ প্রাণী উষ্ণ অঞ্চলে বাস করে, দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এদের জন্য কোনাে সমস্যা নয়। সরীসৃপদের মধ্যে যে প্রাণী ঠাণ্ডা পরিবেশে বাস করে, তারা শীতকালে শীতনিদ্রা যাপন করে। একইভাবে যেসব সরীসৃপ শুষ্ক ও উষ্ণ পরিবেশে বাস করে তারা গ্রীষ্মনিদ্রা যাপন করে। সরীসৃপ প্রাণীরা স্বভাবতই এদের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং স্বল্প পরিসরে পরিবেশের তাপমাত্রায়ও বাস করতে পারে। বাংলাদেশে গ্রীষ্মকাল ও শীতকালের তাপমাত্রার তারতম্য বেশি নয় তাই পরিবেশের তাপমাত্রা এদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।

জীবাশ্ম থেকে ধারণা করা হয় যে, সরীসৃপ প্রাণীদের উৎপত্তি Carboniferous যুগে হয়েছে ৩০০-২৬০ মিলিয়ন বছর আগে এবং Permian যুগে বিকাশ হয়েছে। Mesozoic Era-কে সরীসৃপের যুগ বলে পরিচিত ছিল (Triassic to upper Cretaceous), সেই সময়ে এরা সংখ্যায় প্রচুর ছিল এবং প্রাণীদের আবাসস্থলের জায়গায় বেশিরভাগ অংশ জুড়ে আধিপত্য বিস্তার করেছিল। এই সময়ে ডাইনােসাের বিকশিত হয়েছিল। Permian সময়কালে সরীসৃপ প্রাণীদের সংখ্যা ছিল অধিক এবং সে সময়কাল থেকে এদের গঠনগত বৈশিষ্ট্য এবং জীবনযাত্রার ধরণ পরিবর্তন হতে মুরু করেছিল । সত্যিকারে Triassic সময়কালের শেষের দিকে সকল বড় সরীসৃপ প্রাণীদের আগমন ঘটেছিল এবং Jurassic ও Cretaceous সময়কালে এদের সংখ্যা শীর্ষে পৌঁছেছিল এবং গঠনগত বৈশিষ্ট্য ও জীবনধারণের মধ্যে বৈচিত্র্যতা এসেছিল। পরবর্তীতে Cretaceous এর শেষের দিকে সরীসৃপ বিলুপ্ত হওয়া শুরু করেছিল এবং বেশির ভাগ প্রজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। এদের ১৬টি বর্গের মধ্যে ৪টি বর্গের প্রাণীরা বেঁচেছিল ।
বেশিরভাগ সরীসৃপ মাংসাশী প্রাণী এবং খাদ্য হিসেবে এরা বিভিন্ন ছােট ও বড় প্রাণী গ্রহণ করে। অধিকাংশ এবং ছােট সাপ খাদ্য হিসেবে টিকটিকি গ্রহণ করে। ছােট কচ্ছপ (turtles) খাদ্য হিসেবে জলজ অমেরুদন্ডী প্রাণী গ্রহণ করে; এবং বড় টিকটিকি, কচ্ছপ, সাপ, কুমির খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন ধরনের মাছ থেকে শুরু করে উচ্চ শ্রেণীর স্তন্যপায়ী প্রাণী গ্রহণ করে। কিছু স্থলজ কচ্ছপ, সামুদ্রিক কাছিম এবং আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে উদ্ভিজ খেয়ে থাকে।
অনেক সরীসৃপ প্রাণী শিকার (prey) ধরার জন্য এবং শত্রু থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বিষ ব্যবহার করে। Boas, Kingsnakes এবং অন্যান্য সাপ দেহ দ্রুত কুণ্ডলী পাকিয়ে শিকার ধরে এবং পরে শ্বাসরােধ করে মেরে ফেলে। বিষধর সাপ বিষদাঁতের মাধ্যমে শিকারকে ছােবল মারে এবং শিকারের দেহে বিষ প্রবেশ করায়। জানা মতে বাংলাদেশের প্রাপ্ত কোনাে টিকটিকিই বিষাক্ত নয়। অধিকাংশ সরীসৃপ প্রাণী বিশেষ করে সাপ ও টিকটিকি উপকারী। এরা ক্ষতিকারক ইঁদুর জাতীয় প্রাণী এবং কীটপতঙ্গ ভক্ষণ করার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ জৈবিক নিয়ন্ত্রক এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।
কুমিরের চামড়া এবং কিছু সাপের চামড়া, ভ্যানিটি ব্যাগ, জুতা এবং অন্যান্য চামড়া সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। কচ্ছপ প্রধানত খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকায় বেশিরভাগ কচ্ছপ ও কাছিমের মাংস এমন চাহিদা যে সেখানে এসব প্রাণী সম্পদের পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে। IUCN এই ধরনের সরীসৃপকে বিভিন্ন গ্রুপে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আইন দ্বারা এদেরকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
যদিও জীবন্ত সরীসৃপ বা আধুনিক সরীসৃপ সংখ্যা অসংখ্য, এদের বেশিরভাগই ছােট ও তাৎপর্যবিহীন (inconspicuous) এদের বেশির ভাগই টারসিয়ারি সময়কালে আবির্ভাব হয়েছে। প্রায় ৭০ মিলিয়ন বছর আগে কিছুসংখ্যক পাখি প্রজনন সময়কালে ডিম ও অন্যান্য পাখির সাথে খেলা করে। বর্তমানে চারটি বর্গের অধীনে ৮,৭৩৪ প্রজাতির সরীসৃপ রয়েছে: Testudines- কচ্ছপ, কাছিম এবং কাইটা; Rhynchocephalia-tuatara (নিউজিল্যান্ডে সীমাবদ্ধ); Squamata-তে টিকটিকি, অঞ্জন এবং সাপ ও Crocodilia-তে কুমির, caimans, gavials এবং এলিগেটর অন্তর্ভুক্ত। সরীসৃপদের জীবন্ত সংখ্যার মধ্যে অর্ধেক টিকটিকি।
বাংলাদেশের ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলােমিটার আয়তনের মধ্যে ১৩৬টি অভ্যন্তরীণ এবং ১৭টি সামুদ্রিক সরীসৃপ রয়েছে। গত শতাব্দীতে Marsh Crocodile, Crocodylus paulustris বিলুপ্ত হয়েছে এবং আইইউসিএন বাংলাদেশ (2000) অনুসারে ১০৯টি সরীসৃপের মধ্যে ৫৮টি অভ্যন্তরীণভাবে সংকটাপন্ন রয়েছে।
মূল নিবন্ধ: বাংলাদেশের উভচর ও সরীসৃপের তালিকা
বাংলাদেশের সরীসৃপের ভেতরে পড়ে কচ্ছপ, কাইট্টা ও কাছিম যাদের প্রজাতি সংখ্যা ২৯টি, সরীসৃপের ভেতর আরো আছে গিরগিটি, টিকটিকি, তক্ষক, অঞ্জন, আচিল ও গুই সাপ যাদের প্রজাতি সংখ্যা ৩২টি, বাংলাদেশের সাপের প্রজাতি সংখ্যা ৯৪টি, এবং বাংলাদেশের কুমির ও ঘড়িয়ালের প্রজাতি সংখ্যা তিনটি। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে সরীসৃপ প্রজাতি সংখ্যা হয় ২৯+৩২+৯৪+৩=১৫৮টি।
বাংলাদেশের কচ্ছপ
বাংলাদেশে কচ্ছপ আছে ২৯ প্রজাতির। বাংলাদেশে প্রাপ্ত ২৯ প্রজাতির কচ্ছপের তালিকা দেয়া হলো:
০১. হলুদ পাহাড়ি কচ্ছপ,
০২. এশিয় চিলা কচ্ছপ,
০৪. রঙিলা ছাঁদ কাইট্টা,
০৫. কড়ি কাইট্টা,
০৬. মালয়ী ডিবা কাইট্টা,
০৭. এশিয় পাতা কাইট্টা,
০৮. ওল্ডহ্যামের পাতা কাইট্টা,
০৯. দাগি কালো দীঘি কাইট্টা,
১০. নদীর কালি কাইট্টা,
১২. শামুকভুক কালী কাইট্টা,
১৩. বাংলা হলদে কাইট্টা,
১৪. বড় কড়ি কাইট্টা,
১৫. সিলেটি কড়ি কাইট্টা,
১৬. দেশি কড়ি কাইট্টা,
১৭. মাঝারি তাঁবু কাইট্টা,
২০. ধুম তরুণাস্থি কাছিম,
২১. বোস্তামি তরুণাস্থি কাছিম,
২২. ছোটমাথা এশীয় চিত্রা তরুণাস্থি কাছিম,
২৪. এশিয় জাতা তরুণাস্থি কাছিম,
২৫. মুগুরমাথা সামুদ্রিক কাছিম,
২৬. সবুজ সামুদ্রিক কাছিম,
২৭. বাজঠোঁটি সামুদ্রিক কাছিম,
২৮. জলপাইরঙ সামুদ্রিক কাছিম,
২৯. বড় সামুদ্রিক চামট কাছিম,
বাংলাদেশের সরীসৃপ
বাংলাদেশে সরীসৃপ শ্রেণিতে Squamata বর্গে ১৭টি গণে ৬টি পরিবারের মোট ৩২টি প্রজাতিকে দেশবাসি গিরগিটি, টিকটিকি, তক্ষক, অঞ্জন, আচিল ও গুই নামে চেনে। বাংলাদেশের Squamata বর্গে ১৭টি গণে ৬টি পরিবারে মোট এরক মের মোট ৩২টি প্রজাতি রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে সরীসৃপ শ্রেণিতে Squamata বর্গে আরো ৭টি পরিবারে ৪৬টি গণে মোট ৯১টি প্রজাতিকে দেশবাসি সাপ বলে চেনে।
বাংলাদেশের গিরগিটি, টিকটিকি, তক্ষক, অঞ্জন, আচিল ও গুইসাপ
এদেশের সরীসৃপ শ্রেণিতে Squamata বর্গে ১৭টি গণে যে ৬টি পরিবারের প্রাণিগুলোকে দেশবাসি গিরগিটি, টিকটিকি, তক্ষক, অঞ্জন, আচিল ও গুই নামে ডাকে সেই ৩২টি প্রজাতির তালিকা নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
০১. হার্ডউইকের গিরগিটি,
০২. বন যুথিয়াল গিরগিটি,
০৩. সবুজ গিরগিটি,
০৪. দেশি বাগান গিরগিটি,
০৫. ব্লান্ডফোর্ডের উড়ন্ত টিকটিকি,
০৬. চিতি উড়ন্ত টিকটিকি,
০৭. নীল-গলা গিরগিটি,
০৮. খাসিয়া তক্ষক,
০৯. চিতা তক্ষক,
১০. দেশি ঘর তক্ষক,
১১. পুবদেশি ঘর টিকটিকি,
১২. চিতি ঘর টিকটিকি,
১৩. বাংলা বড় ঘর টিকটিকি,
১৪. চিতি পাম টিকটিকি,
১৫. গার্নটের দোলা টিকটিকি,
১৬. চওড়া-লেজি টিকটিকি,
১৭. লম্বা-লেজি গিরগিটি,
১৮. বাগান অঞ্জন,
১৯. ব্রোঞ্জ ঘাস অঞ্জন,
২০. সাদা চিতি অঞ্জন,
২১. বাউরিঙ্গা অঞ্জন,
২২. চটপটানি অঞ্জন,
২৩. চিতি অঞ্জন,
২৪. দাগী আচিল,
২৫. হলদে-পেট আচিল,
২৬. হিমালয়ী বন আচিল,
২৭. চিতি বন আচিল,
২৮. জলার আচিল,
২৯. ঝিলিক আচিল,
৩০. বাংলা গুই,
৩১. সোনা গুই,
৩২. রাম গুই,
বাংলাদেশের সাপ
বাংলাদেশে Reptilia শ্রেণিতে Squamata বর্গে ৭টি পরিবারে ৪৬টি গণে মোট ৯৪টি প্রজাতিকে দেশবাসি সাপ বলে চেনে। বাংলাদেশে Reptilia শ্রেণিতে Squamata বর্গে ৭টি পরিবারে ৪৬টি গণে মোট ৯৪টি প্রজাতির যেগুলোকে দেশবাসি সাপ বলে ডাকে সেই ৯৪টি প্রজাতির পরিবারসহ নামের তালিকা নিম্নে প্রদান করা হলো:
০১. ব্রাহ্মনী দুমুখো সাপ,
০২. ডায়ার্ডের দুমুখো সাপ,
০৩. জার্ডনের দুমুখো সাপ,
০৪. সুরু দুমুখো সাপ,
০৫. পশ্চিমা আঁচিল সাপ,
০৬. রুসেলের পাতি বালুবোরা,
০৭. দেশি অজগর,
০৮. জালি অজগর,
০৯. পাতি লাউডগা সাপ,
১০. ছোট-নাক লাউডগা সাপ,
১১. হিমালয়ী ধোরা সাপ,
১২. সাইবোল্ডের মাইটা সাপ,
১৩. দাগি ধোরা সাপ,
১৪. পাহাড়ি মাইট্টা সাপ,
১৫. ভেনিং-এর মাইট্টা সাপ,
১৬. ব্যান্ডকাটা রেসার সাপ,
১৭. জলপাইরঙা মাইট্টা সাপ,
১৮. ব্লাইদের সিলেটি সাপ,
১৯. সবুজ ফণিমনসা,
২০. বাংলার ফণিমনসা,
২১. পুবের ফণিমনসা,
২২. চিত্রিত ফণিমনসা,
২৩. খয়েরি ফণিমনসা,
২৪. চোখি ফণিমনসা,
২৫. পাতি ফণিমনসা,
২৬. কুকুরমুখা নোনা বোরা,
২৭. কালনাগিনী,
২৮. পাতি দুধরাজ সাপ,
২৯. তামাটেমাথা দুধরাজ সাপ,
৩০. জলপাইরঙা বেত আঁচড়া,
৩১. ব্যান্ড বেত আঁচড়া,
৩২. পাতি বেত আঁচড়া,
৩৩. দেশি ডিমখোর,
৩৪. দুসুমিরের পাইন্না সাপ,
৩৫. পাতি পাইন্না সাপ,
৩৬. সাইবোল্ডের পাইন্না সাপ,
৩৭. কাকড়াভুক পাইন্না সাপ,
৩৮. উজ্জ্বল প্যারাবন সাপ,
৩৯. মুখোসী পাইন্না সাপ,
৪০. ছোট দাগিগলা সাপ,
৪১. পাতি ঘরগিন্নি সাপ,
৪২. দাগি ঘরগিন্নি সাপ,
৪৩. হলুদ-ছাপ ঘরগিন্নি সাপ,
৪৪. জাউয়ের ঘরগিন্নি সাপ,
৪৫. সবুজ ধোরা/মাইটা সাপ,
৪৬. পাকড়া উদয় কাল,
৪৭. বলয় উদয় কাল,
৪৮. কালো দাগি উদয় কাল,
৪৯. ক্যান্টরের উদয় কাল,
৫০. বাংলার উদয় কাল,
৫১. রাসেলের উদয় কাল,
৫২. মান্দালয় উদয় কাল,
৫৩. লাল বাঁশ সাপ,
৫৪. দার্জিলিং শামুক-খোর,
৫৫. আসামি শামুক-খোর,
৫৬. পাহাড়ি সাপ,
৫৮. দেশি দাঁড়াশ সাপ,
৫৯. সবুজ দাঁড়াশ সাপ,
৬০. লালগলা সাপ,
৬১. ক্যান্টরের কালোমাথা সাপ,
৬২. ডুমেরিলের কালোমাথা সাপ,
৬৩. গুন্থারের সুরু সাপ,
৬৪. অসমীয়া সুরু সাপ,
৬৫. কমলাপেট সুরু সাপ,
৬৬. কালো পেট ধোরা সাপ,
৬৭. নক্সী ধোরা সাপ,
৬৮. পাতি কাল কেউটে,
৬৯. ডোরা কাল কেউটে,
৭০. ছোট কাল কেউটে,
৭১. কালা কাল কেউটে,
৭২. ওয়ালের কাল কেউটে,
৭৩. সুরু প্রবাল সাপ,
৭৪. পদ্ম গোখরো,
৭৫. খইয়া গোখরো,
৭৬. রাজ গোখরো,
৭৭. ম্যাক্লেলান্ডের প্রবাল সাপ,
৭৮. ডাউডিনের সামুদ্রিক সাপ,
৭৯. বড়শিনাক সামুদ্রিক সাপ,
৮০. কাল-হলুদ বলয়ে সামুদ্রিক সাপ,
৮১. ডোরা সামুদ্রিক সাপ,
৮২. মোহনা সামুদ্রিক সাপ,
৮৩. বইঠা টেবি সাপ,
৮৪. হলুদমুখো সামুদ্রিক কেউটে,
৮৫. কালোবলয়ী সামুদ্রিক কেউটে,
৮৬. ক্যান্টরের সরুমাথা সামুদ্রিক সাপ,
৮৭. ছোটমাথা সামুদ্রিক সাপ,
৮৮. হলুদপেট রঙিলা সাপ,
৮৯. মালাক্কা সামুদ্রিক সাপ,
৯০. রাসেলের চন্দ্রবোড়া,
৯১. পাহাড়ি বোরা,
৯২. সাদাঠোটি সবুজ বোরা সাপ,
৯৩. দাগিলেজা সবুজ বোরা,
৯৪. পপের লাল ফিতে সবুজ বোরা।
বাংলাদেশের কুমির ও ঘড়িয়াল
বাংলাদেশে কুমির ও ঘড়িয়াল পরিবারে পরিবারে রয়েছে ৩টি প্রজাতি,
১. মিঠাপানির কুমির, ২. লোনা পানির কুমির ৩. ঘড়িয়াল।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।