বানগারুস এলাপিডি পরিবারের দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সাপের একটি গণ

সাপের গণ

বানগারুস

বৈজ্ঞানিক নাম: Bungarus Daudin, 1803 সমনাম: Pseudoboa Oppel, 1811 Aspidoclonion Wagler, 1828 Megærophis Gray, 1849 Xenurelaps Günther, 1864; বাংলা নাম: ক্রেট, ইংরেজি নাম: kraits.
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia বিভাগ: Chordata উপপর্ব: Vertebrata শ্রেণী: Reptilia বর্গ: Squamata উপবর্গ: Serpentes পরিবার/গোত্র: Elapidae গণ: Bungarus Daudin, 1803,

ভূমিকা: বানগারুস (বৈজ্ঞানিক নাম:  Bungarus) এলাপিডি পরিবারের দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সাপের একটি গণ। এদেরকে বাংলায় শঙ্খিনী, কেউটে ও গোখরো (ইংরেজি: kraits) বলেও ডাকা হয়। । বাংলাদেশের সাপের তালিকায় বাংলাদেশে রয়েছে এই গণের প্রজাতি পাঁচটি যথা ১. পাতি কাল কেউটে, Common Krait, Bungarus caeruleus, ২. ডোরা কাল কেউটে, Banded Krait, Bungarus fasciatus, ৩. ছোট কাল কেউটে, Lesser Black Krait, Bungarus lividus, ৪. কালা কাল কেউটে, Black Krait, Bungarus niger, এবং. ওয়ালের কাল কেউটে, Wall’s Krait, Bungarus walli.

বানগারুস গণের প্রজাতিগুলোর ম্যাক্সিলারি অস্থি সামনের দিকে বর্ধিত নয়, প্যালাটাইন-এর পিছনে অবস্থিত। ২-৮টি বিষদাঁত থাকে। লােরিয়াল অনুপস্থিত, পিউপিল গােলাকার। আঁইশ মসৃণ, ১৩-১৯ সারিতে সাজানাে থাকে। নি-পুচ্ছের আঁইশ ১টি বা জোড়া থাকে (Smith, 1943)। শিরদাড় বরাবর আঁইশ বড়, দেহের পার্শ্বদেশের আঁইশের তুলনায় বড় (ব্যতিক্রম B. lividus)। এই গােত্রের সকল সাপ তীব্র বিষধর।

পৃথিবীতে এই গণে ১৫টি প্রজাতি এবং বাংলাদেশে এই গণে ৫টি প্রজাতি আছে। বাংলাদেশে প্রাপ্ত এই গণের প্রজাতি পাঁচটি হচ্ছে ১. পাতি কাল কেউটে, ২. ডোরা কাল কেউটে, ৩. ছোট কাল কেউটে, ৪. কালা কাল কেউটে এবং. ওয়ালের কাল কেউটে।

ছবির ইতিহাস: এই গণের প্রজাতি কাল কেউটের ছবি চিত্রে ব্যবহৃত হয়েছে।

তথ্যসূত্র:

১. জিয়া উদ্দিন আহমেদ (প্রধান সম্পা.), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: উভচর প্রাণী ও সরীসৃপ, খণ্ড: ২৫ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ১৬৫।

আরো পড়ুন:  টিয়াস হচ্ছে কলুব্রিডি পরিবারের সাপের একটি গণের নাম

Leave a Comment

error: Content is protected !!