খুলনার জিরো পয়েন্ট থেকে ৪৯৪টি সুন্দি কাছিম উদ্ধার

খুলনার জিরো পয়েন্ট থেকে চারশ চুরানব্বইটি সুন্দি কাছিম বা চিতি কাছিম উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, খুলনার বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ গতকাল ১২ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখ রাত আনুমানিক ৯.২০ মিনিটের সময় খুলনার জিরো পয়েন্টের কাছে ৪৯৪টি সুুন্ধি কচ্ছপসহ ৩ জন আসামীকে পরিবহনের পিকআপসহ আটক করেন। ইউনিটের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিট এই অভিযান পরিচালনা করে। র‍্যাব-৬ এতে সহায়তা করে। বন বিভাগ সূত্র জানায়, উদ্ধার করা সুন্দি কাছিমগুলোর ওজন আনুমানিক চার মণের মতো হবে। সবচেয়ে ছোটটির ওজন আধ কেজির মতো। এখানে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি ওজনের কাছিমো আছে।

খুলনায় আটককৃত সুন্দি কাছিম

আটককৃত আসামীরা হলেন প্রদীপ কুমার বাড়ৈ (৪৫), শুভদেব রায়, (৩০) এবং মো: মাসুম মোল্লা (৪৩)। আটককৃতদের সবার বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়ায়। আসামিরা প্রাণীগুলোকে বরিশালের আগৈলজারার উত্তম কুমারের নিকট থেকে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার গৌরাঙ্গের কাছে নিয়ে যাচ্ছিল। এগুলো পরে ভারতে পাচার করা হতো। কচ্ছপ পাচার হচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে গতকাল রাতে খুলনার জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে পিকআপটি আটক করা হয়। কাছিমগুলো বস্তা ও প্লাস্টিকের বড় ড্রামে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

আসামিদেরকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ অনুসারে মামলা দেয়া হয়েছে। উক্ত আইনের তফসিল ২ অনুযায়ী সুন্দি কাছিম বাংলাদেশে সংরক্ষিত প্রাণী। উল্লেখ্য যে আইনানুসারে বন্যপ্রাণী ধরা, শিকার, মারা, পরিবহন, বিক্রয় বিপণন ইত্যাদি অপরাধ হিসেবে গণ্য এবং এসব অপরাধের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে জেল এবং জরিমানা হতে পারে।

সুন্দি কাছিমের বৈজ্ঞানিক নাম Lissemys punctata এবং এদেরকে ইংরেজিতে বলা হয় স্পটেড ফ্লাপশেল টার্টল বা ইন্ডিয়ান ফ্লাপশেল টার্টল। বাংলাদেশের নদীনালা ও খালে একসময় প্রচুর পাওয়া যেত এই কাছিম। এদের খোলসে ছোপ ছোপ দাগ থাকে। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কাছিমগুলো খুলনার বন্য প্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে এই কাছিমগুলোকে অবমুক্ত করা হবে।

আরো পড়ুন:  সুন্দরবনে ক্যামেরার ফাঁদ পদ্ধতিতে বাঘ জরিপের কাজ শেষ, বিশ্লেষণ বাকি

Leave a Comment

error: Content is protected !!