পরিচিতি: শুধু বাংলায় নয়, ভারতের সব প্রদেশের লোকেই ধনিয়া বা ধনে বললেই চিনতে পারে। এটি একটি বর্ষজীবী ছোট ক্ষুপ বা গুল্ম উদ্ভিদ। যত্ন পেলে এই গাছগুলি ১২ থেকে ২ ফুট পর্যন্ত উচু হয়, এর উচ্চতাই সর্বচ্চো। ভাদ্র মাসে মাঠে ধনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, ধনিয়া বা ধনে গাছের পাতার ধার কাটা ও অসমান কোণের মতো হয়। তবে অনেকটা গোলাকার হয়; গাছ যত লম্বা হয় তার পাতার আকার ততই পরিবর্তিত হতে থাকে সেটা লক্ষ করা যায়। সোজা একটি দন্ডের চারিদিকে শাখা প্রশাখা বের হয়, শীতকালে সাদা ছোট ছোট ছত্রাকার ফুল হয়, তবে পুষ্পদণ্ডে বিশেষ কোনো পাতা থাকে না, থাকলেও দুই থেকে একটা, খুব ছোট।
বীজ কাচা অবস্থায় সবুজ হয়। শুকানোর পড়ে মসলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বীজ ভাঙলে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় অর্থাৎ দুটি অংশ হয় এবং দুটি থেকেই চারা গজায়। শহর ছাড়া গ্রামবাংলার লোকের কাছেও ধনে গাছ অপরিচিত নয়। এই গাছের ফলগুলিই আমাদের ব্যবহার্য ধনে, যার সংস্কৃত নাম ধন্যাক। যেটা আমরা সর্বদা ব্যবহার করি, এর থেকে আকারে বড় এক প্রকার ধনে বাজারে পাওয়া যায়। তবে এটি কোনো পৃথক জাত বা প্রজাতি নয়।
বিস্তৃতি: বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ইত্যাদি।
চাষ পদ্ধতি: ধনে বা ধনিয়া বীজ থেকে গাছ হয়। ভাদ্র মাসে বীজ ছড়ানো হয়। মাটি চাষ করে নরম করে ধনে ছিটিয়ে দিতে হয়। যত্ন নিলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। শীতকালে ফুল ফোটে তার পড়ে ফল হয়।
ব্যবহার্য অংশ: ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয় পাতা ও বীজ। ধনিয়া নানা অসুখ সারাতে ব্যবহৃত হয় যেমন বাচ্চাদের কাশি, বাত, জ্বর, পেটে বায়ু, অতিসার ইত্যাদি।
তথ্যসূত্রঃ
১. আয়ূর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্রচার্য, চিরঞ্জীব বনৌষধি‘ খন্ড ১, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ১৩৮৩, পৃষ্ঠা, ১৮৫।
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।