পরিচয়: হলুদ আমরুল দেখতে সরু ও লতানো শাক বিশেষ। এটা দেখতে ছোট ও মাটিতেই প্রসারিত হয়। মাটিতে চাপা হয়ে লেগে থাকে। এর প্রচলিত নাম আমরুল শাক। এটিতে ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি সুতার মতো সরু ডাটায় তিনটি পাতা হয়। পাতার রং সবুজ বর্ণের। এর স্বাদ টক হয়। ডাঁটার গোঁড়া থেকে ফুল বের হয় ও পাপড়ির রং হলুদ বর্ণের হয়। এর ফলের আকার যবের মতো হয়। ফলের ভেতরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বীজ হয়। অনেকে সুষনী শাক (Mfarsilea quadrifolia) বলে ভুল করে। এই দুটির পার্থক্য হলও সুষনীর চারটি পাতা এবং স্বাদেও টক নয়। এটির বোটানিকাল নাম Oxalis corniculata Linn., পরিবার Oxalidaceae. এর আরেকটি প্রজাতি কাশ্মীর, সিকিম ও হিমালয়ের অঞ্চল বিশেষে ৮ থেকে ১২ হাজার ফুট উচ্চতার মধ্যে পাওয়া যায়। সেটির নাম Oxalis acetosella Linn.; আরও একটি প্রজাতি পাওয়া যায় তার নাম Oxalis Corymbosa. তবে একটা কথা জেনে রাখা ভালো সমগ্র পৃথিবীর উষ্ণপ্রধান অঞ্চলে এই গণের প্রায় ২০০ প্রজাতি (species) পাওয়া যায়। তার মধ্যে ভারতের ৩টি প্রজাতি ঔষধার্থে ব্যবহত হয়ে থাকে।
বিস্তৃতি: বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক প্রদেশে এই গাছ জন্মে।
চাষ পদ্ধতি: সাধারণত একে দেখা যায় পোড়া মাটিতে বা বাড়ির আনাচে-কানাচে। ছায়াযুক্ত স্থানেও এই গাছ অনায়েসে টিকে থাকতে পারে। বীজ থেকে চারা হয়। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ফুল ও ফল হয়।
ব্যবহৃত অংশ: হলুদ আমরুল বিরুতের ঔষধ হিসাবে এর পাতা ব্যবহার করা হয়। পাতা রস করে বা শাক হিসাবে রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। সর্দি, আম, প্রস্রাবে সমস্যা ইত্যাদি অসুখে ব্যবহৃত হয়।
তথ্যসূত্রঃ
১. আয়ূর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্রচার্য, চিরঞ্জীব বনৌষধি খন্ড ২, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ১৩৮৩, পৃষ্ঠা, ১৯৩।
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিপিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Dalgial
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।