পরিচিতি: এটিকে বৃক্ষ বলা হয় না। চাকুন্দা মূলত ক্ষুপ বা গুল্ম জাতীয় গাছ অর্থাৎ কালমেঘের মতো ছোট ঝোপ গাছ। এই গুল্ম বর্ষজীবী। এর পাতার আকৃতি প্রায় গোল এবং ব্যাস প্রায় এক ইঞ্চি মতো হয়ে থাকে। পাতা দেখতে কোমল হয়। এর গায়ে নরম লোম হয়, এর পত্রকাণ্ডের দুই দিকে বিপরীতভাবে পাতা হয়। ৬টি পাতা থাকে একটি ডালে। ফুলগুলির বোটাও জোড়া জোড়া হয়, পাতার গোড়া থেকেই ফুল বের হয়, ফুলের রং হলুদ বর্ণের। শুঁটি ২ থেকে ৩ ইঞ্চি লম্বা হয় এবং ভিতরের বীজগুলি চ্যাপটা হয়। বর্ষায় এর ফুল ফোটে ও শীতে ফল হয়।
চাকুন্দা একটি ওষধি গাছ। এর ফল পাকলেই গাছ মরে যায়। এই গাছের আরও বৈশিষ্ট্য হলো সন্ধ্যা নামলেই এর নিদ্রা আসে অর্থাৎ দিনের শেষে পাতাগুলি পরস্পর জুড়ে যায়। ভারতের প্রদেশ ভেদে এর নামেরও ভিন্ন হয়। বাংলাদেশে একে চাকুন্দে বলে, হিন্দিভাষী অঞ্চলে একে বলে চক বড়, উড়িষ্যার অঞ্চল বিশেষে চাকুন্ডা বলে। এই গণে আরেকটি গাছ আছে, তাকে দাদমারির গাছ বলে। গাছগুলির পাতা বড় আকৃতির হয়, গাছও ৪ থেকে ৫ ফুট উচু হয়, সেই গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Cassia alata Linn.
বিস্তৃতি: চাকুন্দে সাধারণত দক্ষিণ এশিয়ার উদ্ভিদ। বাংলাদেশ, ভারত, নেপালসহ অন্য দেশসমূহে এই গাছ পাওয়া যায়।
চাষ পদ্ধতি: এই গুল্ম অযত্নে জন্মে। পরিত্যক্ত স্থানে জন্মে থাকে। বীজ থেকে চারা জন্মে।
ব্যবহার্য অংশ: ঔষধ হিসাবে এর বীজ, মূল ব্যবহার হয়।
তথ্যসূত্রঃ
১. আয়ূর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্রচার্য: ‘চিরঞ্জীব বনৌষধি‘ খন্ড ২, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ১৩৮৪, পৃষ্ঠা,১৫০-১৫১।
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিপিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Aruna.
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।