খুশি ফুল ভারতে জন্মানো উপকারী বিরুৎ

খুশি ফুল

বৈজ্ঞানিক নাম: Amischotolype mollissima (Blume) Hassk. var. glabrata (Hassk.) Rolla Rao, Mah. Vid. Mandir Pat. 6(2): 53 (1971). সমনাম: Campelia Mollissima Blume (1827), Campelia glabrata Hassk (1852) Amischotolype glabrata (Hassk.) Hassk. (1863). Forrestia hookeri Hassk. (1864). ইংরেজি নাম: Graceful Forrestia. স্থানীয় নাম: খুশি ফুল।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae, বিভাগ: Angiosperms. অবিন্যাসিত: Monocots. অবিন্যাসিত: Commelinids. বর্গ: Commelinales. পরিবার: Commelinaceae. গণ: Amischotolype প্রজাতি: Amischotolype mollissima.

ভূমিকা: খুশি ফুল (বৈজ্ঞানিক নাম: Amischotolype mollissima) Amischotolype গণের Commelinaceae পরিবারের গুল্ম। এই প্রজাতিটি পাহাড়ি জায়গায় অযত্নে জন্মে। এটি অনেক ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

খুশি ফুল-এর বর্ণনা:

ঋজু বীরুৎ, কান্ড সরল, ১ মিটার বা ততোধিক লম্বা। পত্র প্রশস্ত, ১৬-৩০ X ৬-১২ সেমি, সবৃন্তক, বল্লমাকার উপরের অংশ মসৃণ, নিচের অংশ লোমশ। পত্রাবরণ বদ্ধ, নলাকার, লোমশ। পুষ্প মুণ্ডাকার অনিয়ত পুষ্প বিন্যাসে জন্মে, প্রলম্বিত পত্রাবরণের মূলীয় অংশ ভেদ করে বাইরে আসে। বৃত্যংশ ১০-১২ মিমি, লোমশ, পেছনের পৃষ্ঠ আবৃত। পাপড়ি ৮-১০ মিমি, মুক্ত, প্রান্তীয় পৃষ্ঠীয় অংশ কোমল রোম যুক্ত, তীক্ষ্ণ, নীলাভ বেগুনি। উর্বর পুংকেশর ৬টি, পুংদন্ড লোমশ, পরাগধানী ডিম্বাকার, গর্ভপত্র ৩ টি, গর্ভাশয় ৩ কোষী, প্রতিকোষে ডিম্বক ২ টি, ক্যাপসুল ৮-১৫ x ৬-৭ মিমি, দীর্ঘায়ত বল্লমাকার, কোমল লোমশযুক্ত। বীজ ৩.০-৩.৫ মিমি, দীর্ঘায়ত বল্লমাকার, উপরিপন্ন।

আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার:

নদীর তীরবর্তী অঞ্চল এবং পাহাড়ী ঢাল। ফুল ও ফল ধারণ সময়কাল ডিসেম্বর ও জানুয়ারী মাস। এই প্রজাতিটি বীজ দ্বারা বংশ বিস্তার করে।

খুশি ফুল-এর বিস্তৃতি:

হিমালয়ের পূর্বাঞ্চল (সিকিম, ভূটান, খাসিয়া ও নাগা পর্বত) এবং মালয়েশিয়া বিভিন্ন অঞ্চলে। বাংলাদেশের বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা থেকে এই প্রজাতিটি রিপোর্ট করা হয়েছে।

অন্যান্য তথ্য:

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের  ১১ খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) খুশি ফুল প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের সীমাবদ্ধ বিস্তার এবং বাংলাদেশে এটি বিরল প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে খুশি ফুল সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটি বর্তমানে সংরক্ষণের প্রয়োজন।

আরো পড়ুন:  দুব্বিশাক বাংলাদেশের সর্বত্রে জন্মানো ভেষজ বিরুৎ

তথ্যসূত্র ও টীকা:

১. এম কে আলম (আগস্ট ২০১০) “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। খন্ড ১১, পৃষ্ঠা ১৪৭-১৪৮। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি flowersofindia.net থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Thingnam Rajshree

Leave a Comment

error: Content is protected !!