ভূমিকা: বড় এলাচ (বৈজ্ঞানিক নাম: Amomum subulatum) অ্যাামোমাম গণের জিঞ্জিবারাসি পরিবারের বিরুৎ। এই প্রজাতিটি শীতপ্রধান অঞ্চলে জন্মে। এটি অনেক ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
বড় এলাচি-এর বিবরণ:
কালো এলাচ বা বড় এলাচ একটি চিরসবুজ উদ্ভিদ। যা ৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পাতা কান্ডের উপরের অংশে থাকে। পুরানো ডালপালা কয়েক বছর পরে মারা যায়। রাইজোমগুলি অনুজ্জ্বল লাল রঙের। রাইজোমের গোড়া থেকে হয় এবং বসন্তে ফুলের কুঁড়ি দেখা যায়।
বৃন্তটি ছোট এবং কুঁড়িগুলি আঁটসাঁট লাল আভরণে ঢাকা থাকে। বসন্ত থেকে গ্রীষ্মের মাঝামাঝি পর্যন্ত ফুল ফোটে। পৃথক ফুল তিন দিন বা আরও বেশি সময় পর্যন্ত ফুটে থাকে এবং নতুনগুলি পরপর প্রস্ফুটিত হয়। একটি পুষ্পমঞ্জরী এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ফুলে থাকে। এর বীজের শুঁটিতে শক্তিশালী কর্পূরের মতো গন্ধযুক্ত, ধোয়ার মাধ্যমে এটি শুকানো হয়। শুঁটিগুলি একটি মশলা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এটা ভারতীয় সবুজ এলাচের শুঁটির মতোই, তবে একটি ভিন্ন স্বাদের সাথে।
বিস্তৃতি:
কালো এলাচ নেপাল, সিকিম এবং ভুটানের পূর্ব হিমালয়ে ৫০০ থেকে ২০০০ মিটার উচ্চতায় চাষ করা হয়। এই প্রজাতিটি পাহাড়ের স্রোত এবং স্যাঁতসেঁতে বনভূমির কাছাকাছি শীতল বনাঞ্চলে বাস করে।
ব্যবহার: ঐতিহ্যগত চীনা ওষুধে এর ব্যবহার আছে। এছাড়া কালো এলাচ পেটের রোগ এবং ম্যালেরিয়ার, জন্ডিস জন্য ব্যবহার করা হয়।
তথ্যসূত্র:
১. ভরত প্রধান, “Black Cardamom”, flowersofindia.net, ভারত, ইউআরএলঃ https://www.flowersofindia.net/catalog/slides/Black%20Cardamom.html
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি flowersofindia.net থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Smita Raskar
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।