চীনাবাদাম (Arachis hypogea) সর্বপ্রথম আমেরিকা মহাদেশে চাষ হত। তথা হতে পৃথিবীর অপরাপর স্থানে এর চাষ প্রবর্তিত হয়। সম্ভবতঃ প্রায় ৭০ বৎসর পূর্বে বাদাম চিনদেশ হতে এই দেশে আসে বলে একে চিনাবাদাম বলা হয়। মাদ্রাজ প্রদেশে এর চাষ অধিক পরিমাণে হয়, বোম্বাই প্রদেশের মধ্যে কর্ণাট, সোনাপুর, সেতারা প্রভৃতি স্থানে বিস্তর চিনাবাদাম হয়।
চাষাবাদ: চিনাবাদাম শুষ্ক বালুকাময় স্থানে বেশ ভাল ফলন দেয়। দোআঁশলা এটেল মাটিতে কম হয়, এটেল মাটিতে কম হলেও টেনে তোলা কষ্টকর বা তোলা যায় না। চীনাবাদাম বপন সময় হলো আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র ব্যতীত সকল সময় এবং যখনই বপন করা যায় ৬ মাসের মধেই শাখায় ফুল দেখা যায়। ৭ মাসেই মাটি খুড়িয়া চিনাবাদাম তোলা যায়।
চাষের জন্য যে বীজ সংরক্ষণ করা হয় সেটাকে অবশ্যয় সুস্থ্য হতে হবে। বীজের উপরের খোসাটি আস্তে চাপ দিলে ভেঙ্গে যাবে; তবে খেয়াল রাখতে হবে বীজ-দানায় যেনো আঘাত না লাগে। এক ফুট দুরে দুরে বীজ বসাতে হবে। গাছ এক ফুট উচু হইলে আলুর ন্যায় পিলি বা ভেলী বেঁধে দিতে হবে।
তেলের ব্যবহার: বাদাম তেল চিনাবাদাম হতে উৎপন্ন হয়। এক মণ চিনাবাদামে প্রায় সতের সের তৈল হয়। এই তৈল অনেক ঔষধে ব্যবহৃত হয়। কলিকাতায় অনেক খাবারের দোকানে এই তৈল দ্বারা লুচি ইত্যাদি ভাজা হয়। অসাধু ব্যবসায়ীরা নারিকেল তৈল ও ঘৃতের সহিত এর ভেজাল দেয়। এই তেলে আলোও জ্বালা যায়।
এছাড়াও বাদামের তেলে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে, স্মরণ শক্তি বাড়ে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে ইত্যাদি।
তথ্যসূত্রঃ
১. ডা: শ্রীযামিণী রঞ্জন মজুমদার: খাদ্যশস্য, মি: বি ছত্তার, কলকাতা, দ্বিতীয় সংস্করণ ১৩৫১, পৃষ্ঠা, ৮৯-৯০।
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Thamizhpparithi Maari
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে”, “ফুলকির জন্য অপেক্ষা”। যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ” এবং যুগ্মভাবে রচিত বই “নেত্রকোণা জেলা চরিতকোষ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।