ভূমিকা: কারোয়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Carum carvi, ইংরেজি: Caraway.) হচ্ছে Fabaceae পরিবারের Caesalpinia গণের একটি সপুষ্পক বিরুৎ। এটিকে বাংলাদেশে মসলা উদ্ভিদ হিসেবে বাগানে বা গৃহে চাষাবাদ করা হয়।
কারোয়া-এর বিবরণ:
কারোয়া দেখতে গাজর পরিবারের অন্যান্য প্রজাতির মতো। সূক্ষ্মভাবে বিভক্ত, পালকযুক্ত পাতাগুলি সুতার মতো বিভাজনসহ ২০-৩০ সেমি (৮-১২ ইঞ্চি) কান্ডে বৃদ্ধি পায়। প্রধান ফুলের কান্ড ৩০-৬০ সেমি (১২-২৪ ইঞ্চি) লম্বা, ছোট সাদা বা গোলাপী ফুল যৌগিক ছাতার মধ্যে ৫-১৬ অসম রশ্মি ১-৬ সেমি লম্বা। কারোয়া ফল মসৃণ, অর্ধচন্দ্রাকার, পার্শ্বীয়ভাবে সংকুচিত, প্রায় ৩ মিমি (১⁄৮ ইঞ্চি) লম্বা, পাঁচটি ফ্যাকাশে শিলা আছে এবং চূর্ণ করার সময় সুগন্ধ হয়।
চাষাবাদ:
ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের কিছু অঞ্চলছাড়া সমগ্র ইউরোপ জুড়ে কারোয়ার চাষ হয়। রান্নার জন্য কারোয়ার ফল এবং ঔষধ ও বিশেষ পানীয় বা লিকার প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়। উদ্বায়ী তেলের জন্য এখানে কেবলমাত্র ক্যারাম কারভি প্রজাতির চাষ হয়। এদের কিছু কিছু প্রজাতি পাথুরে পর্বতে জন্মায়।
কারোয়া উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য উষ্ম ও রৌদ্যোজ্জ্বল এলাকা এবং জৈব উপাদানে সমৃদ্ধে ও সেচের সুব্যবস্থাযুক্ত মাটির প্রয়োজন। অপেক্ষাকৃত উষ্ম অঞ্চলে প্রতি বছর শীতকালে এটি রোপণ করা হয়। নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন একবর্ষজীবী বা দ্বিবর্ষজীবী ফসল হিসেবে এটি লাগানো হয়। তবে, এর বহুবর্ষজীবী পলিপ্লয়েড (চার সেট ক্রোমোজোমযুক্ত) প্রকারণও পাওয়া যায়।
কারোয়া-এর ব্যবহার:
কারোয়া মসলা হিসাবে রান্নাতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও জিরা পরিবর্তে খাওয়া হয়। পুডিং বা খাবারে ও প্রসাধনীতে সুগন্ধি হিসাবেও ব্যবহার হয়। এর ফলের তেল সাবান, লোশন, প্রসাধনী ইত্যাদিতে সুগন্ধী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মুখের দুর্গন্ধ দূরীকরণেও এর ব্যবহার আছে। এছাড়া ঐতিহ্যবাহী বা ভেষজ ঔষধি তৈরিতে কারোয়ার ব্যবহার তো রয়েছে।
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Piccha
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।