গাং কনুর বাংলাদেশে জন্মানো বহুবর্ষজীবী কন্দ বীরুৎ

বীরুৎ

গাং কনুর

বৈজ্ঞানিক নাম: Crinum amoenum Roxb., Fl. Ind. 2: 127 (1832). স্থানীয় নাম: গাং কনুর।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae. বিভাগ: Angiosperms. অবিন্যাসিত: Rosids. বর্গ: Sapindales. পরিবার: Amaryllidaceae. গণ: Crinum  প্রজাতির নাম: Crinum amoenum.

ভূমিকা: গাং কনুর (বৈজ্ঞানিক নাম: Crinum amoenum) অ্যামেরিলিডেসি পরিবারের বর্ষজীবী বিরুৎ। বাড়ি ও বাগানের শোভাবর্ধনের জন্য লাগানো হয়।

গাং কনুর-এর বর্ণনা:

বহুবর্ষজীবী কন্দাল বীরুৎ, কন্দ গোলাকার, ৫.০-৭.৫ সেমি ব্যাস বিশিষ্ট; পত্র লম্বা, ৪৫-৬০ x ২.৫-৪.০ সেমি, উজ্জ্বল সবুজ, অর্ধ ঋজু, অসি ফলকাকার, মূলীয় অংশ থেকে উপরের দিকে ক্রমশ সরু, শীর্ষ দীর্ঘাঘ, কিনারা অমসৃণ।

ভৌম পুষ্পদন্ড ৩০-৬০ সেমি, সরু, অর্ধবেলনাকার। পুষ্পবিন্যাস ৬-১২ পুপের আম্বেল, চমসা। ৫ সেমি, বল্লমাকার, পুষ্প অর্ধবৃন্তক। পুষ্পপুটনালি সবুজ, ৭.৫-১০.০ সেমি, খন্ড ৫.০-৭.৫ সেমি, রৈখিক-বন্ধকার, পুংদন্ডাপেক্ষা দীর্ঘতর, সাদা।

পুংকেশর ৬টি, পুংদন্ড লাল, পুষ্পপুট খন্ডাপেক্ষা ক্ষুদ্রতর। পরাগধানী দীর্ঘায়ত, পৃষ্ঠলগ্ন। গর্ভপত্র ৩টি, গর্ভাশয় ৩ কোষী, অধোগর্ভ, ফল ক্যাপসুল ।

ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ১৮, ১২ (Lubna et al., 2004)।

আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার:

১৮০০ মিটার পর্যন্ত উঁচু পাহাড়ী অঞ্চল, জলাশয়ের নিকটবর্তী স্থানে। ফুল ও ফল ধারণ সময় মে-আগস্ট। এই প্রজাতি কন্দ উদ্ভিদ। মাটির নিচে পেঁয়াজের মতো অংশ দিয়ে নতুন চারার জন্ম।

ব্যবহার:

এই প্রজাতির ভেষজ গুণ সম্পর্কে জানা যায় নি। তবে বাগান, অফিস বা উদ্যানের শোভাবর্ধনের জন্য বীরুৎটি লাগানো হয়।

গাং কনুর-এর বিস্তৃতি:

হিমালয়ের উষ্ণাঞ্চল, ভারত (সিকিম ও খাসিয়া পাহাড়), নেপাল ও মায়ানমার। বর্তমান বাংলাদেশের সিলেট জেলা থেকে এটি সংগ্রহ করা হয় (Hooker, 1892)।

অন্যান্য তথ্য:

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ১১ খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) গাং কনুর প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের শীঘ্র কোনো সংকটের কারণ দেখা যায় না এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচিত।

আরো পড়ুন:  চিতা লিলি উষ্ণ ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের ভেষজ বিরুৎ

বাংলাদেশে গাং কনুর সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির বর্তমানে সংরক্ষণের জন্য ব্যক্তিগত বাগানের বাইরেও লাগানো দরকার।

তথ্যসূত্র:

১. এম এ হাসান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ১১ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৩৫৯-৩৬০। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি www.flowersofindia.net থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Thingnam Girija

Leave a Comment

error: Content is protected !!