কেতুরী হলদি দক্ষিণ-পুর্ব এশিয়ায় জন্মানো কন্দ প্রজাতি

কেতুরী হলদি

বৈজ্ঞানিক নাম: Curcuma angustifolia ইংরেজি নাম: East Indian Arrowroot, Bombay arrowroot. অন্যান্য নাম: Hindi: Tikhur तिखुर; Manipuri: Yaipan; Marathi: Tavakeera, Tavakhira, Tavakila; Malayalam: Koova, Kuva-kizhanna; Tamil: Ararutkilangu, Kua, Ararut-kizhangu; Kannada: Koove-hittu; Tangkhul: Koktuiwon; Telugu: Ararut-gaddalu; Sanskrit: Tavakshira. স্থানীয় নাম: কেতুরী হলদি।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae বিভাগ: Angiosperms অবিন্যাসিত: Monocots বর্গ: Zingiberales  পরিবার: Zingiberaceae গণ: Curcuma  প্রজাতি: Curcuma angustifolia.

ভূমিকা: কেতুরী হলদি (বৈজ্ঞানিক নাম: Curcuma angustifolia) হচ্ছে জিঞ্জিবারাসি পরিবারের কারকুমা গণের একটি সপুষ্পক কন্দ। এটিকে পাহাড়ীঞ্চলের মাটিতে ভালো জন্মে।

কেতুরী হলদি-এর বিবরণ:

কেতুরী হলদি হল একটি আকর্ষণীয় আদা, যার মধ্যে শক্ত ভূগর্ভস্থ রাইজোম রয়েছে, এবং এটি শীতকালে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। বসন্তের শুরুতে পাতার আগায় ফুল আসে। এর রঙ্গিন বৃতিগুলো প্রজাতিটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। এর বৃতিগুলোর আকৃতি ও রং খুব পরিবর্তনশীল। প্রায় তিন সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় ধরে গাছে ফুল ফুটে থাকে। তাজা ফুল কেটে ফুলদানিতে স্বচ্ছ পানিসহ রাখলে ১০ দিন বা তারচেয়ে বেশি সময় ভালো থাকে। পাতা ২ ফুট লম্বা হয় এবং শরৎকালে শুকিয়ে যায়।

আবাসস্থল ও বিস্তৃতি:

এই প্রজাতিটি পূর্ব হিমালয়ে পাওয়া যায় এবং রোদ্রজ্জ্বল উন্মুক্ত পাহাড় ও বনে জন্মাতে পারে। কেতুরী হলদি হিমালয় থেকে কুমায়ুন অঞ্চল এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে জন্মে। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশে জন্মে। এই প্রজাতি ৯০০ থেকে ১২১০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় জন্মায়।

ব্যবহার:

এই প্রজাতির নানা ভেষজ গুণ আছে। এটি পুষ্টিকর ও রোগ প্রতিকার করে। খাবারের কারণে কিছু অসুস্থতায়, জ্বর থেকে সুস্থ হওয়ার পরের দুর্বলতা কাটাতে, খাদ্যনালীর জ্বালাপোড়ায়, পালমোনারি অঙ্গ, মূত্রযন্ত্রে সমস্যায়, নবজাতকের জন্য বুকের দুধ বাড়নও বা দুধ ছারানো জন্য এর বেশ কার্যকর।   

জেলি তৈরি: মণিপুরে এর ফুল দিয়ে পাকোড়া তৈরি করা হয়, সেটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। এটা থেকে জেলি তৈরি করা যায়। চিনি, লেবুর রস, ফলের জেলি, এসেন্স বা সুগন্ধি দিয়ে বিভিন্নভাবে পাকা করে বানানো হয়। এই জেলির কোনো বিদঘুটে স্বাদ নেই এবং পেটে গ্যাস্টিক বাড়ায় না। অল্প বয়স্ক শিশু ছাড়া সকলের জন্য পছন্দের ও সুস্বাদু খাবার।

আরো পড়ুন:  এ্যালাটোসলেমা রূপেস্ট্রা বহুবর্ষজীবী বীরুৎ

তথ্যসূত্র:

১. বসন্তরাণী, “Curcuma angustifolia”, flowersofindia.net, ভারত, ইউআরএলঃ http://www.flowersofindia.net/catalog/slides/East%20Indian%20Arrowroot.html

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি flowersofindia.net থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Sobhapati Samom

Leave a Comment

error: Content is protected !!