কাকুর আলু দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মানো ভেষজ বিরুৎ

বিরুৎ

কাকুর আলু

বৈজ্ঞানিক নাম: Dioscorea pubera Blume, Enum. Pl. Jav. 1: 21 (1827). সমনাম: Dioscorea anguina Roxb. (1832), Dioscorea spinosa Roxb. ex Wall. (1832). ইংরেজি নাম: । স্থানীয় নাম: কুখুর আলু, কাকুর আলু।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae. বিভাগ: Angiosperms. অবিন্যাসিত: Monocots. বর্গ: Dioscoreales. পরিবার: Dioscoreaceae. গণ: Dioscorea  প্রজাতির নাম: Dioscorea pubera

ভূমিকা: কাকুর আলু (বৈজ্ঞানিক নাম: Dioscorea pubera) এক প্রকারের ভেষজ উদ্ভিদ। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাওয়া গেলেও বাংলাদেশে পাহাড়ি অঞ্চলে জন্মে।

কাকুর আলু-এর বর্ণনা:

প্যাচানো বীরুৎ, গ্রন্থিক বেলনাকার, গভীর ভূন্মিস্থ। উদ্ভিদ স্বল্প রোমশ, কান্ড ডান পার্শ্বে প্যাচানো, পত্রকন্দ কখনও উপস্থিত। পত্র একান্তর বা প্রতিমুখ, ৯-১৮ X ৭-১৮ সেমি, ডিম্বাকার, তীক্ষ্মী, মূলীয় অংশ তালুকাকার, ৭-শিরাল, নিম্নপৃষ্ঠ রোমশ, বৃন্ত ফলক অপেক্ষা ক্ষুদ্রতর। পুং পুষ্পবিন্যাস স্পাইক, ফলকবিহীন অক্ষে ১ থেকে ৮ টি গুচ্ছাকার, সজ্জিত, স্পাইক ১.০-২.৫ সেমি, অতিশয় ঘন, মঞ্জরীপত্র ক্ষুদ্র।

পুংপুষ্প বাদামী, গোলাকার, অবৃন্তক, বহিস্থ পুষ্পপুটাংশ ডিম্বাকার, সূক্ষ্মাগ্র, কীলযুক্ত, কীল ১.২ x ০.৮ মিমি, বর্হিভাগ রোমশ, অন্তস্থ পুষ্পপুটাংশ সামান্য খাটো, রোমশ বিহীন। পুংকেশর ৬ টি, পরাগধানী ০৩ x ০.২ মিমি, স্ত্রী পুষ্পবিন্যাস একটি বা একটি জোড়াবদ্ধ স্পাইক, অক্ষীয় বা প্রশস্ত অপসারী। স্ত্রীপুষ্পের বহিস্থ ও অন্তস্থ পুষ্পপুটাংশ পুংপুষ্পের পুষ্পপুটাংশ থেকে খাটো ও প্রশস্ত। গর্ভাশয় ঘন রোমশ, গর্ভদন্ড দৃঢ়, ০.৪০.৫ মিমি। ফল ক্যাপসুল, সম্মুখভাগে প্রসারিত, শীর্ষ খাঁজযুক্ত, ১.৮-২.০ সেমি লম্বা, পক্ষ অর্ধ-গোলাকার, ১.৫১.৮ সেমি প্রশস্ত। বীজ বাদামী পক্ষ দ্বারা পরিবেষ্টিত।

ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ৪০ (Kumar and Subramaniam, 1986)

আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার:

গৌণ অরণ্য, জলাশয়ের তীরবর্তী ঝোপ। ফুল ও ফল ধারণ সময় জুলাই-নভেম্বর মাস। গ্রন্থিক ও পত্রক দ্বারা বংশ বিস্তার হয়।

বিস্তৃতি: ভারত, নেপাল, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া ও মায়ানমার। বাংলাদেশের সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় জন্মে।

আরো পড়ুন:  বড় নল বা গাবা নল ভেষজ গুণ সম্পন্ন এশিয়ার তৃণ

ব্যবহার: গ্রন্থিক আহার্য। (Noltie, 1994) ।

কাকুর আলু-এর অন্যান্য তথ্য:

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ১১ খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) কাকুর আলু প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, উদ্ভিদের আবাসস্থান ধবংসের কারণ বাংলাদেশে এটি সংকটাপন্ন হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে কাকুর আলু সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটি রক্ষার জন্য আবাসস্থল সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।

তথ্যসূত্র:

১. এম আতিকুর রহমান ও এস সি দাস (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ১১ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৩১৮। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!