এ্যালাটোসলেমা প্যাপিলোসাম বহুবর্ষজীবী বীরুৎ

এ্যালাটোসলেমা প্যাপিলোসাম

বৈজ্ঞানিক নাম: Elatostema papillosum Wedd., Arch, Mus. Hist. Nat, 9:327 (1856). সমনাম: জানা নেই। ইংরেজি নাম: জানা নেই. স্থানীয় নাম: জানা নেই।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae, বিভাগ: Angiosperms. অবিন্যাসিত: Eudicots. অবিন্যাসিত: Rosids. বর্গ: Rosales. পরিবার:  Urticaceae. গণ: Elatoslema প্রজাতি: Elatostema papillosum.

ভূমিকা: Elatostema papillosum বিরুৎ প্রজাতির। এটি শীতপ্রধান অঞ্চলে জন্মে। বাংলাদেশে বিপন্ন প্রজাতির হলেও এটি অনেক ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

এ্যালাটোসলেমা প্যাপিলোসাম-এর বর্ণনা:

সহবাসী বা ভিন্নবাসী, বহুবর্ষজীবী বীরুৎ। এটি ৪০ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়। এদের কান্ড সরল বা শাখান্বিত, স্ফীত বা সামান্য বাঁকা গোড়া থেকে খাড়া, রসালো। পাতা একান্তর, বৃন্তহীন বা খাটো বৃন্তক, ন্যানোফিলস হৃৎপিন্ডাকার বা ডিম্বাকার, ৩- ১০ মিমি লম্বা, উপপত্র বল্লমাকার বা রেখাকার, ৫-৭× প্রায় ০.৭ সেমি, রোমহীন, সিস্টোলিথ আণুবীক্ষনিক বা অনুপস্থিত, পত্রফলক তির্যক উপবৃত্তাকার বা তির্যক বিডিম্বাকার, ১০-১৫ × ২-৬ সেমি, শীর্ষ তীক্ষ্মাগ্র বা পুচ্ছযুক্ত, প্রান্ত গোলাকার দপ্তর, শিরা নিম্নদিকে রোমশ।

পুংপুষ্পবিন্যাস একল, সরল, মঞ্জরীদন্ড ২-৫ সেমি লম্বা, পুষ্পাধার উপবৃত্তাকার, ১.০-২.৫ × ১.০-১.৪ সেমি, মঞ্জুরীপত্র যুক্ত, মঞ্জরীপত্রিকা রেখাকার-আয়তাকার, সূক্ষ্মাগ্র। স্ত্রীপুষ্পবিন্যাস একল, মঞ্জুরীদন্ড প্রায় ১ মিমি লম্বা, পুষ্পাধার পুংপুষ্প থেকে ছোট, প্রায় বর্তুলাকার, মঞ্জুরীপত্র ত্রিকোণাকার, পঞ্জরীপত্রিকা বল্লমাকার-রেখাকার। পুংপুষ্প ৪-অংশক। ফল একিন, উপবৃত্তীয়, উভয় প্রান্ত সূক্ষ্মাগ্র, সূক্ষ্ম খাঁজযুক্ত। ক্রোমোসোম সংখ্যা: জানা নেই ।

আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার: প্রশস্ত পাতাযুক্ত চিরহরিৎ বনের উপত্যকা এবং বৃক্ষময় ভূমির প্রান্ত। ফুল ও ফল ধারণ : জুন-জুলাই মাস। বীজ থেকে বংশ বিস্তার হয়।

বিস্তৃতি: ভুটান, ভারত এবং চীন। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এবং সিলেট জেলা থেকে রেকর্ড করেছেন Hooker (1888)।

অন্যান্য তথ্য:

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ১০ খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) এই প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার কারণ বাংলাদেশে এটি সংকটাপন্ন হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে এই সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতির বিস্তৃতি খুজে বের করার জন্য সম্পূর্ণ অনুসন্ধান, পাওয়া গেলে এক্স-সিটু পদ্ধতিতে পর্যাবেক্ষণ প্রয়োজন।

আরো পড়ুন:  ঢেঁকি শাক ভেষজ গুণে ভরা বিরুৎ

তথ্যসূত্র ও টীকা:

১. এম আমান উল্লাহ (আগস্ট ২০১০) “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। খন্ড ১০, পৃষ্ঠা ৪২৬। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!