ভূমিকা: মুসা হচ্ছে মুসাসি (ইংরেজি: Musaceae) পরিবারের সপুষ্পক উদ্ভিদের একটি গণের নাম। এই গণের অন্তর্ভুক্ত প্রজাতিগুলো মাঝারি আকারে হয়ে থাকে।
বিবরণ: মুসা গণের গাছগুলো বৃক্ষবৎ বহুবর্ষজীবী বীরুৎ, ২৯ মিটার উঁচু। পত্র গুড়ি কন্দ থেকে উথিত, ফলক শক্তভাবে পাকান, বৃহৎ, ভাঁজহীন অবস্থায় দীর্ঘায়ত, ১.৫-৩.০ x ০.৪-১.০ মিটার, ভারবহনকারী মধ্যশিরা সুস্পষ্ট।
পুষ্পবিন্যাস প্রান্তীয়, প্রতিটি গুড়িকন্দ থেকে। উখিত পুষ্পাক্ষ ছদ্মকান্ডের অভ্যন্তর দিয়ে শীর্ষের বাইরে প্রসারিত, ঋজু, নিম্নমুখী ঝুলন্ত।
স্ত্রী পুষ্প নিকটতম এবং পুংপুষ্প দুরবর্তী, কখনও মধ্যবর্তী স্থানে ক্লীব পুষ্প বিদ্যমান, প্রতিপর্বে সাধারণত ১২-২০ টি পুষ্প, স্ত্রীপুষ্পের পর্ব ৫ থেকে ১৫। প্রতিদিন ১ টি করে মঞ্জরীপত্র উন্মুক্ত, পরিপক্ক পুষ্পবিন্যাস ৫০-১০০ সেমি লম্বা, বহু সংখ্যক কাঁদি বিশিষ্ট। স্ত্রী পুষ্প ১০ সেমি লম্বা, ৩ টি যুক্ত গর্ভপত্র বিশিষ্ট, গর্ভাশয় অধোগর্ভ, পুষ্পপুটাংশ ৬ টি, ৫ টি একত্রে যুক্ত, ১ টি মুক্ত, গর্ভদন্ড ও বন্ধ্যা পুংস্তবকের চারদিকে নালিকা তৈরি করে, গর্ভমুণ্ড ৩-খন্ডিত, বন্ধ্যা পুংকেশর ৫ টি।
পুংপুষ্প ৬ সেমি লম্বা, পুংকেশর ৫ টি, কদাচিৎ পরাগরেণু বহন কারী, বন্ধ্যা গর্ভকেশর ক্ষুদ্র। ফল বেরি, অর্ধ-বেলনাকার, বাঁকানো বা সোজা, হলুদ বা লাল, বন্য প্রজাতিতে বীজ ভর্তি, আবাদী প্রজাতি বীজ বিহীন।
বাংলাদেশে এই গণে আছে তিনটি প্রজাতি এবং সারা পৃথিবীতে আছে প্রায় ৭০টি প্রজাতি। বাংলাদেশের পাহাড়ি কলা, রাম কলা , কাঁচ কলা এই গণের অন্তর্ভুক্ত।
তথ্যসূত্র:
১. এম আমান উল্লাহ এবং এম মতিয়ুর রহমান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ১১ খন্ড (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৩৮১। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিপিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Raul654
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।