ভূমিকা: যষ্টিমধু (বৈজ্ঞানিক নাম: Glycyrrhiza glabra) হচ্ছে ফেবিসিয়া পরিবারের গ্লাইসাইররিজা গণের একটি সপুষ্পক বিরুত। এটিকে মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে জন্মে। মূলত এর শেকড় ব্যবহার করা হয়।
যষ্টিমধু-এর বিবরণ:
যষ্টিমধু একটি বহুবর্ষজীবী ভেষজ উদ্ভিদ। যা ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়, প্রায় ৭-১৫ সেন্টিমিটার লম্বা চূড়ায় পাতা থাকে এবং ৯-১৭ টি কচিপাতা সহ গুচ্ছ হয়। এর ফুলগুলি ০.৮-১.২ সেমি লম্বা ও বেগুনি থেকে ফ্যাকাশে সাদা নীল রঙয়ের হয়। ফলটি দেখতে একটি আয়তাকার শুঁটির মতো, ২-৩ সেমি লম্বা, এতে বেশ কয়েকটি বীজ থাকে।
যষ্টিমধুর গন্ধতে মূলত অ্যানিথোল নামক মিষ্টি স্বাদের যৌগ থেকে, একটি সুগন্ধযুক্ত, অসম্পৃক্ত ইথার যৌগ যা মৌরি, মৌরি এবং অন্যান্য ভেষজে পাওয়া যায়। যষ্টিমধুতে অতিরিক্ত মিষ্টতা আসে গ্লাইসারাইজিন অ্যাসিড থেকে, যা চিনির চেয়েও মিষ্টি একটি অ্যান্টি-ভাইরাল যৌগ। কোমল পানীয়তে এবং কিছু ভেষজ চায়ে লিকোরিস ফ্লেভারিং ব্যবহার করা হয় যেখানে এটি একটি মিষ্টি আফটারটেস্ট প্রদান করে।
বিস্তার:
ইরান, ইতালি, আফগানিস্তান, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন, পাকিস্তান, ভারত, ইরাক, আজারবাইজান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং তুরস্ক।
যষ্টিমধু-এর উপকারিতা:
মুখের ঘা এবং পেপটিক আলসার উভয়ের জন্য প্রচলিত এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসায় যষ্টিমধু উপকারী হতে পারে। এটি চিরাচরিত চীনা ওষুধে, যষ্টিমধু সাধারণত ভেষজ ঔষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
তথ্যসূত্র:
১. Glycyrrhiza glabra, ওয়েবসাইট নাম: flowersofindia.net ইউআরএলঃ https://www.flowersofindia.net/catalog/slides/Licorice
[বি.দ্র প্রবন্ধে ব্যবহৃত ছবিটি উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রী: Salil Kumar Mukherjee
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।