বনওকড়া বিরুৎ (triumfetta rhomboidea)-এর ফলগুলি দেখতে অনেকটা ছোলার মত। অতি সহজেই কাপড়ে আটকে যায় । সাধারণতঃ অক্টোবর থেকে জানুয়ারী মাসের মধ্যে গাছে ফুল ও ফল হয় ।
বনওকড়া বিরুৎ-এর গুণপনা
মূল— স্বাদে তিক্ত ও কটু, স্বভাবে শীতল, পিচ্ছিল, বলকর, রসায়ন, রক্তরোধক, স্তন্যবর্ধক, কামোদ্দীপক ও প্রস্রাবকারক এবং প্রবাহিকা ও রক্তাতিসারে ব্যবহার্য। এটি অন্ত্রজ ক্ষত সারায়, ব্রণে প্রলেপ হিসেবে উপকারী এবং এর গরম ক্বাথ সেবনে স্ত্রীলোকের সুখে প্রসব হয়। রক্তার্শ ও রক্তপিত্তেও এটির ব্যবহার হয়ে থাকে।
পাতা, ফুল ও ফল— স্বাদে কষায় রসবিশিষ্ট, স্বভাবে পিচ্ছিল, স্নিগ্ধ ও সঙ্কোচক এবং গনোরিয়ায় উপকারী । পাতা ও কাণ্ডের পুলটিস দিলে অর্বুদের ফোলা ও প্রদাহ কমে । কাণ্ডের ছাল অথবা মূলের ছাল ও টাটকা পাতা অতিসারে ব্যবহার্য। পাতা ও ফুল কুষ্ঠরোগে ব্যবহৃত হয়। ফুল চিনি সহযোগে সরবত করে খেলে মেহরোগের আরাম হয়ে থাকে। ফল খেলে প্রসূতির প্রসব বেদনা বাড়ে। পাতা রক্তরোধক গুণ-সম্পন্ন এবং ক্ষতরোপক।
উপাদান: aspartic acid, threonine, serine, glutamic acid, proline, glycine, alanine, valine, cystine, methionine, isoleucine, leucine, tyrosine, phenylalanine, lysine, histidine, argine প্রভৃতি । বীজে একপ্রকার সবুজাভ হলদে রঙের fatty acid পাওয়া যায় ।
সতর্কীকরণ: ঘরে প্রস্তুতকৃত যে কোনো ভেষজ ওষুধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।
তথ্যসূত্র:
১. আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য: চিরঞ্জীব বনৌষধি খন্ড ১১, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, সপ্তম মুদ্রণ ১৪২৬, পৃষ্ঠা, ২৯২-২৯৩।
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি tropical.theferns.info থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Dinesh Valke
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।