এ্যাগানসমা সপুষ্পক গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের একটি গণের নাম

ভুমিকা: এ্যাগানসমা গণ ২০০০টি প্রজাতি নিয়ে গঠিত, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে এর প্রজাতিগুলো ব্যাপকভাবে বিস্তৃত।

জীববৈজ্ঞানিকশ্রেণীবিন্যাসজগৎ/রাজ্য: Plantae. বিভাগ: Tracheophyta. শ্রেণী: Magnoliopsida. বর্গ: Gentianales. পরিবার: Apocynaceae. গণ: Aganosma.

এ্যাগানসমা  বৃহৎ, কাষ্ঠল, পেঁচানো জাতীয় গুল্মের একটি গণ। এদের পাতা উপবৃত্তাকার, উপবৃত্তাকার-বল্লমাকার, উভয় পৃষ্ঠ মসৃণ, অতি অল্প ধনুকাকৃতি। সাইম প্রান্তীয়, খর্ব ঘন ক্ষুদ্র কোমল রোমাবৃত।

ফুল নিবিড়, গোলাকার, খর্ব-পুষ্পদণ্ড বিশিষ্ট। বৃতি ৫টি গ্রন্থিল শুল্ক দ্বারা খন্ডের সাথে পর্যায়ান্বিত, খন্ডসমূহ রৈখিক-বল্লমাকার, সূক্ষ্মাগ্র। দলমণ্ডল হরিদ্রাভ-সাদা, বাইরের দিক ঘন ক্ষুদ্র কোমল রোমাবৃত, নল নিম্নের এক চতুর্থাংশে সংকুচিত, উপরে দ্বিগুণ আয়তাকার, স্থূলা, মুকুল অবস্থায় ডান দিকে কিছুটা ছড়িয়ে থাকে।

পুংকেশর নলের নিম্নের তৃতীয়াংশে সন্নিবেশিত, পরাগধানী বল্লমাকার-বাণাকার, সূক্ষ্মাগ্র। গর্ভদণ্ড শীর্ষ লগ্ন, দল নল দ্বারা পরিবেষ্টিত, পরাগরেণু শূন্য লাঙ্গুল রূপে নিম্নাংশে প্রকাশিত হয়। চক্র অর্থাৎ ফলক নলাকার, ৫-খন্ডিত। ফলিক্যাল স্বতন্ত্র, দীর্ঘ, বেলনাকার, শীর্ষ ক্রমান্বয়ে সরু, শুষ্ক, উলম্ব সংযুক্তি রেখা দ্বারা বিদারী । বীজ কালো, বল্লমাকার, চাপা, শক্ত চক্ষু বিশিষ্ট, এক প্রান্তে এক গুচ্ছরোম বিশিষ্ট।

বাংলাদেশে এ্যাগানসমা গণের ৪৬ টি প্রজাতি রয়েছে। মালতী লতা এই গণের একটি পরিচিত ফুল। বীজ দ্বারা সহজেই বংশ বিস্তার করা যায়; তবে প্রয়োজনে দাবাকলমও ব্যবহার করা হয়। বনাঞ্চল পরিবেশে জন্মে কিন্তু উপযুক্ত পরিবেশ পেলে বাড়ির বাগানেও বেচে থাকতে পারে।

তথ্যসূত্র:

১. এম আতিকুর রহমান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ০৬ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১৮৩। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

বি.দ্র: ছবিটি নেওয়া হয়েছে উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে। আলোকচিত্রী: Dinesh Valke

Leave a Comment

error: Content is protected !!