[otw_shortcode_info_box border_type=”bordered” border_color_class=”otw-red-border” border_style=”bordered” shadow=”shadow-inner” rounded_corners=”rounded-10″]বৈজ্ঞানিক নাম: Allamanda nerifolia Hook. f. in Backer & Brink, Fl. Java 2: 223 (1965). সমনাম: Allamanda brasiliensis Schott ex Pohl nom. inval.; Allamanda cathartica Schrad. nom. illeg.; Allamanda magnifica B.S.Williams. ইংরেজি নাম: Bush Allamanda. স্থানীয় নাম: হারকাকরা, ঝোপ অলকনন্দা। জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস জগৎ/রাজ্য: Plantae – Plants শ্রেণী: Eudicots উপশ্রেণি: Asterids বর্গ: Gentianales পরিবার: Apocynaceae গণ: Allamanda প্রজাতি: Allamanda nerifolia[/otw_shortcode_info_box]
ভূমিকা: ঝোপ অলকনন্দা বা হারকাকরা এপোসিনাসি পরিবারের অ্যালামান্ডা গণের একটি সপুষ্পক চিরহরিৎ, আরোহী গুল্ম।
বিবরণ: ঝোপ অলকনন্দার পাতা এক আবর্তে ৪টি, পত্রবৃন্ত খর্ব, অনূর্ধ্ব ১ সেমি লম্বা, পত্রফলক ৬.০-৮.৫ x ২.৫-৩.০ সেমি, আয়তাকার-বল্লমাকার, নিম্নাংশ কীলকাকার, শীর্ষ দীর্ঘাগ্র, অঙ্কীয় পৃষ্ঠে শিরার উপর সূক্ষ্মভাবে কণ্টক রোমাবৃত। পুষ্প হালকা হলুদ। দলমণ্ডল নল নিম্নাংশে স্পষ্টরপে প্রশস্ত, দলমণ্ডলের দল দৈর্ঘ্যে নলের অর্ধসমান বা ঈষৎ দীর্ঘতর, ব্যাস ৬ সেমি, খন্ডসমূহ খুবই স্থূলাগ্র, ২ সেমি লম্বা। ফল কণ্টকপূর্ণ ক্যাপসিউল, প্রায় গোল, ৩-৭ X ৩-৫ সেমি। বীজ বহু সংখ্যক, একটি বৃত্তাকার পক্ষ বিশিষ্ট, গুচ্ছরোম বিহীন। ফুল ও ফল ধারণ ঘটে সারা বৎসর; ফল সাধারণত শীতকালে হয় ।
ঝোপ অলকনন্দার ক্রোমোসোম সংখ্যা: ২n = ১৮ (Kumar and Subramaniam, 1986)।
চাষাবাদ ও আবাসস্থল: বাগানে চাষ করা হয়। বংশ বিস্তার হয় বীজ এবং কাণ্ডের কাটিং দ্বারা।
বিস্তৃতি: গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আমেরিকার দেশজ। বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলংকায় আর্দ্র অঞ্চলে ব্যাপকভাবে শোভাবর্ধনকারী গাছ হিসেবে জন্মানো হয় এবং মাঝে মাঝে প্রকৃতিজাতকরণ করা হয়। বাংলাদেশে ইহা দেশের সর্বত্র পাওয়া যায়।
অর্থনৈতিক ব্যবহার ও গুরুত্ব: ঝোপ অলকনন্দার গাছের সুদৃশ্য বড় ফুলের জন্য বাগানে চাষ করা হয়।
অন্যান্য তথ্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৬ঠ খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) ঝোপ অলকনন্দা প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের শীঘ্র কোনো সংকটের কারণ দেখা যায় না এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে ঝোপ অলকনন্দা সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে শীঘ্র সংরক্ষণের পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন নেই।
তথ্যসূত্র:
১. এম আতিকুর রহমান, (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৬ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১৮৫-১৮৬। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।