ক্ষুদি ওকড়া গুল্ম গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে জন্মে

ক্ষুদি ওকড়া বর্ষজীবী উদ্ভিদ। বীজ থেকে গাছ জন্মে। ভারতের গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের রাস্তার ধারে, পতিত জমিতে, শস্যক্ষেত্রে যত্রতত্র এটিকে দেখতে পাওয়া যায়। মাত্র দেড়েক হাত উঁচু হয়। সামান্য শাখা-প্রশাখাযুক্ত ও রোমশ উদ্ভিদ। পাতা ২–৪ ইঞ্চি লম্বা, বেশ বড়, গোলাকার কিংবা ডিম্বাকৃতি, ফিকে সবুজ বর্ণের ও ত্ব্বক খসখসে। পাতায় তিনটি ভাগ বা খাঁজ আছে, বলা যেতে পারে পাতাটি ঢেউ খেলানো। ফুল হলুদ রঙের, তবে গর্ভকেশর লাল। শীতকালে ফুল ও ফল হয়। ফল ঘন লোমাবৃত। বীজ ছোট, লম্বা ও রূপার মত সাদা।

ক্ষুদি ওকড়া-এর অন্যান্য নাম:

এর বোটানিক্যাল নাম Chrozophora rottleri Klousch। হিন্দীভাষাভাষী অঞ্চলে একে শনবল্লী ও পাঞ্জাবে নীলকণ্ঠি বলে। নীলকন্ঠি নামের একটা কারণ এও হতে পারে যে, গাছ থেকে litmus নামক একপ্রকার chemical পাওয়া যায়। ঔষধার্থে ব্যবহার্য অংশ : বীজ, মূল ও সমগ্র গাছ।

গুণপনা

সমগ্র উদ্ভিদটি বমনকারক, তীব্র ও পারদঘটিত উপাদান সংযুক্ত। বীজ বিরেচক, কুষ্ঠরোগে ব্যবহার্য। শিকড়ের ছাল বালকের সর্দিতে ব্যবহৃত হয়। শুকনো পাতার ক্বাথে সরিষা তেল পাক ক’রে সেই তেল কুষ্ঠরোগে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায় ।

সতর্কীকরণ: ঘরে প্রস্তুতকৃত যে কোনো ভেষজ ওষুধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।

তথ্যসূত্র:

১. আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য: চিরঞ্জীব বনৌষধি খন্ড ১১, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, সপ্তম মুদ্রণ ১৪২৬, পৃষ্ঠা, ৩০৭-৩০৮।

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Dinesh Valke

Leave a Comment

error: Content is protected !!