পরিচিতি: উদ্ভিদ বহুবর্ষজীবি গুল্ম। কান্ড ফাঁপা , চার কোণাকার , বাকল ফিকে ধুসর, মসৃণ ও চকচকে । পাতা সরল , বৃন্তহীন, বল্লমাকার, রোমহীন। এক আবর্তে ৩-৬ টি পাতা থাকে। পুষ্পবিন্যাস পত্রময়, শীর্ষক প্যানিকল। ফুল ক্রিম সদৃশ সাদা, মঞ্জরীপত্রযুক্ত। বৃতি ঘন্টাকার।
বামনহাটি-এর বিস্তৃতি:
ভারতীয় উপমহাদেশসহ এশিয়ার প্রায় সব দেশেই বামনহাটি দেখা যায়। ফাঁপা কাণ্ডের চিকন সবুজ লম্বাটে পাতার এই গুল্মটি গ্রীষ্ম ও বর্ষায় সাদা ফুল ফুটিয়ে সৌন্দর্যসন্ধানীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বামনহাটি, উচ্চতায় দুই-আড়াই মিটারের মতো হয়।
ব্যবহার:
এদের ভেষজ গুণও অসাধারণ। এদের শরীরে অ্যালকালয়েড থাকায় তেঁতো স্বাদের। মূল হাঁপানি ও কাশির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। পাতা কৃমিনাশক। সর্দিকাশি, জ্বর, বাত , চর্মরোগ ইত্যাদি নিরাময়ে এই গুল্মটির বিভিন্ন অংশ ব্যবহৃত হয় । বাকল ও মূলে সক্রিয় উপাদান হিসেবে ফেনোলিক গ্লাইকোসাইড ও স্যাপোনিন পাওয়া যায় যা এন্টিহিস্টামিন, কোল্ড এলার্জি ও এজমাতে ব্যবহার করা হয়।
আয়ুর্বেদে বামনহাটি প্রধানত শ্বাসপ্রশ্বাস জনীত পীড়া, হাঁপানি, যক্ষা, সর্দিকাশি, জ্বর, বাত, চর্মরোগ ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়। থাইরয়েডের সমস্যা, মেদবহুলতা, চোখের সমস্যা, খাদ্যে বিষাক্ততা, রক্তগুল্ম, শীরঃপীড়া, মাইগ্রেন, এবং হিক্কার মহৌষধ। ( হিক্বায়, হটাৎ মনে আঘাত লাগা কোন সংবাদ দিলে, তৎক্ষনাত হিক্বা কমিয়া যায়, কিন্তু সাবধানে কাজটি করিতে হইবে নচেৎ হিতে বিপরিত হতে পারে।) বামনহাটি রক্তশোধক, চর্ম্মরোগ, ফোঁড়া, বিসর্প (হারপিস) প্রভৃতিতে ও উত্তম ফল প্রদান করে। ক্ষীণকায় ব্যক্তি ও পেশীসমূহের পীড়াতেও ইহার বাহ্যিক প্রয়গ বিশেষ ফল প্রদান করে।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।