বিবরন: মিরাবিলিস হচ্ছে নিকটাগিনাসি পরিবারের সপুষ্পক উদ্ভিদের একটি গণের নাম। এই গণের প্রজাতিগুলো বর্ষজীবী বা বহুবর্ষজীবী বীরুৎ হয়। এটি সাধারণত কন্দাল বা মূলবিশিষ্ট হয়ে থাকে।
এদের পাতা প্রতিমুখ, সর্পিলাকারে সজ্জিত। ফুল উভয়লিঙ্গ হয়, এই গণের প্রজাতিগুলোর ফুল বিকাল থেকে ফুটতে শুরু করে। ফুলগুলো সুগন্ধিযুক্ত বা সুগন্ধিবিহীন দুই হয়। পুষ্পপুট ধুতুরাকার, বিভিন্ন রঙে রঞ্জিত, ৫-খন্ডিত, পাপড়ি সদৃশ।
পুংকেশর ৩ থেকে ৬টি, বহির্গামী, পুংদন্ডগুলো নলের পাদদেশলগ্ন। গর্ভাশয় অবৃন্তক, নিরেট ডিম্বাকৃতি বা উপবৃত্তীয়, গর্ভদন্ড রৈখিক, দৈর্ঘ্যে পুংকেশরগুলোর সমান বা পুংকেশর থেকে লম্বা, বহির্গামী, গর্ভমুণ্ড মুণ্ডাকার।
ফল গোলকাকার বা বিডিম্বাকার, চামড়ার মতো। ফলের ত্বক শঙ্খপৃষ্ঠ মতো বা কাগজের মতো, উত্তোলিত শিরাবিশিষ্ট বা গুটিকাযুক্ত, আঠালো গ্রন্থিবিহীন। বীজ ভ্রুণসহ বাঁকা, বীজপত্র ভঁজকরা, ময়দা সদৃশ সস্যকে আবৃত করে রাখে।
এই গণে বেশ কয়েকটি প্রজাতি আছে তার মধ্যে সন্ধ্যামালতি (বৈজ্ঞানিক নাম: Mirabilis jalapa) গুল্মটি বাংলাদেশে জন্মে থাকে ও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
তথ্যসূত্র:
১. হাবীব, এম আহসান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৯ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৩১৯। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।