ভূমিকা:
হলুদ কেয়া কাঁটা (বৈজ্ঞানিক নাম: Pandanus foetidus) হচ্ছে প্যান্ডানাসি পরিবারের প্যান্ডানাস গণের একটি সপুষ্পক গুল্ম। এটিকে বাংলাদেশে আলংকারিক উদ্ভিদ হিসেবে বিভিন্ন উদ্যান ও প্রতিষ্ঠানে লাগানো হয়। এর ‘একাধিক প্রজাতি আছে। হলুদ-সবুজ পাতার ভ্যারাইটি টবে লাগিয়ে’[১] বাড়ির বা বাগানের শোভাবর্ধন করা হয়।
হলুদ কেয়াকাঁটা গুল্মের বিবরণ:
হলুদ কেয়াকাঁটা গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। ১০-১৫ ফুট লম্বা হয়। কাণ্ড থেকে বের হয় শাখা প্রশাখা। পাতা পাঁচ-সাত ফুট লম্বা। ২-৩ ইঞ্চি চওড়া। পাতার কিনারায় করাতের মতো কাঁটা। অনেকটা আনারসের পাতার মতো। কাণ্ড সাদা রঙের ও সুগন্ধযুক্ত। ফল ৭-৮ ইঞ্চি লম্বা। ফল কমলা, পীত বা ধুসর হয়। জৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসে ফুল হয়। ফুল হলুদ রঙের। ছোট আনারসের মতো ফল হয় আশ্বিন-কার্তিক মাসে।
হলুদ কেয়াকাঁটা গুল্মের বিস্তৃতি:
বাংলাদেশের নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে জন্মায়; অল্প পরিমাণে টিকে আছে। বাংলাদেশের সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্রের একটি জনপ্রিয় এলাকা হলো হারবাড়িয়া। নৌকো থেকে হারবাড়িয়া ঘাটে নামার সময়ই দেখা যায় আনারসের মতো কাঁটাঅলা লম্বা লম্বা পাতার গাছই হচ্ছে হলুদ কেয়াকাঁটা বা কাইকি কাঁটা। সুন্দরবনের যেসব নদী বা খালের পাড়ে একটু স্থিতিশীল ভূমি পাওয়া যায় সেখানেই এই হলুদ কেয়াকাঁটা এবং সুগন্ধি কেয়াকাঁটা আছে, যদিও হরগজা বা গোলপাতা (Nypa fruticans) দখল করে রাখে প্রায় সবটা জায়গা।
বিবিধ: Pandanus গণে বাংলাদেশে আরেক প্রজাতি আছে যার নাম সুগন্ধি কেয়াকাঁটা যার বৈজ্ঞানিক নাম Pandanus odorifer.
তথ্যসূত্র:
১. দ্বিজেন শর্মা লেখক; বাংলা একাডেমী ; ফুলগুলি যেন কথা; মে ১৯৮৮; পৃষ্ঠা- ২০, আইএসবিএন ৯৮৪-০৭-৪৪১২-৭
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।