বর্ণনা: আর্জরা গুল্ম, শাখা সরু, গোলাকার, মরচে রোমশ। পত্র একান্তর, উপপত্র আশুপাতী, তুরপুন আকার, দ্বিসারী, অসম পার্শ্ব, পত্রফলক ভল্লাকার, ৪-৮ x ২-৪ সেমি, সূক্ষ্মাগ্র বা স্কুল দীর্ঘাগ্র, মূলীয় অংশ গোলাকার বা কর্তিতা, অখন্ড, পাতলা চামড়া সদৃশ রোমশ বিহীন উপরের পৃষ্ঠ সবুজ, নিচের পৃষ্ঠ ফ্যাকাশে, পার্শ্বীয় শিরা ৭-১০ জোড়া, সরু। পুষ্প লাল, পত্রকক্ষে ঘন গুচ্ছাকার বা শাখা শীর্ষে গুচ্ছবদ্ধ।
পুংপুষ্প বৃন্ত ৫ মিমি লম্বা, কৈশিক, বৃত্যংশ পক্ষবৎ সূক্ষ্মখন্ডিত, চাকতিগ্রন্থি ২ খন্ডিত, বৃক্কাকার। স্ত্রীপুষ্প ক্ষুদ্র শাখার প্রান্তে জন্মে, সবৃন্তক, কৈশিক, বৃত্যংশ দপ্তর, চাকতি গ্রন্থি ২ খন্ডিত, পুংগ্রন্থিখন্ড অপেক্ষা দীর্ঘতর, গর্ভাশয় মসৃণ। ফল ক্যাপসিউল, ব্যাস ৬ মিমি, চাপা, ৩ খন্ডিত, কক্কি পাতলা আবরণ যুক্ত। বীজ ত্রিকোণাকার।
চাষাবাদ ও বংশবিস্তার: আর্জরা অরণ্য কিনারায় জন্মে। ফুল ও ফল ধারণ মার্চ থেকে জুলাই মাস। বীজ থেকে নতুন চারা জন্মে বংশ বিস্তার হয়।
বিস্তৃতি: ভারত। বাংলাদেশের সিলেট জেলায় সীমাবদ্ধ (Alam, 1988)।
অন্যান্য তথ্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৭ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) আর্জরা প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আবাসস্থল ধ্বংস করার কারণে প্রজাতিতি হুমকির সম্মুখীন এবং বাংলাদেশে এটি বিপন্ন হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে আর্জরা সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির ব্যাপক অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রজাতিটির অবস্থান নির্ণয় করে যথাস্থানে প্রাকৃতিক আবাসস্থলে সুরক্ষা করা প্রয়োজন।
তথ্যসূত্র:
১. রহমান, এম অলিউর (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৭ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৪৭৯-৪৮০। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।