চায়না পেয়ারা সারা দুনিয়ায় চাষকৃত একটি ফল

[otw_shortcode_info_box border_type=”bordered” border_color_class=”otw-red-border” border_style=”bordered” shadow=”shadow-inner” rounded_corners=”rounded-10″]বৈজ্ঞানিক নাম: Psidium cattleyanum Sabine. সমনাম: Psidium chinense Lodd.; Episyzygium oahuense Suess. & A.Ludw.; Eugenia ferruginea Sieber ex C.Presl; Eugenia oxygona Koidz.; Eugenia pseudovenosa H.Perrier; Eugenia urceolata Cordem.; Guajava cattleiana (Afzel. ex Sabine) Kuntze; Guajava obovata (Mart. ex DC.) Kuntze; Psidium ferrugineum C.Presl; Psidium indicum Bojer nom. inval.; Psidium littorale Raddi; Psidium obovatum Mart. ex DC.; Psidium variabile O.Berg সাধারণ নাম: Cattley guava, strawberry guava or cherry guava. বাংলা নাম: চাইনিজ পেয়ারা। জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস জগৎ/রাজ্য: Plantae বিভাগ: Angiosperms বর্গ: Myrtales পরিবার: Myrtaceae গণ: Psidium প্রজাতি: Psidium cattleyanum.[/otw_shortcode_info_box]

পরিচিতি: চায়না পেয়ারা মিরটাসি পরিবারের সিডিয়াম গণের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। এরা বৃহদাকার গুল্ম, বাকল বৈশিষ্ট্যময় ডোরাকাটা দাগযুক্ত, মসৃণ, তামাটে বাদামী যাহা পাতলা চটা আকারে অবমুক্ত হয়। কচি পল্লব চতুষ্কোণী, সবুজ, রোমশ। পাতা বৃন্তক, প্রতিমুখ, কচি পাতা বিপরীত তির্যকপন্ন কিন্তু পরিণত পাতা তির্যক উপরিপন্ন, ২.৫-৬.০ x ০.৯-২.৫ সেমি, দীর্ঘায়ত-ভল্লাকার থেকে উপবৃত্তাকার, অখন্ড, তীক্ষ্ণ থেকে দীর্ঘাগ্র, উপরের পৃষ্ঠ অর্ধ মসৃণ, নিম্নপৃষ্ঠ রোমশ এবং সুস্পষ্ঠ শিরাবিশিষ্ট, গ্রন্থিল, মধ্যশিরা সরু, নিম্নপৃষ্ঠে সুস্পষ্ট, রোমশ, উপরের পৃষ্ঠে খাঁজবিশিষ্ট। পুষ্পমঞ্জরী কাক্ষিক, একক বা কতিপয় (২-৩টি) পুষ্পবিশিষ্ট।

পুষ্প সাদা, পুষ্পোদগমকালে আড়াআড়িভাবে ২.৫ সেমি (প্রায়), পুষ্পবৃন্ত ০.৪-০.৮ সেমি লম্বা, বেলনাকার। বৃতি বেলনাকার, সবুজ, নিচের অংশ গর্ভাশয়লগ্ন, উপরের অংশ। মুক্ত এবং পুষ্পেদগমকালে অনিয়মিতভাবে খন্ডিত। পাপড়ি ৫টি, সাদা, ০.৯-১.৩ x ০.৪-০.৬ সেমি, মুক্ত। পুংকেশর অসংখ্য, কতিপয় শ্রেণীতে সজ্জিত হয়ে একটি প্রশস্ত চক্রে সন্নিবেশিত, পুংদন্ডগুলো ০.২-১.০ সেমি লম্বা, পরাগধানী ০.৭-১.১ মিমি লম্বা, দীর্ঘায়ত থেকে উপবৃত্তীয়, পাদদেশের কাছাকাছি যুক্ত, অণুদৈর্ঘ্য বরাবর বিদারিত হয়। গর্ভপত্র সচরাচর ৪টি, সংযুক্ত হয়ে ৪-প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট গর্ভাশয়ে পরিণত হয়, ডিম্বক প্রতি প্রকোষ্ঠে অসংখ্য, গর্ভদন্ড সূত্রবৎ, গর্ভমুণ্ড মুণ্ডাকার। ফল গোলকাকার, ডিম্বাকার বা নাশপাতি আকার বেরী, বৃতির খন্ডকগুলো মুকুট গঠন করে, বীজ অসংখ্য, উপবৃক্কাকার, শক্ত। ফুল ও ফল ধারণ ঘটে গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকাল।

আরো পড়ুন:  জাম গাছের পাতা, ফলের তেরোটি ঔষধি গুণাগুণ

ক্রোমোসোম সংখ্যা: 2n = ২২ (Fedorov, 1969).

আবাসস্থল ও চাষাবাদ: বাগান। বংশ বিস্তার হয় বীজের সাহায্যে।

বিস্তৃতি: আদিনিবাস চীন। বাংলাদেশে ইহা ঢাকা এবং চট্টগ্রাম জেলার কিছু কিছু বাগানে পাওয়া যায়।

অর্থনৈতিক ব্যবহার ও গুরুত্ব: ইহার ফল খাওয়ার উপযোগী। ইহা একটি সুদৃশ্য বৃক্ষ এবং ফল এবং শোভাবর্ধক উদ্ভিদ হিসেবে লাগানো হয়।

অন্যান্য তথ্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ৯ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) চায়না পেয়ারা প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের শীঘ্র কোনো সংকটের কারণ দেখা যায় না এবং বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থায় এটির সম্পর্কে তথ্য সংগৃহীত হয়নি। বাংলাদেশে চায়না পেয়ারা সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে বাগানে অধিক আবাদের জন্য উৎসাহিত করা যেতে পারে।

তথ্যসূত্র:

১. এম এ কাইয়ুম (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৯ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২৯১-২৯২ । আইএসবিএন 984-30000-0286-0

Leave a Comment

error: Content is protected !!