গোট বেগুন বা গুচ্ছ বেগুন এক ঔষধি ভোজ্য গুল্ম

গুল্ম

গোট বেগুন

বৈজ্ঞানিক নাম: Solanum torvum সমনাম: Solanum ficifolium Ortega. Solanum filicifolium sensu Abeywick. বাংলা নাম: গোটা বেগুন, গুচ্ছ বেগুন, তিত বেগুন, Gotha Begun, Hat Begun ইংরেজি নাম: turkey berry, prickly nightshade, shoo-shoo bush, wild eggplant, pea eggplant, pea aubergine Tribal Name : Kurkha (Murong), Bigol bichi (Chakma), Kargola (Marma), Engfy-poi (Khumi), Tit bayun (Rakhaing), Kontakari (Tripura), Borshiborduk (Tripura), Mida begul bichi (Chakma), Pley khauy (Murong), Bigal biji (Chakma), Kajo-ba (Marma), Khaja (Marma), Titar Berul (Tanchangya), Kurka Plawo (Murong)
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae – Plants অবিন্যাসিত: (unranked): Angiosperms অবিন্যাসিত: Eudicots অবিন্যাসিত: Asterids বর্গ: Solanales পরিবার: Solanaceae – Potato family গণ: Solanum L. – nightshade. প্রজাতি: Solanum torvum Sw. – turkey berry.

ভূমিকা:  গোটা বেগুন বা গুচ্ছ বেগুন হচ্ছে সোলানাসি পরিবারের সোলানাম গণের স্বল্প কাঁটাযুক্ত একটি বর্ষজীবী বেগুন জাতীয় গুল্ম। গ্রাফট বা কলম করা চারাসমূহ শক্তিশালী হয় বিধায় সেগুলো দ্বিতীয় বছরের জন্যও ফলন দেয়।

গোট বেগুন-এর বর্ণনা:

গুচ্ছ বেগুন সাধারণত ২ বা ৩ মিটার  উচ্চতার এবং ২ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের হতে পারে, তবে এরা ৫ মিটার উচ্চতা এবং 8 সেমি ব্যাসার্ধে পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। এই গুল্মটি সাধারণত মাটির কাছ থেকেই একটি মাত্র কান্ড নিয়ে বাড়তে থাকে, তবে এটির নীচের ডালের উপরে অনেক শাখা হতে পারে। কাণ্ডের ছাল ধূসর। এদের শিকড় সাদা হয়।

শাখাগুলি ধূসর-সবুজ এবং তারকা-আকৃতির চুল দিয়ে আচ্ছাদিত থাকে। কাঁটাগুলি ছোট এবং সামান্য বাঁকানো এবং পুরো গাছে বিভিন্ন রকমের, পাতার মাঝখানের উল্টাদিকে থাকে কিন্তু সামনের দিকে একেবারেই থাকে না।  পাতাগুলো পরস্পর বিপরীতধর্মী অথবা প্রতি পর্বে একটি করে গজায়। ফুলগুলো সাদা, ৫টা ভাগে বিভক্ত।

ফলগুলি ক্ষুদ্র সবুজ গোলাকার এবং গুচ্ছে জন্মায়, দেখতে মটরের দানার মতো। সম্পূর্ণরূপে পাকলে ফল হলুদ হয়ে ওঠে।  ফলগুলো পাতলা-শাঁসযুক্ত, এবং ফলে অনেক সমান, বৃত্তাকার, বাদামী বীজ থাকে।

আরো পড়ুন:  বেগুনের নানাবিধ ঔষধি গুনাগুণ, পুষ্টিগুণ, খাদ্যগুণ ও উপকারিতা

গুচ্ছ বেগুন প্রতি বছরে ০.৭৫ থেকে ১.৫ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত বাড়তে পারে। প্রজাতিটি দীর্ঘকাল বাঁচতে পারে না; অধিকাংশ গাছপালা প্রায় ২ বছর বাঁচে।

ব্যবহার: 

সবুজ ফলগুলো ভোজ্য এবং থাই খাদ্যতালিকায় ব্যবহৃত হয়। নির্দিষ্ট থাই ঝোল রান্নায়  এটি একটি উপাদান হিসাবে ব্যবহার হয় এবং মরিচের তৈরি চাটনিতে এটি যুক্ত করা হয়। থাইদের মতো লাওসের লোকজনও এটি খেয়ে থাকে এবং জ্যামাইকাতে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার আছে। ভারতের তামিলনাড়ুতে ফলগুলোকে সরাসরি খাওয়ার রেওয়াজ আছে, আবার রান্না করেও খাওয়া হয়।

ঔষধি গুণ: গুচ্ছ বেগুনের বীজ থেকে মিথাইল ক্যাফেটের নির্যাস তৈরি করা যায়, যার ডায়াবেটিস প্রতিরোধী কার্যক্ষমতা আছে।

গোট বেগুন-এর বিস্তৃতি:

এটি উত্তর মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় দেখা যায়। দ্রুত বিস্তৃতির কারণে এটি জমিতে আগাছা হিসাবে গণ্য।  এটি বলা খুব কঠিন যে কোনটি স্থানীয় আর কোনটি একটি এলাকায় পরবর্তীতে ছড়ানো। গুচ্ছ বেগুন ক্রান্তীয় আফ্রিকা, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের হাওয়াই, গুয়াম এবং আমেরিকার সামোয়ায় পরবর্তীতে ছড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারতেও এটি যথেষ্ট দেখা যায়।

Leave a Comment

error: Content is protected !!