ছোট কাতওয়াদার বাংলাদেশ, ভারত ও মায়ানমারের গুল্ম

গুল্ম

ছোট কাতওয়াদার

বৈজ্ঞানিক নাম: Tabernaemontana recurva Roxb., Fl. Ind. 2: 26 (1832). সমনাম: Ervatamia recurva (Roxb.) Lace (1956). ইংরেজি নাম: জানা নেই। স্থানীয় নাম: ছোট-কাতওয়াদার, রূপা-তোলা।
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae বিভাগ: Angiosperms অবিন্যাসিত: Edicots বর্গ: Gentianales পরিবার: Apocynaceae গণ: Tabernaemontana প্রজাতি: Tabernaemontana recurva

ভূমিকা:  ছোট-কাতওয়াদার বা রূপা-তোলা (বৈজ্ঞানিক নাম: Tabernaemontana recurva) Apocynaceae পরিবারের Tabernaemontana গণের গুল্ম।  এটি  অনেকে প্রতিষ্ঠানে বা গৃহের শোভাবর্ধনের জন্য লাগিয়ে থাকে।  

বর্ণনা: এটি দেখতে ছোট আকৃতির গুল্ম বিশেষ, এর বাকল মসৃণ হয়। পত্র ৫-১২ X ২.০-৩.৩ সেমি, প্রতিমুখ, দীর্ঘা, ঝিল্লিময়, শিরা ৬-৮ জোড়া, সরু, ধনুকাকৃতি সাইম কাক্ষিক বা প্রান্তীয় সমভূমঞ্জরী।

পুষ্প সাদা, সুগন্ধী। বৃতি ক্ষুদ্র, ৫-খন্ডিত, অভ্যন্তরে গ্রন্থিল, খন্ড সংকীর্ণভাবে বল্লমাকার। দলমণ্ডল নল প্রায় ২ সেমি লম্বা, খন্ড কাস্তে আকৃতি, বিডিম্বাকার, সূক্ষ্মাগ্র ।

পুংদন্ড অন্তর্ভূক্ত, পরাগধানী অর্ধ-বৃন্তক। গর্ভপত্র ২টি, স্বতন্ত্র। ফলিক্যাল দূরাপসারী, ৩-সভঙ্গ, কিছুমাত্রায় মাংসল, পশ্চাদমুখী বক্র, অভ্যন্তরে গোলাপি-কমলা।[১]

ক্রোমোসোম সংখ্যা: ২n = ২২ [২]

আবাসস্থল ও চাষাবাদ: মুখ্য ও গৌণ বনাঞ্চল এবং বাগান এই গাছ জন্মে থাকে তবে বাগানে লাগানো হয় শোভাবর্ধনের জন্য। বীজ এবং কাণ্ড ও মূলের কাটিং দ্বারা নতুন চারা করা হয়।

বিস্তার: ভারত এবং মায়ানমার। বাংলাদেশে ইহা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাওয়া যায়। ফুল ও ফল ধারণ  জুন থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ফুল ফোটে।

জাতিতাত্বিক ব্যবহার: কথিত আছে যে, ভাত থেকে বিয়ার তৈরীর সময় খামির করার কাজে ইহা ব্যবহৃত হয় (Rahman et al., 2000)।

অন্যান্য তথ্য: বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ম খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) ছোট-কাতওয়াদার প্রজাতিটির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের আবাসস্থল বিলুপ্তির পথে এবং জ্বালানি কাঠের ব্যাপক আহরণ হওয়া কারণে এরা হুমকির সম্মুখীন এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত নয় বলে বিবেচিত। বাংলাদেশে ছোট-কাতওয়াদার সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির বর্তমানে এক্স-সিটু পদ্ধতিতে সংরক্ষণ প্রয়োজন।[৩]

আরো পড়ুন:  পাতি টগর এশিয়ার শোভাবর্ধক ফুল

তথ্যসূত্র:                                                                  

১.  এম আতিকুর রহমান (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস”  আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ৭ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২১২। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

২. Kumar, V. and Subramaniam,, B. 1986 Chromosome Atlas of Flowering Plants of the Indian Subcontinent. Vol.1. Dicotyledons Botanical Survey of India, Calcutta. 464 pp.  

Leave a Comment

error: Content is protected !!