পরিচিতি: অশ্বগন্ধা ক্ষুপ বা গুল্ম জাতীয় গাছ, ৩ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত উচু হয়। এর পাতাগুলি দেখতে অনেকটা অশ্বতর প্রাণীর বা খচ্চরের কানের আকারের মতো হলেও ঝোপ-ঝাড় ও উচ্চতায় এবং কান্ডের গঠন অনেকটা বেগুন গাছের মতো, পাতার ও ডাঁটার গায়ে সক্ষম লোম আছে, ডাঁটার যে অংশে পাতা বেরোয় সেখানেই টেপারির মতো সবুজ বহিরাবরণে ঢাকা সবুজ মটরের মতো ফল হয়, সেটা পাকলে লাল হয়; আর তার বীজগুলি বেগুনের মতো। এর চাষ বেগুন চাষ মতো করা হয়। ঔষধার্থে প্রধানভাবে এই গাছের মূল ব্যবহারের কথা বলা আছে, তবে গাছেরও যে ব্যবহার হয় না তা নয়, কিন্তু আয়ুর্বেদিক গ্রন্থে। ঔষধার্থে কাঁচা গাছ বা মূলের ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া আছে। অশ্বগন্ধার ভেষজ গুনাগুণ সম্পর্কে আরো পড়ুন
অশ্বগন্ধার ১২টি প্রমাণিত উপকারিতা
এছাড়া বর্তমানে আর এক প্রকার অর্শ্বগন্ধার ব্যবহার প্রচলিত আছে, যেটি আশগদ নামে পরিচিত, অবশ্য এটি যে পৃথক শব্দ তা নয় আশ্বগন্ধারই অপভ্রংশ বা প্রদেশান্তরের নাম। ‘নাগরী’ নামে গুজরাতের একটি অঞ্চলে এটির চাষ হয়। সেটি ভেষজ বাণিজ্যে খবুই উপযোগী, উদ্ভিদবিজ্ঞানীগণ বর্তমানে এটিকে একটি পৃথক প্রজাতি (species) বলে নির্ধারণ করেছেন। এটির নামকরণ করা হয়েছে Withania ashwagandha Kaul, পরিবার Solanaceae, উড়িষ্যাতে এটি অর্শ্বগন্ধা নামে প্রচলিত। এই গাছটির মূলের বৈশিষ্ট্য হলো অর্শযুক্ত (Fibrous) নয়। শ্বেতসার অংশই বেশি।
বিস্তৃতি: এই গাছ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকায় পাওয়া যায়।
চাষ পদ্ধতি: অশ্বগন্ধা ভেষজটি ভারতের প্রায় সব প্রদেশেই জন্মে, তবে উষ্ণপ্রধান দেশেই এর বৃদ্ধি বেশি, আর সাধারণ দেশেও হয়; কিন্তু এর বাড়বাড়তি তত হয় না, তা হলেও এটি উষ্ণপ্রধান দেশে অযত্নেও জন্মে। ভারত সংলগ্ন দেশ সমূহেও যত্ন না পেয়েও এদেশে যতটুকু হয়, সেটা প্রয়োজনানুপাতে খুব কমই, তাই এর চাহিদা থাকায় ব্যবসায়িক ভিত্তিতে চাষ করা হয়। অক্টোবর থেকে মে মাসের মধ্যে এদের ফুল ফোটে তারপরে ফল হয়।
তথ্যসূত্রঃ
১. আয়ূর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্রচার্য, চিরঞ্জীব বনৌষধি‘ খন্ড ২, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ১৩৮৩, পৃষ্ঠা, ১৬২-১৬৬।
বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিপিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Vallari Vindhya
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।
আমি ঢাকা আশুলিয়ায় থাকি। এই এলাকায় কি এই গাছের চারা কিনতে পাওয়া যাবে?